দর্শনা জয়নগরে আবারো সোনার চালানসহ শুল্ক গোয়েন্দার হাতে ২ জন আটক

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:১৯:২১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

সোনা পাচারের আড়ালে মাদক-অস্ত্র-হুন্ডি ও জঙ্গী তৎপরতা!

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: সোনা পাচারের আড়ালে রয়েছে মাদক, অস্ত্র, হুন্ডি ও জঙ্গী তৎপরতা যোগাযোগ। শুল্ক গোয়েন্দার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ কথা জানান, তিনি আরো জানান, পাচারকারীরা ভারতে সোনার পাচারের বিনিময়ে মাদক, অস্ত্র, হুন্ডির ও জঙ্গী তৎপরতার টাকা পরিশোধ করে থাকে। কারণ অবৈধ পথে ভারত-বাংলাদেশের চোরাকারবারীদের লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকা, রুপি বা ডলারের পরিবর্তে সোনায় একমাত্র নিরাপদ মাধ্যম। যা বিভিন্নভাবে লুকিয়ে ভারতে পাচার করা সম্ভব। তাই রুপি বা ডলারের বিকল্প হিসাবেই সোনা বেছে নেয় পাচারকারী চক্র ও গডফাদাররা।
তবে, সোনাপাচারের ক্ষেত্রে বহনকারীরা ধরা পড়লেও কখনোই ধরা পড়ে না এর পিছনের গডফাদাররা। তারা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে ও সব কিছুর আড়ালে।

তারপরেও থেমে নেই শুল্ক গোয়েন্দা, বিজিবি’র অভিযান। এ দুটি বিভাগের সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত ৭০ দিনে ৪৬ কেজি ৬০ গ্রাম সোনাসহ ৬ জনকে আটক করেছে । যার আনুমানিক মূল্য ২১ কোটি ২ লাখ টাকা।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে যশোর বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর সাজিবুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক জয়নগর চেকপোষ্টে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে আবারো সোনার চালানসহ ২ জনকে আটক করে। এসময় ভারতগামী দুই বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রী ঢাকার নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দামাত্রা গ্রামের গোসাই মন্ডলের ছেলে দীপক মন্ডল (৫১) যার পাসপোর্ট নং- ইঘ-০৯৯৫৯৫০ ও একই গ্রামের যোগেশ মল্লিকের ছেলে প্রভাত মল্লিক (৪৫) যার পাসপোর্ট নং- ইল-০১৯৯২৯৬ নামের ২ ব্যক্তিকে আটক করে।
এসময় গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা আটককৃত চোরাকারবারী দীপক মন্ডল ও প্রভাত মল্লিকের শরীর তল্লাশী করে শরীরের গোপনস্থান আবৃত জাঙ্গিয়ার ভিতরে বিশেষ ভাবে লুকানো অবস্থায় ২ কেজি ৬’শ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। এরমধ্যে ১ কেজি করে ২টি ও ১শ গ্রাম করে ৬টি বার ছিলো। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে চোরাচালানী মামলা দায়ের করে গতকালই দামুড়হুদা থানা পুলিশে কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এবং উদ্ধারকৃত সোনা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগের মধ্যে এ যাবৎকালের র্সবৃহৎ সোনার চালান আটক হয় গত ২৫এপ্রিল জয়নগর চেকপোষ্ট সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীর তীরবর্তী গ্রাম নাস্তিপুর সীমান্ত থেকে। সেই সময় ৬-বিজিবি’র জওয়ানরা ৩৭ কেজি ওজনের ৩২০টি স্বর্ণবার আটক করতে সক্ষম হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দর্শনা জয়নগরে আবারো সোনার চালানসহ শুল্ক গোয়েন্দার হাতে ২ জন আটক

আপডেট সময় : ১০:১৯:২১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮

সোনা পাচারের আড়ালে মাদক-অস্ত্র-হুন্ডি ও জঙ্গী তৎপরতা!

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: সোনা পাচারের আড়ালে রয়েছে মাদক, অস্ত্র, হুন্ডি ও জঙ্গী তৎপরতা যোগাযোগ। শুল্ক গোয়েন্দার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ কথা জানান, তিনি আরো জানান, পাচারকারীরা ভারতে সোনার পাচারের বিনিময়ে মাদক, অস্ত্র, হুন্ডির ও জঙ্গী তৎপরতার টাকা পরিশোধ করে থাকে। কারণ অবৈধ পথে ভারত-বাংলাদেশের চোরাকারবারীদের লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকা, রুপি বা ডলারের পরিবর্তে সোনায় একমাত্র নিরাপদ মাধ্যম। যা বিভিন্নভাবে লুকিয়ে ভারতে পাচার করা সম্ভব। তাই রুপি বা ডলারের বিকল্প হিসাবেই সোনা বেছে নেয় পাচারকারী চক্র ও গডফাদাররা।
তবে, সোনাপাচারের ক্ষেত্রে বহনকারীরা ধরা পড়লেও কখনোই ধরা পড়ে না এর পিছনের গডফাদাররা। তারা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে ও সব কিছুর আড়ালে।

তারপরেও থেমে নেই শুল্ক গোয়েন্দা, বিজিবি’র অভিযান। এ দুটি বিভাগের সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত ৭০ দিনে ৪৬ কেজি ৬০ গ্রাম সোনাসহ ৬ জনকে আটক করেছে । যার আনুমানিক মূল্য ২১ কোটি ২ লাখ টাকা।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে যশোর বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর সাজিবুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক জয়নগর চেকপোষ্টে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে আবারো সোনার চালানসহ ২ জনকে আটক করে। এসময় ভারতগামী দুই বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রী ঢাকার নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দামাত্রা গ্রামের গোসাই মন্ডলের ছেলে দীপক মন্ডল (৫১) যার পাসপোর্ট নং- ইঘ-০৯৯৫৯৫০ ও একই গ্রামের যোগেশ মল্লিকের ছেলে প্রভাত মল্লিক (৪৫) যার পাসপোর্ট নং- ইল-০১৯৯২৯৬ নামের ২ ব্যক্তিকে আটক করে।
এসময় গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা আটককৃত চোরাকারবারী দীপক মন্ডল ও প্রভাত মল্লিকের শরীর তল্লাশী করে শরীরের গোপনস্থান আবৃত জাঙ্গিয়ার ভিতরে বিশেষ ভাবে লুকানো অবস্থায় ২ কেজি ৬’শ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। এরমধ্যে ১ কেজি করে ২টি ও ১শ গ্রাম করে ৬টি বার ছিলো। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে চোরাচালানী মামলা দায়ের করে গতকালই দামুড়হুদা থানা পুলিশে কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এবং উদ্ধারকৃত সোনা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগের মধ্যে এ যাবৎকালের র্সবৃহৎ সোনার চালান আটক হয় গত ২৫এপ্রিল জয়নগর চেকপোষ্ট সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীর তীরবর্তী গ্রাম নাস্তিপুর সীমান্ত থেকে। সেই সময় ৬-বিজিবি’র জওয়ানরা ৩৭ কেজি ওজনের ৩২০টি স্বর্ণবার আটক করতে সক্ষম হয়।