শিরোনাম :
Logo ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo অছাত্র ও ছাত্রলীগের দোসর দিয়ে কমিটি গঠনের প্রতিবাদে শহিদ স্মৃতি কলেজে ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo বিচারহীনতার প্রতিবাদে ইবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিল Logo নাব্যতা হারিয়ে ঝালকাঠির খরশ্রোতা বাসন্ডা নদী খালে পরিনত হচ্ছে, খননের দাবী এলাকাবাসীর Logo এফডিসির গেইটে রান্না করে গোয়ার সিনেমার প্রচার,নজির গড়লেন নায়ক রাসেল মিয়া Logo কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে প্যাপিরাস পাঠাগারের সাহিত্য আড্ডা Logo বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো জেনরা ফ্যাশন ওডিসি ২০২৫ Logo চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ৩১ বাংলাদেশী নারী-পুরুষ, শিশুকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ Logo বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিকে আইএমএফের প্রশংসা

কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ দ্বিগুণ রাতারাতি চুয়াডাঙ্গায়

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:৩৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

বৃষ্টির অজুহাতে আমদানি কমে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচের। একদিনের ব্যবধানে ৩৩০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই কাঁচা পণ্য। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে গেছে সব প্রকার সবজিতে। ফলে দামও আকাশ ছুঁয়েছে। দাম বেড়েছে বেগুন, পটল, কচু, আলু, পেয়াঁজ, আদা, রসুনসহ আরো অন্যান্য সব ধরনের সবজির। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারসহ অন্যান্য সব ধরনের বাজারে এই অস্বাভাবিক দামের চিত্র দেখা যায়।

জানা গেছে, দুইদিন বৃষ্টি আর দেশের ১০ জেলায় বন্যার প্রভাবে আমদানি কমেছে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের। ফলে ওই সব বন্যা কবলিত জেলায় কাঁচা মরিচের রপ্তানির কারণে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে সংকট দেখা গেছে। তাই দামটাও বেড়েছে আকাশ সমান। এক দিনের ব্যবধানে ২০০ টাকা বেড়ে কেজিতে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা আগের দিনও ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের নাটকীয় দাম নিয়ে অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ দেখা গেছে।

অপরদিকে, গত দু সপ্তাহ আগে থেকে দিনাজপুর জেলার হিলি স্থল বন্দর থেকে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবুও বাজারে এখনো আলুর দাম পাইকারি পর্যায়ে ৫০ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে আমদানি করা হলেও চুয়াডাঙ্গার বাজারে আলুর দরে কোন সুবাতাস নেই।

এছাড়া দাম বেড়েছে বেগুনের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজি কাঁচা কলা, পটলের দাম কেজিতে বেড়ে ১৫ টাকা, আর এক কেজি কচুর দাম ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারের সব প্রকার সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। ফলে বাজারে আসা ক্রেতাদের নাভিশ^াস উঠছে। আর আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পাইকারি পর্যায়ে ১০০ টাকা কেজি আর খুচরা পর্যায়ে ১১০ টাকায়। রসুন পাইকারি পর্যায়ে ২০০ টাকা খুচরায় ২০ টাকা বাড়তি। আদার দামে ৩০ টাকা কমে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৬ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই সাথে পাল্লা দিয়েছে ডিমের দামও। এক খাচি ডিমের দাম ৩৯০ টাকা। এমন অবস্থায় দিনকে দিন বাজার হয়ে উঠছে অস্বাভাবিক।
বাজারে আসা এক ক্রেতা শামিম হোসেন বলেন, বাজারে এক কেজি ঝালের দাম নিল ৩৩০ টাকা। এখানে যদি অর্ধেক টাকা শেষ হয়ে যায়। তাহলে আর সব জিনিস কিনবো কিভাবে। গত সপ্তাহে ঝালের দাম নিয়েছিল ১৩০ টাকা। সেই ঝালের দাম আজকে তিন ডাবল। ঝাল কিনবো না আমিষ কিনবো বুঝতে পারছি না।

