শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গা ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়ালে ২০ জনের চোখ হারানোর ঘটনা

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৮ জুলাই ২০১৮
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

চিকিৎসকদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের!

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে এসে ২০ জনের চোখ হারানোর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি তদন্ত প্রতিবেদন সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়, অপারেশন করা চোখ নষ্ট হয়েছে, কিন্ত অপর চোখটি নষ্ট হয়নি। এবিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত বলেন, এই মন্তব্য অপ্রত্যাশিত এবং বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট প্রমাণ করে আমাদের দেশে ডাক্তারদের নৈতিকতার মান কোথায়। একপর্যায়ে আদালত আরও বলেন, গরীব ও অসহায় মানুষগুলো তাদের হাসপাতালের ওপর আস্থা নিয়েই সেখানে চোখ অপারেশেন করাতে গিয়েছিলেন। কিন্ত অপারেশন প্রক্রিয়া ও ব্যবহৃত ক্যামিকেলসহ আনুষাঙ্গিক ত্রুটি থেকে তাদের রোগীদের চোখ হারাতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা ছিল কি-না, সেটা নির্ণয় করা প্রয়োজন ছিল। প্রতিবেদনে বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার চোখ হারানো ২০ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের রুলের শুনানিতে এই মন্তব্য করেন।
এর আগে গত সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে চুয়াডাঙ্গায় ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চোখ হারানোর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। যার প্রথমটি গত ১৩ মে এবং দ্বিতীয়টি ১৫ জুলাই চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রথম প্রতিবেদনে চুয়াডাঙ্গায় চোখ হারানোর জন্য চিকিৎসায় ব্যবহৃত হাসপাতালের ওষুধ ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি থেকে সংক্রামক জীবানু ছড়িয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় প্রতিবেদনে জীবানুর সংক্রামককে চোখ হারানোর জন্য দায়ি করে এ ঘটনাকে ‘অনিচ্ছাকৃত’ ও ‘দুঃঘর্টনাজনিত’ বলা হয়েছে।
গত ২৯ মার্চ ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন!’ শিরোনামে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোগীদের এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করা হলে ১ এপ্রিল ২০ জনকে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতে মঙ্গলবার ইমপ্যাক্ট মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অন্যদিকে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। এছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনের ছিলেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গা ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়ালে ২০ জনের চোখ হারানোর ঘটনা

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৮ জুলাই ২০১৮

চিকিৎসকদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের!

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে এসে ২০ জনের চোখ হারানোর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি তদন্ত প্রতিবেদন সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়, অপারেশন করা চোখ নষ্ট হয়েছে, কিন্ত অপর চোখটি নষ্ট হয়নি। এবিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত বলেন, এই মন্তব্য অপ্রত্যাশিত এবং বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট প্রমাণ করে আমাদের দেশে ডাক্তারদের নৈতিকতার মান কোথায়। একপর্যায়ে আদালত আরও বলেন, গরীব ও অসহায় মানুষগুলো তাদের হাসপাতালের ওপর আস্থা নিয়েই সেখানে চোখ অপারেশেন করাতে গিয়েছিলেন। কিন্ত অপারেশন প্রক্রিয়া ও ব্যবহৃত ক্যামিকেলসহ আনুষাঙ্গিক ত্রুটি থেকে তাদের রোগীদের চোখ হারাতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা ছিল কি-না, সেটা নির্ণয় করা প্রয়োজন ছিল। প্রতিবেদনে বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার চোখ হারানো ২০ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের রুলের শুনানিতে এই মন্তব্য করেন।
এর আগে গত সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে চুয়াডাঙ্গায় ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চোখ হারানোর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। যার প্রথমটি গত ১৩ মে এবং দ্বিতীয়টি ১৫ জুলাই চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রথম প্রতিবেদনে চুয়াডাঙ্গায় চোখ হারানোর জন্য চিকিৎসায় ব্যবহৃত হাসপাতালের ওষুধ ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি থেকে সংক্রামক জীবানু ছড়িয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় প্রতিবেদনে জীবানুর সংক্রামককে চোখ হারানোর জন্য দায়ি করে এ ঘটনাকে ‘অনিচ্ছাকৃত’ ও ‘দুঃঘর্টনাজনিত’ বলা হয়েছে।
গত ২৯ মার্চ ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন!’ শিরোনামে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোগীদের এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করা হলে ১ এপ্রিল ২০ জনকে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতে মঙ্গলবার ইমপ্যাক্ট মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অন্যদিকে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। এছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনের ছিলেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম।