সোমবার | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাবি ছাত্রদলের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo জীবননগরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo খুবিতে মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন  Logo সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার পলাশবাড়ীর গ্রামের বাড়ীতে শোকের মাতম Logo চাঁদপুরে যানজট নিরসনে রোড ডিভাইডার স্থাপন, পথচারী ও জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি Logo পলাশবাড়ীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উপজেলা প্রশাসনের শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন Logo জাকির হোসেন বেপারি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক Logo শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চাঁদপুরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা Logo পলাশবাড়ীতে গাছ কর্তন ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে Logo শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার মিরপুরে প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি

হিজলগাড়ী-কোটালী ও বলদিয়-ছোটশলুয়া সড়কের কাজ বন্ধ আড়াই মাস

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:১৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী থেকে কোটালী পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এবং বলদিয়া মাঠপাড়া থেকে ছোটশলুয়া পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ গত আড়াই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ শুরু হওয়ার পরপরই সরকারের পরিবর্তন হওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এলজিইডির আওতায় ‘ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর অ্যান্ড রিজিওনাল এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম’ (ইউকেয়ার) প্রকল্পের অধীনে এই সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। হিজলগাড়ী বাজার থেকে কোটালী পর্যন্ত ৯ কোটি ১২ লাখ ৭৫০ টাকা এবং বলদিয়া মাঠপাড়া থেকে ছোটশলুয়া পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের জন্য ৪ কোটি ২১ লাখ ৬ হাজার ৯০১ টাকা বরাদ্দ ছিল। তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান- মোজহার এন্টারপ্রাইজ (প্রাইভেট) লিমিটেড, জাকাউল্লাহ অ্যান্ড ব্রাদার্স, এবং তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড-এই প্রকল্পের কাজের দায়িত্বে ছিল। গত ১৮ জানুয়ারি কাজ শুরু হলেও ৯ জুলাই উদ্বোধনের পর থেকেই নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কের ইট এবং পিচ সরিয়ে রেখে তা গর্ত করে ফেলা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে এই গর্তগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। হিজলগাড়ী, নলবিলা, কোটালী, হরিশপুর, ফুরশেদপুরসহ আশপাশের গ্রামের মানুষজন চলাচলে প্রচণ্ড দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে, শিক্ষার্থী ও কৃষকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে প্রায় দ্বিগুণ পথ ঘুরে যাতায়াত করছেন।

সাবেক ইউপি সদস্য কায়েশ আলী বলেন, ‘সড়কটি আড়াই মাস ধরে চলাচলের অযোগ্য অবস্থায় পড়ে আছে, অথচ কেউ দেখার নেই।’ এছাড়া বলদিয়া মাঠপাড়ার জালাল উদ্দিন জানান, সড়কের কাজ দ্রুত শেষ না হলে স্থানীয়দের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশিক আবদুল্লাহ সময়ের সমীকরণকে জানান, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আত্মগোপনে থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।’ এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তাদের দুর্ভোগ লাঘব করার দাবি জানিয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাবি ছাত্রদলের আলোকচিত্র প্রদর্শনী

হিজলগাড়ী-কোটালী ও বলদিয়-ছোটশলুয়া সড়কের কাজ বন্ধ আড়াই মাস

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:১৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী থেকে কোটালী পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এবং বলদিয়া মাঠপাড়া থেকে ছোটশলুয়া পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ গত আড়াই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ শুরু হওয়ার পরপরই সরকারের পরিবর্তন হওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এলজিইডির আওতায় ‘ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর অ্যান্ড রিজিওনাল এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম’ (ইউকেয়ার) প্রকল্পের অধীনে এই সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। হিজলগাড়ী বাজার থেকে কোটালী পর্যন্ত ৯ কোটি ১২ লাখ ৭৫০ টাকা এবং বলদিয়া মাঠপাড়া থেকে ছোটশলুয়া পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের জন্য ৪ কোটি ২১ লাখ ৬ হাজার ৯০১ টাকা বরাদ্দ ছিল। তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান- মোজহার এন্টারপ্রাইজ (প্রাইভেট) লিমিটেড, জাকাউল্লাহ অ্যান্ড ব্রাদার্স, এবং তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড-এই প্রকল্পের কাজের দায়িত্বে ছিল। গত ১৮ জানুয়ারি কাজ শুরু হলেও ৯ জুলাই উদ্বোধনের পর থেকেই নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কের ইট এবং পিচ সরিয়ে রেখে তা গর্ত করে ফেলা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে এই গর্তগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। হিজলগাড়ী, নলবিলা, কোটালী, হরিশপুর, ফুরশেদপুরসহ আশপাশের গ্রামের মানুষজন চলাচলে প্রচণ্ড দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে, শিক্ষার্থী ও কৃষকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে প্রায় দ্বিগুণ পথ ঘুরে যাতায়াত করছেন।

সাবেক ইউপি সদস্য কায়েশ আলী বলেন, ‘সড়কটি আড়াই মাস ধরে চলাচলের অযোগ্য অবস্থায় পড়ে আছে, অথচ কেউ দেখার নেই।’ এছাড়া বলদিয়া মাঠপাড়ার জালাল উদ্দিন জানান, সড়কের কাজ দ্রুত শেষ না হলে স্থানীয়দের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশিক আবদুল্লাহ সময়ের সমীকরণকে জানান, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আত্মগোপনে থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।’ এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তাদের দুর্ভোগ লাঘব করার দাবি জানিয়েছে।