শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর পুরান বাজারে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ভারতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অফিস বন্ধের আহ্বান ঢাকার! Logo ইবিতে প্রথম ট্যুরিস্ট ক্লাব নির্বাচন; নেতৃত্বে রিফাত ও ফেরদৌস Logo এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড ও আলাদা অধিদপ্তর গঠনের দাবিতে মাধ্যমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo চাঁদপুরে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস মালিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের আলোচনা সভা Logo চাঁদপুরে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগের শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ” পরীক্ষা Logo বীরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের  ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে Logo পলাশবাড়ীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম জন্মবার্ষিকী পালিত Logo আপনি কি নিঃস্বার্থ নাকি স্বার্থপর? Logo বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ মত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

নির্বাচনে জেতার জন্য বিএনপি ‘জাতীয়তাবাদী নির্বাচন কমিশন’ চায় : সেতুমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেতার জন্য বিএনপি ‘জাতীয়তাবাদী নির্বাচন কমিশন’ চায়।
তিনি আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনার মঞ্চ ও প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন ও ভারতের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে এই সংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ।
পরিদর্শনকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি চায় জাতীয়তাবাদী নির্বাচন কমিশন। তারা তো চায় তাদেরকে নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা দিতে হবে, তাহলে তারা নির্বাচনে আসবে। বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির জন্য ভাটায় আছে। তাদের রাজনীতিতে কখন জোয়ার আসবে সেটা কেউ জানে না।’
তিনি বলেন, রাজনীতি হলো জোয়ার ভাটার খেলা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন আওয়ামী লীগ নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্যে রাজনীতি করেছে। সে সময় আমাদের রাজনীতিতে ভাটা ছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ও আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে রাজনীতি করেছি।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নয় বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বে দেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তাই রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ জোয়ারের মধ্যে রয়েছে। আর এই জোয়ারের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা তো বলিনি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চাই না। বিএনপি ইচ্ছে করে নির্বাচনে না এলে আমরা কি করবো। আমরা তো তাদেরকে টেনে আনবো না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অধিকার। সরকারের দয়ায় বা করুণা নয়। আজকে সিটি করপোরেশনগুলোতে সুন্দরভাবে নির্বাচন হচ্ছে। তাদের কে বাধা দিয়েছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপ কেন? নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এসময় সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করবে। রুটিন ওয়ার্ক করবে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু করবে না। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গণসংবর্ধনা নিয়ে কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন সারাবিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে, প্রশংসিত হচ্ছে। এই উন্নয়ন ও অর্জন মাত্র কয়েক বছরে বিশ্বরেকর্ড হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিশ্রমের জন্যই এই অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। গণসংবর্ধনার জোয়ারের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর পুরান বাজারে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন

নির্বাচনে জেতার জন্য বিএনপি ‘জাতীয়তাবাদী নির্বাচন কমিশন’ চায় : সেতুমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেতার জন্য বিএনপি ‘জাতীয়তাবাদী নির্বাচন কমিশন’ চায়।
তিনি আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনার মঞ্চ ও প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন ও ভারতের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে এই সংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ।
পরিদর্শনকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি চায় জাতীয়তাবাদী নির্বাচন কমিশন। তারা তো চায় তাদেরকে নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা দিতে হবে, তাহলে তারা নির্বাচনে আসবে। বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির জন্য ভাটায় আছে। তাদের রাজনীতিতে কখন জোয়ার আসবে সেটা কেউ জানে না।’
তিনি বলেন, রাজনীতি হলো জোয়ার ভাটার খেলা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন আওয়ামী লীগ নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্যে রাজনীতি করেছে। সে সময় আমাদের রাজনীতিতে ভাটা ছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ও আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে রাজনীতি করেছি।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নয় বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বে দেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তাই রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ জোয়ারের মধ্যে রয়েছে। আর এই জোয়ারের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা তো বলিনি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চাই না। বিএনপি ইচ্ছে করে নির্বাচনে না এলে আমরা কি করবো। আমরা তো তাদেরকে টেনে আনবো না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অধিকার। সরকারের দয়ায় বা করুণা নয়। আজকে সিটি করপোরেশনগুলোতে সুন্দরভাবে নির্বাচন হচ্ছে। তাদের কে বাধা দিয়েছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপ কেন? নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এসময় সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করবে। রুটিন ওয়ার্ক করবে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু করবে না। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গণসংবর্ধনা নিয়ে কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন সারাবিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে, প্রশংসিত হচ্ছে। এই উন্নয়ন ও অর্জন মাত্র কয়েক বছরে বিশ্বরেকর্ড হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিশ্রমের জন্যই এই অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। গণসংবর্ধনার জোয়ারের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।