নিউজ ডেস্ক:
ভারতের ক্রিকেট ও বলিউড-দুই অঙ্গনেই এখন মূল আলোচনার বিষয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার বিয়ে। মুহাম্মদ আজহারউদ্দিন এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী সঙ্গীতা বিজলানিকে নিয়েও এমন আলোচনা হয়েছিল। ৯৬ বিশ্বকাপের সময়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেট মহল। সবসময় কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকতেন আজহার ও বিজলানি। আজহারের পথে হেঁটেছেন কোহলি। বলিউডের সঙ্গে তার বন্ধনটা শেষ পর্যন্ত সুখের হয়নি। তবে কোহলিকে শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি। সংসার সামলাতে কোহলিকে বেশ কয়েকটি টিপ্সও দিয়েছেন।
বিরুশকার বিয়ে নিয়ে আজহারউদ্দিন বলেন, আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই ওদের। বিয়ের ছবি দেখেছি, খুব সুন্দর লেগেছে। ওদের সুখ, শান্তি কামনা করি এবং প্রার্থনা করি যেন ওরা সদা সুখী থাকে।
আরও একটা কথা বলতে চাই যে, ওরা নিজেদের জগতে খুবই সফল দুই ব্যক্তি। প্রার্থনা করি, ওরা যেন আরও সাফল্য পায়।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিয়ে নিয়ে সারা দেশে এত মাতামাতি হচ্ছে, সেটা ওরাও খুব ভাল করে জানে, কেন হচ্ছে। কারণ, ওরা দু’জনে খুব সফল ব্যক্তিত্ব। মিডিয়া এবং মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রে ওরা আগেও থেকেছে। হয়তো বিয়ের সময় সেই আকর্ষণের মাত্রাটা আরও বেড়ে গেছে। এটা নতুন কোনও অভিজ্ঞতা নয় ওদের কাছে। আমি নিশ্চিত, এই কোলাহল সামলে ওরা সফল ভাবে এগিয়ে যাবে।
কোহলিকে কোনো পরামর্শ দেবেন কী না জানতে চাইলে আজহারউদ্দিন বলেন, শুধু একটাই কথা বলব, সব দিকে ভারসাম্য রাখার দিকে নজর দাও। ক্রিকেট মাঠ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই বা তার চেয়েও হয়তো বেশি গুরুত্বপূর্ণ জীবনের ২২ গজ। দু’টো দিকই সামলাতে হবে। কোনওটাকে হেলাফেলা করা যাবে না।
ক্রিকেট না সংসার, কোনটা কঠিন- এই প্রশ্নে আজহারউদ্দিন বলেন, ‘কোনও তুলনাই চলে না (হাসি)। সংসার অনেক কঠিন। ক্রিকেট মাঠের চ্যালেঞ্জগুলোকে বিরাটের খুব ছোটখাটো মনে হতে পারে এখন (হাসি)। সংসারের ইনিংসটা অনেক ধরে-ধরে খেলতে হয়। আসলে আমরা তো তরুণ বয়স থেকে বাইরে বাইরেই থাকি ক্রিকেট খেলার জন্য। ঘরে সময় দেওয়ার ব্যাপারটা হয়ই না। বিয়ের পরে সেটা করলে চলবে না। দু’টো জগতের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলতে হয়।