বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, পর্যবেক্ষণে আছেন হাসনাত আবদুল্লাহ, আগামীকাল অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে।
রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে দীর্ঘ সময় আটকে থাকার পর মুক্ত হয়ে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান সারজিস।
আনসারদের সচিবালয় ঘেরাও নিয়ে তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আজকের ঘটনা। বিপ্লব নস্যাতের চক্রান্তে একটি অপশক্তি কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হাসনাতের সবশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পরিচালক ব্রি. জে. আসাদুজ্জামান বলেছেন, হাসনাত আবদুল্লাহর জ্ঞান ফিরেছে, মাথায় এবং ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন। তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
তিনি আরও বলেন, সবমিলিয়ে আহত ৬০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালে। যাদের মধ্যে চারজন আনসার ছিলেন, বাকিরা শিক্ষার্থী। এরমধ্যে চারজন ভর্তি আছেন, বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এর আগে, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি চালায় আনসার বাহিনীর সদস্যরা। তবে রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আন্দোলনের স্থগিতের ঘোষণা দেন আনসারদের আন্দোলনের সমন্বয়ক নাসির মিয়া। কিন্তু বিকেলে সচিবালয় ঘেরাও দেয় কিছু আনসার সদস্য।
উপদেষ্টারা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা আটকা পড়ার খবরে সচিবালয়ে সামনে আসে হাজারও ছাত্র-জনতা। পরে হয় দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। যদিও এখন সেনাবাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এছাড়া অনেক আনসার সদস্যকে নেওয়া হয়েছে হেফাজতে।