মঙ্গলবার | ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ Logo টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক-৩ Logo কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ Logo ইবিতে প্রশাসনের কমিটি থেকে পদত্যাগ বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষকের Logo খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা প্রত্যাশায় কয়রায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রি; মারাত্মক ঝুঁকি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

অনুমতি নেই তবুও দিন কিংবা রাতের আঁধারে প্রকাশ্যেই চুয়াডাঙ্গায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সিএনজি-মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে ব্যবহৃত গ্যাস খোলাবাজারে বাসা-বাড়ির সিলিন্ডারে বিক্রি করছে ফিলিং স্টেশনগুলো। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ সচেতন মহল।

জানাগেছে, সম্পূর্ণ আইনবহিভূত ও কোন রকম অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলার ভিমরুল্লাহস্থ ইমরান ফিলিং স্টেশন, সরোজগঞ্জ বাজারের মনিরুল ফিলিং স্টেশন, আলমডাঙ্গা হক ফিলিং স্টেশন, মীর ফিলিং স্টেশন, দামুড়হুদার লোকনাথপুর মেসার্স কে এ এম ফিলিং স্টেশনে খোলা বাজারে বাসা বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারে এলপিজি গ্যাস বিক্রি করে আসছে। এসকল ফিলিং স্টেশন গুলো থেকে প্রতিদিন বিকাল ও সন্ধ্যায় বাইসাইকেল, অটোরিকশা, পাখিভ্যান, মোটরসাইকেলের পিছনে সিলিন্ডার বেঁধে নিয়ে গ্যাস সংগ্রহ করছে সাধারণ ভোক্তারা। কোনো প্রকারের পরিক্ষা নিরীক্ষা ছড়ায় সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ করছে ফিলিং স্টেশন গুলো।

সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস নিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে চলাচল করছে ভোক্তা সাধারণ। সাধারণ ভোক্তারা জানেও না তারা কতটা মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহন করছেন। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা উল্লেখিত ফিলিং স্টেশনগুলো বিস্ফোরক আইনের সর্বোচ্চ উপেক্ষা করে মাসে প্রায় কোটি টাকার গ্যাস অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছেন। অথচ সে ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোন রকম নজরদারী নেই বললেই চলে।

সচেতনতা মহল ও সুচিন্তিত নাগরিকদের মতে, জেলার বেশ কয়েকটি ফিলিং স্টেশনে বিকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত সিলিন্ডারে এলপিজি গ্যাস নিতে আসা ভোক্তাদের ভিড় জমে। ফিলিং স্টেশন গুলো সে সমস্ত সিলিন্ডারগুলো কোনো প্রকার পরিক্ষা নিরীক্ষা না করেই ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করছে অবৈধ ভাবে। এভাবে খোলাবাজারে গ্যাস সরবরাহ ও সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস পরিবহনের সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনের শাসন ও জনসচেতনতায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্যাস সিলেন্ডার বিক্রেতা জানিয়েছে, জেলার একাধিক তেল পাম্পগুলো আইনের তোয়াক্কা না করেই যানবাহনে ব্যবহৃত গ্যাস বাসাবাড়ি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারে সরবরাহ করছেন অহরহ, যা সম্পন্ন আইন পরিপন্থি ও ভোক্তা সাধারণের ঝুঁকির কারণ। সাধারণ ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে। কারণ একটা সিলিন্ডার পরিক্ষা নিরীক্ষা করেই তাতে নতুন করে গ্যাস ভর্তি করা হয়। কিন্তু ফিলিং স্টেশন গুলো কোনো রকম পরিক্ষা নিরীক্ষা ছড়ায় সিলিন্ডার ভর্তি করে দিচ্ছে। যদি কোনো ভাবে সিলিন্ডার বিকল হয় তাহলে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা তেল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি হাবিল হোসেন জোয়ার্দার বলেন, আমরা যারা খোলা বাজারে সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রি করছি এটা সম্পূর্ণ অবৈধ ও আইন পরিপন্থি। আমরাও চাই না অবৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে। সে জন্য বিষয়টি নিয়ে আমরা তেল পাম্প মালিক পক্ষ জেলার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে বসেছিলাম। সমস্যাটা নিয়ে জেলার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের কে বিষয়টি নিয়ে উপর মহলে যোগাযোগ করতে বলেছেন। উপরমহলে তো আমাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব না। কারণ সমস্যা টা জাতীয়ভাবে সারাদেশে। তাই আমরা মনে করি সমস্যা টা নিয়ে বিভিন্ন গ্যাস কোম্পানিকে উপর মহলে কথা বলা উচিত।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানিয়েছেন, তেলপাম্পগুলো কোন ভাবেই সিলিন্ডারে খোলা বাজারে গ্যাস বিক্রি করতে পারে না। খোলা বাজারে গ্যাস বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ। সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই সাথে ভোক্তা সাধারণ কেও সচেতন হতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রি; মারাত্মক ঝুঁকি

আপডেট সময় : ১১:৫৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

অনুমতি নেই তবুও দিন কিংবা রাতের আঁধারে প্রকাশ্যেই চুয়াডাঙ্গায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সিএনজি-মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে ব্যবহৃত গ্যাস খোলাবাজারে বাসা-বাড়ির সিলিন্ডারে বিক্রি করছে ফিলিং স্টেশনগুলো। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ সচেতন মহল।

জানাগেছে, সম্পূর্ণ আইনবহিভূত ও কোন রকম অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলার ভিমরুল্লাহস্থ ইমরান ফিলিং স্টেশন, সরোজগঞ্জ বাজারের মনিরুল ফিলিং স্টেশন, আলমডাঙ্গা হক ফিলিং স্টেশন, মীর ফিলিং স্টেশন, দামুড়হুদার লোকনাথপুর মেসার্স কে এ এম ফিলিং স্টেশনে খোলা বাজারে বাসা বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারে এলপিজি গ্যাস বিক্রি করে আসছে। এসকল ফিলিং স্টেশন গুলো থেকে প্রতিদিন বিকাল ও সন্ধ্যায় বাইসাইকেল, অটোরিকশা, পাখিভ্যান, মোটরসাইকেলের পিছনে সিলিন্ডার বেঁধে নিয়ে গ্যাস সংগ্রহ করছে সাধারণ ভোক্তারা। কোনো প্রকারের পরিক্ষা নিরীক্ষা ছড়ায় সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ করছে ফিলিং স্টেশন গুলো।

সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস নিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে চলাচল করছে ভোক্তা সাধারণ। সাধারণ ভোক্তারা জানেও না তারা কতটা মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহন করছেন। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা উল্লেখিত ফিলিং স্টেশনগুলো বিস্ফোরক আইনের সর্বোচ্চ উপেক্ষা করে মাসে প্রায় কোটি টাকার গ্যাস অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছেন। অথচ সে ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোন রকম নজরদারী নেই বললেই চলে।

সচেতনতা মহল ও সুচিন্তিত নাগরিকদের মতে, জেলার বেশ কয়েকটি ফিলিং স্টেশনে বিকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত সিলিন্ডারে এলপিজি গ্যাস নিতে আসা ভোক্তাদের ভিড় জমে। ফিলিং স্টেশন গুলো সে সমস্ত সিলিন্ডারগুলো কোনো প্রকার পরিক্ষা নিরীক্ষা না করেই ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করছে অবৈধ ভাবে। এভাবে খোলাবাজারে গ্যাস সরবরাহ ও সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস পরিবহনের সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনের শাসন ও জনসচেতনতায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্যাস সিলেন্ডার বিক্রেতা জানিয়েছে, জেলার একাধিক তেল পাম্পগুলো আইনের তোয়াক্কা না করেই যানবাহনে ব্যবহৃত গ্যাস বাসাবাড়ি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারে সরবরাহ করছেন অহরহ, যা সম্পন্ন আইন পরিপন্থি ও ভোক্তা সাধারণের ঝুঁকির কারণ। সাধারণ ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে। কারণ একটা সিলিন্ডার পরিক্ষা নিরীক্ষা করেই তাতে নতুন করে গ্যাস ভর্তি করা হয়। কিন্তু ফিলিং স্টেশন গুলো কোনো রকম পরিক্ষা নিরীক্ষা ছড়ায় সিলিন্ডার ভর্তি করে দিচ্ছে। যদি কোনো ভাবে সিলিন্ডার বিকল হয় তাহলে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা তেল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি হাবিল হোসেন জোয়ার্দার বলেন, আমরা যারা খোলা বাজারে সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রি করছি এটা সম্পূর্ণ অবৈধ ও আইন পরিপন্থি। আমরাও চাই না অবৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে। সে জন্য বিষয়টি নিয়ে আমরা তেল পাম্প মালিক পক্ষ জেলার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে বসেছিলাম। সমস্যাটা নিয়ে জেলার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের কে বিষয়টি নিয়ে উপর মহলে যোগাযোগ করতে বলেছেন। উপরমহলে তো আমাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব না। কারণ সমস্যা টা জাতীয়ভাবে সারাদেশে। তাই আমরা মনে করি সমস্যা টা নিয়ে বিভিন্ন গ্যাস কোম্পানিকে উপর মহলে কথা বলা উচিত।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানিয়েছেন, তেলপাম্পগুলো কোন ভাবেই সিলিন্ডারে খোলা বাজারে গ্যাস বিক্রি করতে পারে না। খোলা বাজারে গ্যাস বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ। সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই সাথে ভোক্তা সাধারণ কেও সচেতন হতে হবে।