শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ দ্বিগুণ রাতারাতি চুয়াডাঙ্গায়

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:৩৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

বৃষ্টির অজুহাতে আমদানি কমে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচের। একদিনের ব্যবধানে ৩৩০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই কাঁচা পণ্য। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে গেছে সব প্রকার সবজিতে। ফলে দামও আকাশ ছুঁয়েছে। দাম বেড়েছে বেগুন, পটল, কচু, আলু, পেয়াঁজ, আদা, রসুনসহ আরো অন্যান্য সব ধরনের সবজির। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারসহ অন্যান্য সব ধরনের বাজারে এই অস্বাভাবিক দামের চিত্র দেখা যায়।

জানা গেছে, দুইদিন বৃষ্টি আর দেশের ১০ জেলায় বন্যার প্রভাবে আমদানি কমেছে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের। ফলে ওই সব বন্যা কবলিত জেলায় কাঁচা মরিচের রপ্তানির কারণে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে সংকট দেখা গেছে। তাই দামটাও বেড়েছে আকাশ সমান। এক দিনের ব্যবধানে ২০০ টাকা বেড়ে কেজিতে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা আগের দিনও ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের নাটকীয় দাম নিয়ে অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ দেখা গেছে।

অপরদিকে, গত দু সপ্তাহ আগে থেকে দিনাজপুর জেলার হিলি স্থল বন্দর থেকে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবুও বাজারে এখনো আলুর দাম পাইকারি পর্যায়ে ৫০ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে আমদানি করা হলেও চুয়াডাঙ্গার বাজারে আলুর দরে কোন সুবাতাস নেই।

এছাড়া দাম বেড়েছে বেগুনের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজি কাঁচা কলা, পটলের দাম কেজিতে বেড়ে ১৫ টাকা, আর এক কেজি কচুর দাম ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারের সব প্রকার সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। ফলে বাজারে আসা ক্রেতাদের নাভিশ^াস উঠছে। আর আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পাইকারি পর্যায়ে ১০০ টাকা কেজি আর খুচরা পর্যায়ে ১১০ টাকায়। রসুন পাইকারি পর্যায়ে ২০০ টাকা খুচরায় ২০ টাকা বাড়তি। আদার দামে ৩০ টাকা কমে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৬ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই সাথে পাল্লা দিয়েছে ডিমের দামও। এক খাচি ডিমের দাম ৩৯০ টাকা। এমন অবস্থায় দিনকে দিন বাজার হয়ে উঠছে অস্বাভাবিক।
বাজারে আসা এক ক্রেতা শামিম হোসেন বলেন, বাজারে এক কেজি ঝালের দাম নিল ৩৩০ টাকা। এখানে যদি অর্ধেক টাকা শেষ হয়ে যায়। তাহলে আর সব জিনিস কিনবো কিভাবে। গত সপ্তাহে ঝালের দাম নিয়েছিল ১৩০ টাকা। সেই ঝালের দাম আজকে তিন ডাবল। ঝাল কিনবো না আমিষ কিনবো বুঝতে পারছি না।

আরেক ক্রেতা রাজিব হাসান বলেন, বাজারে কোন সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। বেগুন ৯০ টাকা কেজি। আর সব প্রকার সবজি ৫০ টাকা উপরে মানে ৬০ ও ৭০ টাকা কেজি। এই রকম দাম বৃদ্ধি পেলে বাজারে আসলে নাভিশ্বাস অবস্থা। তাই সব ধরনের সবজির দাম কমলে সাধারণ মানুষ বাঁচে। এই ভাবে প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বাড়তেই থাকে। দাম কমার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। বাজারে খাদ্য পন্যের দাম কমলে স্বস্তি পেতাম।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির প্রভাবে আমদানি কমে গেছে সব ধরনের সবজির। এই সাথে একবারেই আমদানি নেই কাঁচা মরিচে। তাই দামটাও বেশি। তবে আগামি সপ্তাহ থেকে বাজার কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ দ্বিগুণ রাতারাতি চুয়াডাঙ্গায়

আপডেট সময় : ০২:৫৩:৩৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

বৃষ্টির অজুহাতে আমদানি কমে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচের। একদিনের ব্যবধানে ৩৩০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই কাঁচা পণ্য। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে গেছে সব প্রকার সবজিতে। ফলে দামও আকাশ ছুঁয়েছে। দাম বেড়েছে বেগুন, পটল, কচু, আলু, পেয়াঁজ, আদা, রসুনসহ আরো অন্যান্য সব ধরনের সবজির। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারসহ অন্যান্য সব ধরনের বাজারে এই অস্বাভাবিক দামের চিত্র দেখা যায়।

জানা গেছে, দুইদিন বৃষ্টি আর দেশের ১০ জেলায় বন্যার প্রভাবে আমদানি কমেছে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের। ফলে ওই সব বন্যা কবলিত জেলায় কাঁচা মরিচের রপ্তানির কারণে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে সংকট দেখা গেছে। তাই দামটাও বেড়েছে আকাশ সমান। এক দিনের ব্যবধানে ২০০ টাকা বেড়ে কেজিতে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা আগের দিনও ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের নাটকীয় দাম নিয়ে অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ দেখা গেছে।

অপরদিকে, গত দু সপ্তাহ আগে থেকে দিনাজপুর জেলার হিলি স্থল বন্দর থেকে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবুও বাজারে এখনো আলুর দাম পাইকারি পর্যায়ে ৫০ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে আমদানি করা হলেও চুয়াডাঙ্গার বাজারে আলুর দরে কোন সুবাতাস নেই।

এছাড়া দাম বেড়েছে বেগুনের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজি কাঁচা কলা, পটলের দাম কেজিতে বেড়ে ১৫ টাকা, আর এক কেজি কচুর দাম ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারের সব প্রকার সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। ফলে বাজারে আসা ক্রেতাদের নাভিশ^াস উঠছে। আর আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পাইকারি পর্যায়ে ১০০ টাকা কেজি আর খুচরা পর্যায়ে ১১০ টাকায়। রসুন পাইকারি পর্যায়ে ২০০ টাকা খুচরায় ২০ টাকা বাড়তি। আদার দামে ৩০ টাকা কমে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৬ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই সাথে পাল্লা দিয়েছে ডিমের দামও। এক খাচি ডিমের দাম ৩৯০ টাকা। এমন অবস্থায় দিনকে দিন বাজার হয়ে উঠছে অস্বাভাবিক।
বাজারে আসা এক ক্রেতা শামিম হোসেন বলেন, বাজারে এক কেজি ঝালের দাম নিল ৩৩০ টাকা। এখানে যদি অর্ধেক টাকা শেষ হয়ে যায়। তাহলে আর সব জিনিস কিনবো কিভাবে। গত সপ্তাহে ঝালের দাম নিয়েছিল ১৩০ টাকা। সেই ঝালের দাম আজকে তিন ডাবল। ঝাল কিনবো না আমিষ কিনবো বুঝতে পারছি না।

আরেক ক্রেতা রাজিব হাসান বলেন, বাজারে কোন সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। বেগুন ৯০ টাকা কেজি। আর সব প্রকার সবজি ৫০ টাকা উপরে মানে ৬০ ও ৭০ টাকা কেজি। এই রকম দাম বৃদ্ধি পেলে বাজারে আসলে নাভিশ্বাস অবস্থা। তাই সব ধরনের সবজির দাম কমলে সাধারণ মানুষ বাঁচে। এই ভাবে প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বাড়তেই থাকে। দাম কমার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। বাজারে খাদ্য পন্যের দাম কমলে স্বস্তি পেতাম।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির প্রভাবে আমদানি কমে গেছে সব ধরনের সবজির। এই সাথে একবারেই আমদানি নেই কাঁচা মরিচে। তাই দামটাও বেশি। তবে আগামি সপ্তাহ থেকে বাজার কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে।