শিরোনাম :
Logo জুলাই সনদে এনসিপির পরেও অংশগ্রহণের সুযোগ আছে : ধর্ম উপদেষ্টা Logo নারী টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন নাভগির Logo দক্ষিণ কোরিয়ায় এপেক সম্মেলনে ট্রাম্প-শি বৈঠক হবে Logo তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রচিন্তার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে : মনিরুল হক চৌধুরী Logo মুন্সিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীরের সঙ্গে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার এক পলাতক আসামী গ্রেফতার Logo একদিনের সফরে কাল চাঁদপুর আসছেন মুফতি ফয়জুল করীম! Logo ধর্ষণের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ ! Logo খুবির গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন উদ্বোধন! Logo বুটেক্সে ‘অরণ্যের সুর – ফোক ফেস্ট ২.০’ অনুষ্ঠিত

ভয়াবহ মহামারি করোনার মধ্যেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোটচাঁদপুরে অহরহ চলছে জমজমাট কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য

  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০২০
  • ৮৩৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় অহরহ চলছে জমজমাট কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য। কোথাও কোথাও সাইনবোর্ড সরিয়ে, আবার কেউ কেউ পুরানো কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষকরা এই বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সরকারি স্কুল, কলেজ ও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বাসা ভাড়া নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বাণিজ্য। প্রশাসনের তেমন কোন অভিযান না থাকায় এইসব কোচিংগুলো কেবল বেপরোয়া হয়ে গেছে। একের পর এক কোচিং সেন্টারের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পৌরসভার মেইন বাসস্ট্যান্ডের পাশে খান আবাসিকের পাশে অবস্থিত একটি কোচিং সেন্টারে বেহাল চিত্র,নেই কোন সামাজিক দূরত্ব,স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কোচিং বাণিজ্য,যেটার ব্যবস্থপনায় আছেন কোটচাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। তাকে একাধিকবার সতর্ক করার পরেও তিনি কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করেননি। তিনি বলেন কোন অবস্থাতেও সে কোচিং সেন্টার বন্ধ করবেন না। এমন আরো কোচিং সেন্টার রয়েছে এই উপজেলায়, তার মধ্যে পৌর শহরের কলেজ বাসষ্ঠ্যান্ডে অবস্থিত ফয়েজ স্যারের নিয়ন্ত্রণে চলে একটি কোচিং সেন্টার, এবং পৌর পোষ্ট অফিস পাড়ায় কোটচাঁদপুর জিয়া কলেজের স্যার আঃ রবের নিয়ন্ত্রণে চলে আরেকটি কোচিং সেন্টার। উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের তালসার গ্রামে বর্নমালা নামে আরেকটি কোচিং সেন্টার আছে এবং চলছে অবাধে কোচিং বাণিজ্য। এসব কোচিং সেন্টারে একদিন পর পর এক এক ব্যাচকে পড়ানো হয়। প্রতিদিন গড়ে ৭/৮টি ব্যাচকে পড়ানো হচ্ছে। আর তাতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে তারা কোচিং বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছে। উপজেলা প্রশাসনের নিকট কোচিং-প্রাইভেট বাণিজ্যের বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হলেও প্রশাসনের নাকের ঢগায় এসব অবৈধ কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র শিক্ষার্থী, অভিাবক, সচেতন মহল হতাশ। আর এসব কোচিং সেন্টারে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ও বিকালে এমনকি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে শিক্ষকদের প্রাইভেট পাঠদান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, কোচিং না করলে আমরা শিখবো কিভাবে, ক্লাসে তো শিক্ষকরা আমাদের ঠিকমত বোঝাতে চায় না আর যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই আমরা কোচিং করতে বাধ্য হচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মাসে ১২ দিন কোচিং করে শিক্ষকদেরকে ১ বিষয়ের বাবদ ১ হাজার টাকা প্রদান করে থাকি। আর বিশেষ করে স্কুল শিক্ষকদের কাছে কোচিং করলে আমাদের সুবিধা হয়। আমরা পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করি যেন দ্রুত এইসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে বাকিরা এইসব থেকে বিরত থাকবে। তাই ভুক্তভোগী অভিভাবক, শিক্ষার্থী সচেতন মহল কোটচাঁদপুর উপজেলার সকল অবৈধ কোচিং, প্রাইভেট বাণিজ্য বন্ধের জন্য সরকারের উধ্বর্তন কর্মকর্তাগনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে এনসিপির পরেও অংশগ্রহণের সুযোগ আছে : ধর্ম উপদেষ্টা

