চুয়াডাঙ্গায় ভাটা শ্রমিকের মরদেহ নিয়ে স্বজনদের বিক্ষোভ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিজির্স প্রতিবেদকঃ

চুয়াডাঙ্গায় শান্ত (১৮) নামে এক ইটভাটা শ্রমিককে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে তার স্বজন ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ করেছে তারা।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে শান্তর মরদেহ নিয়ে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ করে তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। পরে সেখানে মানববন্ধন করা হয়। এ সময় শান্তর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে দাবি করে রহস্য উদঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চান বিক্ষোভকারীরা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে গ্রামে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা।

মানববন্ধনে শান্তর স্বজনরা বলেন, সোমবার (১ জুলাই) ফজর নামাজ শেষে সকালে শান্ত জালশুকা গ্রামে হিমালয় ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ওই ইটভাটার পেছনের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে তারা। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, শান্তর মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এটি হত্যাকাণ্ড কি না এখনই নিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

এর আগে সোমবার (১ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের হিমালয় ইটভাটার পুকুর থেকে শ্রমিক শান্তর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি পার্শ্ববর্তী ডিঙ্গেদহ পাওয়ারহাউজ পাড়ার আজিজুল হকের ছেলে। পরিবারের দাবি, তাকে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় ভাটা শ্রমিকের মরদেহ নিয়ে স্বজনদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

নিজির্স প্রতিবেদকঃ

চুয়াডাঙ্গায় শান্ত (১৮) নামে এক ইটভাটা শ্রমিককে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে তার স্বজন ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ করেছে তারা।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে শান্তর মরদেহ নিয়ে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ করে তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। পরে সেখানে মানববন্ধন করা হয়। এ সময় শান্তর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে দাবি করে রহস্য উদঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চান বিক্ষোভকারীরা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে গ্রামে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা।

মানববন্ধনে শান্তর স্বজনরা বলেন, সোমবার (১ জুলাই) ফজর নামাজ শেষে সকালে শান্ত জালশুকা গ্রামে হিমালয় ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ওই ইটভাটার পেছনের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে তারা। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, শান্তর মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এটি হত্যাকাণ্ড কি না এখনই নিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

এর আগে সোমবার (১ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের হিমালয় ইটভাটার পুকুর থেকে শ্রমিক শান্তর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি পার্শ্ববর্তী ডিঙ্গেদহ পাওয়ারহাউজ পাড়ার আজিজুল হকের ছেলে। পরিবারের দাবি, তাকে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।