বুধবার | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন নেত্রী ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ Logo বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চাঁদপুর জেলা বিএনপির শোক বইতে স্বাক্ষরসহ কর্মসূচি Logo সাতক্ষীরা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার মাগফুর Logo তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা Logo খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক Logo আপনারা সবাই আমার মা’র জন্য দোয়া করবেন : তারেক রহমান Logo বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের গভীর শোক Logo ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার Logo চাঁদপুর-৩ আসনে গনফোরাম মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবরের মনোনয়ন দাখিল Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী

পাচারকালে আটক বিশেষ বরাদ্দের ৬৬০ বস্তা চাল

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:৪২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের কারসাজি
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড শফিকুল আজম খান চঞ্চলের বিশেষ বরাদ্দের ৬৬০ বস্তা চাল জীবননগরে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আটক করলেও কোটচাঁদপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) সুপারিশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এই চাল কোটচাঁদপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রকের যোগসাজসে প্রকল্পের সভাপতিরা উত্তোলন করে গতকাল শনিবার বিক্রির জন্য জীবননগর নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় কোটচাঁদপুর ও জীবননগর সড়কের সিরামিক ফ্যাক্টরীর কাছে পুলিশ আটক করে। চাল আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন কোটচাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ উদ্দীন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও কোটচাঁদপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাকে অবহিত করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা বিষয়টি তদন্ত করে যদি কেউ দোষি সাব্যস্ত হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসে আটককৃত চাল ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ উদ্দীন উল্লেখ করেন।’ কিন্তু কোটচাঁদপুরের চাল কেন অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এ প্রশ্নের সদুত্তর কোন সরকারি কর্মকর্তা দিতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নাজমুল হাসান নাইম বলেন, শনিবার সাফদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশের আলী, এলাঙ্গীর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান ও বলুহরের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনসহ ৫ জনের নামে ৬৬০ বস্তা চাল উত্তোলন করা হয়। এই চাল এমপির বিশেষ বরাদ্দের। তিনি বলেন, এই চাল কে কোথায় বিক্রি করছে তা আমার দেখার বিষয় না। বিষয়টি খোঁজ খবর নিতে কোটচাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোডাউনে এসেছিলেন বলেও জানান খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নাজমুল হাসান নাইম।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে ঈদ সামনে করে এমপির এই বিশেষ বরাদ্দ কাজ না করেই লোপট করা হতে পারে। এই জন্যই ভুয়া প্রকল্প বানিয়ে এই চাল উত্তোলন করে জীবননগর শহরে বিক্রির জন্য পাচার করা হচ্ছিল। সাফদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশের আলী বলেন, আমাদের কোন চাল বিক্রির জন্য জীবননগর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না। তাছাড়া এমন খবর আমার জানাও নেই।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড শফিকুল আজম খান চঞ্চল বলেন, এমনও হতে পারে কোন প্রকল্প সভাপতি হয়তো চাল বিক্রি করে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য চাল জীবননগর নিয়ে যাচ্ছিল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন নেত্রী ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ

পাচারকালে আটক বিশেষ বরাদ্দের ৬৬০ বস্তা চাল

আপডেট সময় : ১০:২৬:৪২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯

কোটচাঁদপুরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের কারসাজি
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড শফিকুল আজম খান চঞ্চলের বিশেষ বরাদ্দের ৬৬০ বস্তা চাল জীবননগরে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আটক করলেও কোটচাঁদপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) সুপারিশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এই চাল কোটচাঁদপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রকের যোগসাজসে প্রকল্পের সভাপতিরা উত্তোলন করে গতকাল শনিবার বিক্রির জন্য জীবননগর নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় কোটচাঁদপুর ও জীবননগর সড়কের সিরামিক ফ্যাক্টরীর কাছে পুলিশ আটক করে। চাল আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন কোটচাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ উদ্দীন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও কোটচাঁদপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাকে অবহিত করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা বিষয়টি তদন্ত করে যদি কেউ দোষি সাব্যস্ত হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসে আটককৃত চাল ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ উদ্দীন উল্লেখ করেন।’ কিন্তু কোটচাঁদপুরের চাল কেন অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এ প্রশ্নের সদুত্তর কোন সরকারি কর্মকর্তা দিতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নাজমুল হাসান নাইম বলেন, শনিবার সাফদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশের আলী, এলাঙ্গীর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান ও বলুহরের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনসহ ৫ জনের নামে ৬৬০ বস্তা চাল উত্তোলন করা হয়। এই চাল এমপির বিশেষ বরাদ্দের। তিনি বলেন, এই চাল কে কোথায় বিক্রি করছে তা আমার দেখার বিষয় না। বিষয়টি খোঁজ খবর নিতে কোটচাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোডাউনে এসেছিলেন বলেও জানান খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নাজমুল হাসান নাইম।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে ঈদ সামনে করে এমপির এই বিশেষ বরাদ্দ কাজ না করেই লোপট করা হতে পারে। এই জন্যই ভুয়া প্রকল্প বানিয়ে এই চাল উত্তোলন করে জীবননগর শহরে বিক্রির জন্য পাচার করা হচ্ছিল। সাফদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশের আলী বলেন, আমাদের কোন চাল বিক্রির জন্য জীবননগর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না। তাছাড়া এমন খবর আমার জানাও নেই।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড শফিকুল আজম খান চঞ্চল বলেন, এমনও হতে পারে কোন প্রকল্প সভাপতি হয়তো চাল বিক্রি করে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য চাল জীবননগর নিয়ে যাচ্ছিল।