আরেক ক্রেতা রাজিব হাসান বলেন, বাজারে কোন সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। বেগুন ৯০ টাকা কেজি। আর সব প্রকার সবজি ৫০ টাকা উপরে মানে ৬০ ও ৭০ টাকা কেজি। এই রকম দাম বৃদ্ধি পেলে বাজারে আসলে নাভিশ্বাস অবস্থা। তাই সব ধরনের সবজির দাম কমলে সাধারণ মানুষ বাঁচে। এই ভাবে প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বাড়তেই থাকে। দাম কমার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। বাজারে খাদ্য পন্যের দাম কমলে স্বস্তি পেতাম।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির প্রভাবে আমদানি কমে গেছে সব ধরনের সবজির। এই সাথে একবারেই আমদানি নেই কাঁচা মরিচে। তাই দামটাও বেশি। তবে আগামি সপ্তাহ থেকে বাজার কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী

কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ দ্বিগুণ রাতারাতি চুয়াডাঙ্গায়

আপডেট সময় : ০২:৫৩:৩৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

বৃষ্টির অজুহাতে আমদানি কমে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচের। একদিনের ব্যবধানে ৩৩০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই কাঁচা পণ্য। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে গেছে সব প্রকার সবজিতে। ফলে দামও আকাশ ছুঁয়েছে। দাম বেড়েছে বেগুন, পটল, কচু, আলু, পেয়াঁজ, আদা, রসুনসহ আরো অন্যান্য সব ধরনের সবজির। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারসহ অন্যান্য সব ধরনের বাজারে এই অস্বাভাবিক দামের চিত্র দেখা যায়।

জানা গেছে, দুইদিন বৃষ্টি আর দেশের ১০ জেলায় বন্যার প্রভাবে আমদানি কমেছে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের। ফলে ওই সব বন্যা কবলিত জেলায় কাঁচা মরিচের রপ্তানির কারণে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে সংকট দেখা গেছে। তাই দামটাও বেড়েছে আকাশ সমান। এক দিনের ব্যবধানে ২০০ টাকা বেড়ে কেজিতে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা আগের দিনও ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের নাটকীয় দাম নিয়ে অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ দেখা গেছে।

অপরদিকে, গত দু সপ্তাহ আগে থেকে দিনাজপুর জেলার হিলি স্থল বন্দর থেকে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবুও বাজারে এখনো আলুর দাম পাইকারি পর্যায়ে ৫০ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে আমদানি করা হলেও চুয়াডাঙ্গার বাজারে আলুর দরে কোন সুবাতাস নেই।

এছাড়া দাম বেড়েছে বেগুনের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজি কাঁচা কলা, পটলের দাম কেজিতে বেড়ে ১৫ টাকা, আর এক কেজি কচুর দাম ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারের সব প্রকার সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। ফলে বাজারে আসা ক্রেতাদের নাভিশ^াস উঠছে। আর আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পাইকারি পর্যায়ে ১০০ টাকা কেজি আর খুচরা পর্যায়ে ১১০ টাকায়। রসুন পাইকারি পর্যায়ে ২০০ টাকা খুচরায় ২০ টাকা বাড়তি। আদার দামে ৩০ টাকা কমে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৬ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই সাথে পাল্লা দিয়েছে ডিমের দামও। এক খাচি ডিমের দাম ৩৯০ টাকা। এমন অবস্থায় দিনকে দিন বাজার হয়ে উঠছে অস্বাভাবিক।
বাজারে আসা এক ক্রেতা শামিম হোসেন বলেন, বাজারে এক কেজি ঝালের দাম নিল ৩৩০ টাকা। এখানে যদি অর্ধেক টাকা শেষ হয়ে যায়। তাহলে আর সব জিনিস কিনবো কিভাবে। গত সপ্তাহে ঝালের দাম নিয়েছিল ১৩০ টাকা। সেই ঝালের দাম আজকে তিন ডাবল। ঝাল কিনবো না আমিষ কিনবো বুঝতে পারছি না।

আরেক ক্রেতা রাজিব হাসান বলেন, বাজারে কোন সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। বেগুন ৯০ টাকা কেজি। আর সব প্রকার সবজি ৫০ টাকা উপরে মানে ৬০ ও ৭০ টাকা কেজি। এই রকম দাম বৃদ্ধি পেলে বাজারে আসলে নাভিশ্বাস অবস্থা। তাই সব ধরনের সবজির দাম কমলে সাধারণ মানুষ বাঁচে। এই ভাবে প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বাড়তেই থাকে। দাম কমার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। বাজারে খাদ্য পন্যের দাম কমলে স্বস্তি পেতাম।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির প্রভাবে আমদানি কমে গেছে সব ধরনের সবজির। এই সাথে একবারেই আমদানি নেই কাঁচা মরিচে। তাই দামটাও বেশি। তবে আগামি সপ্তাহ থেকে বাজার কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে।