শিরোনাম :

পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড মামলার পুন:তদন্তের কাজ শিগগির শুরু হচ্ছে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:১২:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

আজ সোমবার ( ২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী  বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। শিগগিরই  পুন:তদন্তের কাজ শুরু হবে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, হত্যা মামলার চূড়ান্ত বিচার শেষ হয়নি ১৫ বছরেও। বিস্ফোরক মামলার বিচার এখনও আটকে আছে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

সেই বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।

এই ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিল হত্যা মামলা, অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়েছিল ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় মামলা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জীবননগরে সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন বিএনপি নেতা

পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড মামলার পুন:তদন্তের কাজ শিগগির শুরু হচ্ছে

আপডেট সময় : ১২:১২:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ সোমবার ( ২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী  বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। শিগগিরই  পুন:তদন্তের কাজ শুরু হবে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, হত্যা মামলার চূড়ান্ত বিচার শেষ হয়নি ১৫ বছরেও। বিস্ফোরক মামলার বিচার এখনও আটকে আছে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

সেই বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।

এই ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিল হত্যা মামলা, অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়েছিল ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় মামলা।