শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

মেহেরপুরের গাংনী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:২৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০২০
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মেহেরপুরের গাংনী চাল পট্টিতে পৌরসভার তত্বাবধায়নে মার্কেট নির্মান কাজ বন্ধ করেছে দিয়েছে প্রশাসন। সরকারী অনুমোদন না থাকার কারনে বুধবার সহকারী কমিশনার ভুমি মো: ইয়ানুর রহমান উপস্থিত হয়ে মার্কেট নির্মান কাজ বন্দের নির্দেশনা দেন।

এদিকে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি ও দোকান উচ্ছেদের অভিযোগে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে ৩জন ভুক্তভুগী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

মো: জহুরুল ইসলাম ঝন্টু নামের এক হোটেল ব্যবসায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেছেন,মেয়র আশরাফুল ইসলাম তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারনে দোকান উচ্ছেদ করার হুমকি দিচ্ছে।

একই অভিযোগ করেছেন আলিউল ও নাজমুল হোসেন নামের দুজন ব্যবসায়ী। (লিখিত অভিযোগ গ্রহনে জেলা প্রশসক কার্যালয়ের মহর যুক্ত অভিযোগ এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে তবে ঘটনাস্থলে অভিযোগকারীদের না পাওয়ায় সরাসরি তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি)।

সহকারী কমিশনার ভুমি মো: ইয়ানুর রহমান জানান, নির্মাণ কাজের বিষয়ে সরকারী কোন অনুমোদন ও জেলা প্রশাসন অবগত নয়। একারনে আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জমি যদি পৌরসভার হয় কিংবা বৈধ কাগজপত্র থাকে তাহলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখানে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে সেই জমি দখল মুক্ত করে ৩ তলা মার্কেট নির্মান করা হবে। মার্কেট সরকারী জমি থেকে উচ্ছেদ ও নির্মান কাজ বন্ধ রাখার ষড়যন্ত্র হিসেবে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে পরবর্তিতে কাজ শুরু করা হবে।

পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া মজমপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোমানা কন্সট্রাকশন ১ কোটি সাড়ে ১২ লাখ টাকা চুক্তিতে এ কাজটি বাস্তবায়ন করবে।

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, ইতোপূর্বে জবর দখল করে মার্কেট নির্মান কাজ করতে চেয়েছিলো এ কারনে বাধা দিয়েছিলাম।

পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছে সে সরকারী বিধি মোতাবেক কাগজপত্র ঠিক করে কাজ শুরু করেছে। সরকারী বিধি কিংবা বৈধ কোন কাগজপত্র আপনি কি দেখেছেন জানতে চাইলে তিনি এ প্রসঙ্গে এড়িয়ে যান এবং তিনি বলেন কাগজ ঠিক না থাকলে আবারো কাজ বন্ধ করা হবে।

গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন, সরকারি জায়গায় যে কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে সরকারকে অবগত করতে হবে।

গাংনী চাল পট্টিতে মার্কেট নির্মাণ বিষয়ে কিছু জানিনা একারনে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আপাতত কাজটি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যাচাই বাছাই শেষে পরবর্তী কার্যক্রম নেয়া হবে। অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,লিখিত অভিযোগটি এখন পর্যন্ত তার কাছে আসেনি। অভিযোগটি ডাক ফাইলে থাকতে পারে। অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

মেহেরপুরের গাংনী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৫৩:২৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

মেহেরপুরের গাংনী চাল পট্টিতে পৌরসভার তত্বাবধায়নে মার্কেট নির্মান কাজ বন্ধ করেছে দিয়েছে প্রশাসন। সরকারী অনুমোদন না থাকার কারনে বুধবার সহকারী কমিশনার ভুমি মো: ইয়ানুর রহমান উপস্থিত হয়ে মার্কেট নির্মান কাজ বন্দের নির্দেশনা দেন।

এদিকে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি ও দোকান উচ্ছেদের অভিযোগে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে ৩জন ভুক্তভুগী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

মো: জহুরুল ইসলাম ঝন্টু নামের এক হোটেল ব্যবসায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেছেন,মেয়র আশরাফুল ইসলাম তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারনে দোকান উচ্ছেদ করার হুমকি দিচ্ছে।

একই অভিযোগ করেছেন আলিউল ও নাজমুল হোসেন নামের দুজন ব্যবসায়ী। (লিখিত অভিযোগ গ্রহনে জেলা প্রশসক কার্যালয়ের মহর যুক্ত অভিযোগ এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে তবে ঘটনাস্থলে অভিযোগকারীদের না পাওয়ায় সরাসরি তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি)।

সহকারী কমিশনার ভুমি মো: ইয়ানুর রহমান জানান, নির্মাণ কাজের বিষয়ে সরকারী কোন অনুমোদন ও জেলা প্রশাসন অবগত নয়। একারনে আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জমি যদি পৌরসভার হয় কিংবা বৈধ কাগজপত্র থাকে তাহলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখানে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে সেই জমি দখল মুক্ত করে ৩ তলা মার্কেট নির্মান করা হবে। মার্কেট সরকারী জমি থেকে উচ্ছেদ ও নির্মান কাজ বন্ধ রাখার ষড়যন্ত্র হিসেবে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে পরবর্তিতে কাজ শুরু করা হবে।

পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া মজমপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোমানা কন্সট্রাকশন ১ কোটি সাড়ে ১২ লাখ টাকা চুক্তিতে এ কাজটি বাস্তবায়ন করবে।

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, ইতোপূর্বে জবর দখল করে মার্কেট নির্মান কাজ করতে চেয়েছিলো এ কারনে বাধা দিয়েছিলাম।

পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছে সে সরকারী বিধি মোতাবেক কাগজপত্র ঠিক করে কাজ শুরু করেছে। সরকারী বিধি কিংবা বৈধ কোন কাগজপত্র আপনি কি দেখেছেন জানতে চাইলে তিনি এ প্রসঙ্গে এড়িয়ে যান এবং তিনি বলেন কাগজ ঠিক না থাকলে আবারো কাজ বন্ধ করা হবে।

গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন, সরকারি জায়গায় যে কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে সরকারকে অবগত করতে হবে।

গাংনী চাল পট্টিতে মার্কেট নির্মাণ বিষয়ে কিছু জানিনা একারনে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আপাতত কাজটি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যাচাই বাছাই শেষে পরবর্তী কার্যক্রম নেয়া হবে। অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,লিখিত অভিযোগটি এখন পর্যন্ত তার কাছে আসেনি। অভিযোগটি ডাক ফাইলে থাকতে পারে। অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।