শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ Logo ইবিতে দুর্গাপূজার মধ্যে পরীক্ষা না নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি Logo চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo কয়রা হরিণের মাংস উদ্ধার Logo শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ইবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে নবগঠিত গভর্নিংবডি পরিচিতি ও মতবিনিময়ে ভরপুর ছিলো প্রাণের উচ্ছ্বাস Logo খুবিতে সেমিনার: ‘উত্তরণে বাংলাদেশ- শাসনব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং নীতি সংস্কার’ Logo দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা Logo জাকসু প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন  বাগছাসের জিএস প্রার্থীর Logo শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টার সুস্থতা ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সভাপতির রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

শৈলকুপায় একর পর এক বিষধর সাঁপের দংশনে মৃত্যু বেড়েই চলেছে, ২০ দিনের মধ্যেই ৬জনের মৃত্যু!

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৩ আগস্ট ২০২০
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিষধর সাঁপের কামড়ে ২শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে পৌর এলাকার চতুড়া ও দুধসর ইউনিয়নের নাকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকার চতুড়া গ্রামের শুভ’র ছেলে রাব্বি (৫) রাতে বাবা মায়ের পাশে ঘুমিয়ে ছিল। এসময় ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু ছেলেটিকে সাঁপে কামড় দেয়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথে শিশুটি মারা যায়। এছাড়া দুধসর ইউনিয়নের নাকোল গ্রামে বিল্লাল হোসেনের ছেলে তাহসিন (৯) ঘরের মেঝেতে শুয়ে ছিল। রাত ২টার দিকে বিষাক্ত সাপে কামড় দেয়। পড়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোরে ছেলেটি মারা যায়। শিশুটির পিতা বিল্লাল হোসেন জানায়, তার ছেলেকে সাঁপে কামড় দিলে প্রথমে ওঝা কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে ছেলেটি সুস্থ্য হয়ে যায় । নিশ্চিত হতে মনের সন্দেহ দূর করতে ছেলেকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথে ছেলেটি মারা যায়। অভিযোগ করে বলেন, সুচিকিৎসা পাবার আশায় হাসাপাতালে সাপ ধরে নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে অবহেলা করা হয়েছে। প্রথমে হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ও নার্স ডেকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানায়, সাপে কাটা রোগিগুলো হাসপাতালে নিয়ে ইনজেকশন দেবার সাথে সাথে মারা যাচ্ছে। সব সমস্যার সমাধান হলেও এই সমস্যার সমাধান কেউ দিতে পারছেনা। এই শাখাকানন, কালাচ নামে পরিচিত সাঁপে কামড়ানো ব্যক্তিদের বেঁচে যাওয়ার রেকর্ড খুবই কম। তাহলে কেন এর এন্টিভেনম ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রাখা হচ্ছে না। আজ পযন্ত হাসপাতালে যেয়ে কেউ বাঁচতে পারিনি। এদিকে সাঁপের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসী আতংকিত হয়ে পড়েছে। ২০ দিনের ব্যবধানে শৈলকুপা উপজেলায় সাঁপের কামড়ে ৪ শিশুসহ ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। সাঁপের উপদ্রব বন্ধে ও সাঁপে কাটা রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জেলাবাসীর অভিযোগ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

শৈলকুপায় একর পর এক বিষধর সাঁপের দংশনে মৃত্যু বেড়েই চলেছে, ২০ দিনের মধ্যেই ৬জনের মৃত্যু!

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৩ আগস্ট ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিষধর সাঁপের কামড়ে ২শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে পৌর এলাকার চতুড়া ও দুধসর ইউনিয়নের নাকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকার চতুড়া গ্রামের শুভ’র ছেলে রাব্বি (৫) রাতে বাবা মায়ের পাশে ঘুমিয়ে ছিল। এসময় ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু ছেলেটিকে সাঁপে কামড় দেয়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথে শিশুটি মারা যায়। এছাড়া দুধসর ইউনিয়নের নাকোল গ্রামে বিল্লাল হোসেনের ছেলে তাহসিন (৯) ঘরের মেঝেতে শুয়ে ছিল। রাত ২টার দিকে বিষাক্ত সাপে কামড় দেয়। পড়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোরে ছেলেটি মারা যায়। শিশুটির পিতা বিল্লাল হোসেন জানায়, তার ছেলেকে সাঁপে কামড় দিলে প্রথমে ওঝা কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে ছেলেটি সুস্থ্য হয়ে যায় । নিশ্চিত হতে মনের সন্দেহ দূর করতে ছেলেকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথে ছেলেটি মারা যায়। অভিযোগ করে বলেন, সুচিকিৎসা পাবার আশায় হাসাপাতালে সাপ ধরে নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে অবহেলা করা হয়েছে। প্রথমে হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ও নার্স ডেকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানায়, সাপে কাটা রোগিগুলো হাসপাতালে নিয়ে ইনজেকশন দেবার সাথে সাথে মারা যাচ্ছে। সব সমস্যার সমাধান হলেও এই সমস্যার সমাধান কেউ দিতে পারছেনা। এই শাখাকানন, কালাচ নামে পরিচিত সাঁপে কামড়ানো ব্যক্তিদের বেঁচে যাওয়ার রেকর্ড খুবই কম। তাহলে কেন এর এন্টিভেনম ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রাখা হচ্ছে না। আজ পযন্ত হাসপাতালে যেয়ে কেউ বাঁচতে পারিনি। এদিকে সাঁপের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসী আতংকিত হয়ে পড়েছে। ২০ দিনের ব্যবধানে শৈলকুপা উপজেলায় সাঁপের কামড়ে ৪ শিশুসহ ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। সাঁপের উপদ্রব বন্ধে ও সাঁপে কাটা রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জেলাবাসীর অভিযোগ।