শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

টানা দরপতনের কবলে শেয়ারবাজার, পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:১০:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭২০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের ফলে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ দিনের মধ্যে চার দিনই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রতিদিন কমছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। ফলে পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

গত সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি কমেছে। প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ২০০ পয়েন্ট। বাজারটিতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, তার চেয়ে প্রায় ছয় গুণ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে গড় লেনদেন কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।

দেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দুই সপ্তাহ শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। তৃতীয় সপ্তাহে এসে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। এরপরে আবারও দরপতনের মুখে পড়ে শেয়ারবাজার।

গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ডিএসইতে মাত্র ৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। বিপরীতে দাম কমে ৩৪৯টির। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার ধারা অব্যাহত থাকে।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৫৭টির স্থান হয়েছে বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩১টির। আর ৮টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। দাম বাড়ার চেয়ে কমার তালিকায় ৫ দশমিক ৮১ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬২১ কোটি টাকা।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৫০৬  কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ১৭৬ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৯৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তার আগের ছয় সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৮৮ পয়েন্ট।

শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া গত আট সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক সব মিলিয়ে কমেছে ৪৬০ পয়েন্ট। সবকটি প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৭৯  কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২৫৩ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ৩৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এ ব্যাপারে ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারের মূল শক্তি আস্থা। কিন্তু গত দুই মাসে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শুধু নীতিকথা দিয়ে শেয়ারবাজার চলবে না। আগামী দিনের বাজার কোথায় যাবে, কি করা হবে তার একটি সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকতে হবে। কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানাতে হবে বিনিয়োগকারীদের। শুধু কয়েকজনকে শাস্তি দিলেই বাজার স্থিতিশীল হবে না। এসব কারণে বাজারে সূচক ধরে রাখা যাচ্ছে না। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

টানা দরপতনের কবলে শেয়ারবাজার, পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

আপডেট সময় : ০১:১০:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের ফলে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ দিনের মধ্যে চার দিনই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রতিদিন কমছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। ফলে পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

গত সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি কমেছে। প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ২০০ পয়েন্ট। বাজারটিতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, তার চেয়ে প্রায় ছয় গুণ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে গড় লেনদেন কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।

দেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দুই সপ্তাহ শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। তৃতীয় সপ্তাহে এসে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। এরপরে আবারও দরপতনের মুখে পড়ে শেয়ারবাজার।

গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ডিএসইতে মাত্র ৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। বিপরীতে দাম কমে ৩৪৯টির। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার ধারা অব্যাহত থাকে।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৫৭টির স্থান হয়েছে বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩১টির। আর ৮টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। দাম বাড়ার চেয়ে কমার তালিকায় ৫ দশমিক ৮১ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬২১ কোটি টাকা।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৫০৬  কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ১৭৬ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৯৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তার আগের ছয় সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৮৮ পয়েন্ট।

শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া গত আট সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক সব মিলিয়ে কমেছে ৪৬০ পয়েন্ট। সবকটি প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৭৯  কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২৫৩ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ৩৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এ ব্যাপারে ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারের মূল শক্তি আস্থা। কিন্তু গত দুই মাসে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শুধু নীতিকথা দিয়ে শেয়ারবাজার চলবে না। আগামী দিনের বাজার কোথায় যাবে, কি করা হবে তার একটি সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকতে হবে। কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানাতে হবে বিনিয়োগকারীদের। শুধু কয়েকজনকে শাস্তি দিলেই বাজার স্থিতিশীল হবে না। এসব কারণে বাজারে সূচক ধরে রাখা যাচ্ছে না। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।