মোঃ সালমান হোসাইন, নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ একদিনের বৃষ্টিতেই নাটোর শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পর্যাপ্ত নালা না থাকায় ও অপরিকল্পিত ভাবে নানা স্থাপনা গড়ে তোলায় এবং পৌরসভার ড্রেনেস ব্যবস্থা নষ্ট করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, কয়েক ঘণ্টা টানা বৃষ্টিতে শহরের সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় , টিএনটি এলাকা, শেরে-বাংলা হাই স্কুল, মাদ্রাসা বাজার, উত্তর পটুয়া পাড়া, কানাইখালি, উত্তর পুটুয়া পাড়া, সদর থাানা ও ভাঙ্গা মসজিদ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টির পানির সঙ্গে বাসাবাড়ি, হোটেল রেস্তুরা, ক্লিনিকাল বর্জ্যমিশ্রিত পানি, ও নর্দমার পানি মিশে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি মাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে যাতায়াত করতে হয়।
নাটোর শহরের কানাইখালি এলাকার বাসিন্দা লিটন হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টি হলে নাটোর রানী ভবানী সরকারি কলেজ এবং গ্রীন একাডেমী স্কুলে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। পাকা রাস্তার উপরে একহাটু পানি জমে যায়।
শহরের কানাইখালি নাদিম আয়রন এন্ড স্টীল ওয়ার্কসপের এক শ্রমিক বলেন, বিভিন্ন দোকানে কর্মরত কর্মচারী এবং স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে নোংরা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়া বাসাবাড়ি ও পয়োনালার পানি রাস্তায় পড়ায় মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
চা বিক্রিতা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাঁদের ইচ্ছেমতো বাসাবাড়ি, বিপণি বিতান ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করছেন। কোথাও কোথাও ময়লা জমে নালা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলছে।
স্থানীয় অধিবাসীরা অভিযোগ করেন, নাটোরের বড়হরিশপুর বাইপাস থেকে বনবেলঘরিয়া বাইপাস পর্যন্ত ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার লম্বা সড়ক প্রশস্ত করণ,রোড ডিভাইডার ও ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্ধোধন হয় গত বছরের ৬ অক্টোবর। এই রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পরে অনেক স্থানে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা।
নাটোর কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগ সাধারণত ২৪ ঘন্টার বৃষ্টি পাত রেকর্ড করে থাকে। গত রোববার দিনগত রাতে সারা জেলায় ২২ মিলিমিটার সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। এবার বর্ষার আগে থেকেই বৃষ্টির পরিমান বেশি।