জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ
ডিসেম্বর এলেই চারিদিকে লাল সবুজের পতাকা বিক্রি মহড়া দেখে বোঝা যায় বিজয়ের মাস শুরু হয়ে গেছে। হাটে পথে ঘাটে বিভিন্ন ডিজাইনের ছোট বড় পতাকা হাতে দেখা মেলে পতাকা বিক্রয়কারীদের। বাঙালী জাতির বিজয়কে আনন্দঘন করতে দেশ ব্যাপি জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে দেওয়াই যেন ওদের কাজ। কয়েক ফুট লম্বা বাঁশের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বড় থেকে ছোট আকারের পতাকা সাজিয়ে পথে পথে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। মাদারীপুর থেকে ঝিনাইদহে পতাকা বিক্রি করতে আশা এদের এমনই একজন শাহাদাত। শাহাদাত এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারা বছর অন্য কাজ করেন তিনি। কিন্তু ডিসেম্বর মাস এলে প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করেন। চার বছর ধরে এভাবেই ব্যবসা করছেন তিনি। এবছর ডিসেম্বর মাসের শুরুতে মাদারীপুর থেকে এসে ঝিনাইদহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন শাহাদাত। শুধু পতাকা নয়, মাথায় ও হাতে বাঁধতে লাল-সবুজের ব্যাচ, বাচ্চাদের জন্য প্লাস্টিকের হাতলসহ পতাকাও বিক্রি করছেন সে। আকার ভেদে একেকটি পতাকা ২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা আর ব্যাচ বিক্রি হয় ১০ টাকা করে। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার টাকার পতাকা বিক্রি হয় তার। আর হাজারে লাভ হয় ৩শত থেকে ৪শত টাকা। তিনি আরো বলেন স্বাধীনতা ও বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করে বেশি আনন্দ পাই। বিজয়ের এ মাসে যদি প্রত্যেকের হাতে একটি করে লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিতে আর মাথায় একটি করে জাতীয় পতাকা খঁচিত ব্যাজ বেঁধে দিতে পারতাম। তা হলে পতাকা বিক্রিতে আমার সার্থকতা আসত। তার কাছে ব্যাচ কিনতে আসা ক্রেতা জহির হোসেন বলেন, তার ছোট ছেলে-মেয়ের জন্য লাল-সবুজের ব্যাচ কিনে নিলাম। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাতে এই ব্যাচ কেনা। তবে পতাকা নির্দিষ্ট মাপে বানানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি।