নিউজ ডেস্ক:
বান্ধবী রীভা স্টিনক্যাম্পকে খুনের দায়ে ১৩ বছরের সাজা ভোগ করছেন ব্লেড-রানার অস্কার পিস্টোরিয়াস। তাতেও সংযত হননি দক্ষিণ আফ্রিকার প্যারাথলিটটি। পাবলিক টেলিফোন ব্যবহার নিয়ে জেলের মধ্যেই ঝামেলায় জড়িয়ে আবার শিরোনামে চলে আসেন তিনি।
জেলের মধ্যে কুখ্যাত অপরাধীদের একে অপরের সঙ্গে মারামারির ছবিটা সচরাচর সিনেমায় দেখা যায়। ঠিক তেমনই সংঘর্ষে জড়ালেন অস্কার। কারাগারে সকলের জন্য ব্যবহৃত ফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলছিলেন পিস্টোরিয়াস। অপেক্ষায় থাকা অস্কারের সহবন্দি অধৈর্য্য হয়ে উঠলে বচসা শুরু হয়। কথা কাটাকাটি শেষ পর্যন্ত হাতাহাতির রূপ নেয়। সংঘর্ষে জখম হন পিস্টোরিয়াস। তবে তার আঘাত এমন কিছু গুরুতর নয় বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যেই ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
শোনা যাচ্ছে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরিতে পিস্টোরিয়াসের সক্রিয় ভূমিকা থাকলে তাকে বড়সড় মূল্য চোকাতে হতে পারে।
২০১৩’র ১৪ ফেব্রুয়ারি বান্ধবী রীভা স্টিনক্যাম্পকে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় পিস্টোরিয়াসের ফ্ল্যাটে। হত্যার দায় স্বীকার করলেও ভুলবশত এমন কাজ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন অস্কার। খুনের অপরাধে প্রাথমিকভাবে ৬ বছরের জেল হয়েছিল তার। দু’সপ্তাহ আগে সাজার মেয়াদ বেড়ে ১৩ বছর ৫ মাস করে সেদেশের শীর্ষ আদালত।
ছ’বারের প্যারালিম্পিক সোনাজয়ী পিস্টোরিয়াস ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ক্রীড়াবিশ্বের নজর কাড়েন।