আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে আগারগাঁওয়ের এনইসি ভবনে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি এখন অনেক বেশি।
আমাদের খরচ কমাতে হবে। প্রকল্প গ্রহণেও সেসব বিবেচনা করতে হবে। রাজনৈতিক সরকারের আমলে অনেক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প থাকে। এখন এসব আর থাকবে না।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অনেক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। এসব নিয়ে বর্ষীয়ান এই উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে ৪০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সবাই নিরুদ্দেশ। এসব প্রতিষ্ঠান চালু করাই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। এগুলোর পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবো। আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করতে হবে। শিক্ষার সাথে কর্মসংস্থানের পারস্পরিক সম্পর্ক আছে এবং এখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশের প্রশাসনেও একই অবস্থা। বেকারত্ব এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে হবে। ব্যয় কমানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়ানোর কৌশল গ্রহণ করতে হবে। এই মুহূর্তে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানো অনেক বেশি জরুরী।
তিনি আরও বলেন, কিছু প্রকল্প বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। যেসব প্রকল্প এখনো শুরু হয়নি, সেগুলো অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করা হবে। তবে যেসব প্রকল্পের অগ্রাধিকার নেই বা যেসব প্রকল্প থাকা অলাভজনক প্রকল্প সেগুলো চিহ্নিত করে ছাটাই করতে হবে।