সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

জামালপুরে বাড়ছে মৌ চাষির সংখ্যা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৮০৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ফসলি ক্ষেতে মধু চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তনে নেমেছেন জামালপুরের মৌ চাষিরা। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ হয়েছে সরিষা। শতাধিক মৌ চাষি এসব সরিষা ক্ষেতে বাক্স বসিয়ে আহরণ করছেন মধু।

লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে মৌ চাষির সংখ্যা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মৌ চাষ করে বেকারত্ব ঘোচানো সম্ভব বলেও মনে করছেন মৌ চাষিরা।

গেলো বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জামালপুর জেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে সরিষার চাষ হয়েছে। শতাধিক মৌ চাষি এসব সরিষা খেতে প্রায় দশ হাজার মৌমাছির বাক্স বসিয়ে আহরণ করছেন মধু। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি বাক্সে ৮ থেকে ১০ কেজি মধু সংগ্রহ করছেন তারা।

নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত চলবে মধু সংগ্রহ। এসময়ে মৌ চাষিরা সরিষা খেত ছাড়াও কালিজিরা, ধনিয়া ফুল, লিচু বাগন থেকে মধু সংগ্রহ করবেন।

প্রতি মৌসুমে সব খরচ পুষিয়েও ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় হয় তাদের। আর মৌ চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে মৌ চাষির সংখ্যাও। গেলো বছর জেলায় ৭০ জনের মতো মৌ চাষি মধু চাষ করলেও এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতাধিকে।

তবে মৌ চাষিরা জানিয়েছেন, মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়ণের ফলে ফসল বৃদ্ধির বিষয়টি অনেক কৃষকের অজানা থাকায় তাদের জমিতে মৌমাছির বাক্স বসাতে বাধা দেয়। যে কারণে উপযুক্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও সেখানে বাক্স বসাতে পারেন না মৌ চাষিরা। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিলে কৃষক এবং মৌ চাষি উভয়ই লাভবান হবেন।

মৌ চাষি শফিকুল ইসলাম জানান, দুই বছর আগে বিসিক থেকে মৌ চাষের উপর প্রশিক্ষণ এবং ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে মাত্র ৩৫টি বাক্স দিয়ে মৌ চাষে নামেন। এখন তার প্রায় দুইশ বাক্স রয়েছে, আর সব খরচ মিটিয়ে প্রতি মৌসুমে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে।

অপরদিকে প্রচুর পরিমাণে আহরণ করা এসব মধু সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং বিক্রির জন্য উপযুক্ত বাজার না থাকায় স্থানীয়ভাবে কম দামেই বিক্রি করে দিতে হচ্ছে মৌ চাষিদের। মধু সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং বিক্রির জন্য উপযুক্ত বাজার সৃষ্টি করা গেলে আয় বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুন হতো বলে দাবি মৌ চাষিদের।

বাংলাদেশ মৌ চাষি কল্যাণ সমিতি জামালপুর জেলার সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম সিদ্দিক বলেন, লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর মৌ চাষির সংখ্যা বাড়ছে। তবে মধু সংরক্ষণে রেখে বাজারজাত করার কোনো সুযোগ না থাকায় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না মৌ চাষিরা, সরকারিভাবে মধু সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলে মৌ চাষ করেই বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

জামালপুরে বাড়ছে মৌ চাষির সংখ্যা !

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ফসলি ক্ষেতে মধু চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তনে নেমেছেন জামালপুরের মৌ চাষিরা। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ হয়েছে সরিষা। শতাধিক মৌ চাষি এসব সরিষা ক্ষেতে বাক্স বসিয়ে আহরণ করছেন মধু।

লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে মৌ চাষির সংখ্যা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মৌ চাষ করে বেকারত্ব ঘোচানো সম্ভব বলেও মনে করছেন মৌ চাষিরা।

গেলো বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জামালপুর জেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে সরিষার চাষ হয়েছে। শতাধিক মৌ চাষি এসব সরিষা খেতে প্রায় দশ হাজার মৌমাছির বাক্স বসিয়ে আহরণ করছেন মধু। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি বাক্সে ৮ থেকে ১০ কেজি মধু সংগ্রহ করছেন তারা।

নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত চলবে মধু সংগ্রহ। এসময়ে মৌ চাষিরা সরিষা খেত ছাড়াও কালিজিরা, ধনিয়া ফুল, লিচু বাগন থেকে মধু সংগ্রহ করবেন।

প্রতি মৌসুমে সব খরচ পুষিয়েও ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় হয় তাদের। আর মৌ চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে মৌ চাষির সংখ্যাও। গেলো বছর জেলায় ৭০ জনের মতো মৌ চাষি মধু চাষ করলেও এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতাধিকে।

তবে মৌ চাষিরা জানিয়েছেন, মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়ণের ফলে ফসল বৃদ্ধির বিষয়টি অনেক কৃষকের অজানা থাকায় তাদের জমিতে মৌমাছির বাক্স বসাতে বাধা দেয়। যে কারণে উপযুক্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও সেখানে বাক্স বসাতে পারেন না মৌ চাষিরা। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিলে কৃষক এবং মৌ চাষি উভয়ই লাভবান হবেন।

মৌ চাষি শফিকুল ইসলাম জানান, দুই বছর আগে বিসিক থেকে মৌ চাষের উপর প্রশিক্ষণ এবং ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে মাত্র ৩৫টি বাক্স দিয়ে মৌ চাষে নামেন। এখন তার প্রায় দুইশ বাক্স রয়েছে, আর সব খরচ মিটিয়ে প্রতি মৌসুমে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে।

অপরদিকে প্রচুর পরিমাণে আহরণ করা এসব মধু সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং বিক্রির জন্য উপযুক্ত বাজার না থাকায় স্থানীয়ভাবে কম দামেই বিক্রি করে দিতে হচ্ছে মৌ চাষিদের। মধু সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং বিক্রির জন্য উপযুক্ত বাজার সৃষ্টি করা গেলে আয় বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুন হতো বলে দাবি মৌ চাষিদের।

বাংলাদেশ মৌ চাষি কল্যাণ সমিতি জামালপুর জেলার সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম সিদ্দিক বলেন, লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর মৌ চাষির সংখ্যা বাড়ছে। তবে মধু সংরক্ষণে রেখে বাজারজাত করার কোনো সুযোগ না থাকায় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না মৌ চাষিরা, সরকারিভাবে মধু সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলে মৌ চাষ করেই বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হবে।