ভয়াবহ মহামারি করোনার মধ্যেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোটচাঁদপুরে অহরহ চলছে জমজমাট কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য

আপডেট সময় : ০৩:১৭:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় অহরহ চলছে জমজমাট কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য। কোথাও কোথাও সাইনবোর্ড সরিয়ে, আবার কেউ কেউ পুরানো কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষকরা এই বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সরকারি স্কুল, কলেজ ও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বাসা ভাড়া নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বাণিজ্য। প্রশাসনের তেমন কোন অভিযান না থাকায় এইসব কোচিংগুলো কেবল বেপরোয়া হয়ে গেছে। একের পর এক কোচিং সেন্টারের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পৌরসভার মেইন বাসস্ট্যান্ডের পাশে খান আবাসিকের পাশে অবস্থিত একটি কোচিং সেন্টারে বেহাল চিত্র,নেই কোন সামাজিক দূরত্ব,স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কোচিং বাণিজ্য,যেটার ব্যবস্থপনায় আছেন কোটচাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। তাকে একাধিকবার সতর্ক করার পরেও তিনি কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করেননি। তিনি বলেন কোন অবস্থাতেও সে কোচিং সেন্টার বন্ধ করবেন না। এমন আরো কোচিং সেন্টার রয়েছে এই উপজেলায়, তার মধ্যে পৌর শহরের কলেজ বাসষ্ঠ্যান্ডে অবস্থিত ফয়েজ স্যারের নিয়ন্ত্রণে চলে একটি কোচিং সেন্টার, এবং পৌর পোষ্ট অফিস পাড়ায় কোটচাঁদপুর জিয়া কলেজের স্যার আঃ রবের নিয়ন্ত্রণে চলে আরেকটি কোচিং সেন্টার। উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের তালসার গ্রামে বর্নমালা নামে আরেকটি কোচিং সেন্টার আছে এবং চলছে অবাধে কোচিং বাণিজ্য। এসব কোচিং সেন্টারে একদিন পর পর এক এক ব্যাচকে পড়ানো হয়। প্রতিদিন গড়ে ৭/৮টি ব্যাচকে পড়ানো হচ্ছে। আর তাতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে তারা কোচিং বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছে। উপজেলা প্রশাসনের নিকট কোচিং-প্রাইভেট বাণিজ্যের বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হলেও প্রশাসনের নাকের ঢগায় এসব অবৈধ কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র শিক্ষার্থী, অভিাবক, সচেতন মহল হতাশ। আর এসব কোচিং সেন্টারে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ও বিকালে এমনকি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে শিক্ষকদের প্রাইভেট পাঠদান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, কোচিং না করলে আমরা শিখবো কিভাবে, ক্লাসে তো শিক্ষকরা আমাদের ঠিকমত বোঝাতে চায় না আর যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই আমরা কোচিং করতে বাধ্য হচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মাসে ১২ দিন কোচিং করে শিক্ষকদেরকে ১ বিষয়ের বাবদ ১ হাজার টাকা প্রদান করে থাকি। আর বিশেষ করে স্কুল শিক্ষকদের কাছে কোচিং করলে আমাদের সুবিধা হয়। আমরা পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করি যেন দ্রুত এইসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে বাকিরা এইসব থেকে বিরত থাকবে। তাই ভুক্তভোগী অভিভাবক, শিক্ষার্থী সচেতন মহল কোটচাঁদপুর উপজেলার সকল অবৈধ কোচিং, প্রাইভেট বাণিজ্য বন্ধের জন্য সরকারের উধ্বর্তন কর্মকর্তাগনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।