শিরোনাম :
Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার Logo ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo খুবিতে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও খুবিসাস আয়োজিত কর্মশালা Logo কচুয়ার পূর্ব বিতারা জামালিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসায় ছাত্রদের সবক প্রদান ও দোয়া মাহফিল

নান্দাইল মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ সভা !

  • আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ সভায় অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া। মুক্তিযুদ্ধের সেই ভয়াল স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাজহারুল হক ফকির, মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুস সালাম ভূইয়া (বীর প্রতীক), আব্দুল কাইয়ুম, মুক্তার হুসেন, উছমান গণি, জাকির হুসেন প্রমূখ। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের উদ্যোগে এক আনন্দ র‌্যালী বের হয়। আনন্দ র‌্যালীটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে শেষ হয়। উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের এই দিনে নান্দাইল থানা পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর গভীর রাতে নান্দাইলে মুজিব বাহিনীর সদস্য ন.ম.ম. ফারুকের নেতৃত্বে নান্দইল থানার উত্তর দিক চন্ডীপাশা-আঠারোবাড়ি রাস্তা খোলা রেখে বাকি তিন দিক ঘিরে ফেলে। আত্মসমর্পণ না করলে মুক্তিযোদ্ধারা ঝটিকা আক্রমণ করবে এই মর্মে একটি ঘোষণা করলে পাকবাহিনীসহ রাজাকার ও আলবদরের দল আঠারবাড়ির দিকে পালিয়ে যায়। সে সময় সুবেদার তাহেরের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর ১০/১২ জন ও শান্তিবাহিনীর কয়েকজন সদস্য আত্মসমর্পণ করে। পরে মুজিব বাহিনী ও মুক্তিকামী জনতা রাত ২ টার দিকে নান্দাইল থানা ও ডাকবাংলোতে পদার্পণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। ভোর হতে না হতেই এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নান্দাইলের সর্বত্র ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে জনতার ঢল নামে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

নান্দাইল মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ সভা !

আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ সভায় অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া। মুক্তিযুদ্ধের সেই ভয়াল স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাজহারুল হক ফকির, মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুস সালাম ভূইয়া (বীর প্রতীক), আব্দুল কাইয়ুম, মুক্তার হুসেন, উছমান গণি, জাকির হুসেন প্রমূখ। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের উদ্যোগে এক আনন্দ র‌্যালী বের হয়। আনন্দ র‌্যালীটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে শেষ হয়। উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের এই দিনে নান্দাইল থানা পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর গভীর রাতে নান্দাইলে মুজিব বাহিনীর সদস্য ন.ম.ম. ফারুকের নেতৃত্বে নান্দইল থানার উত্তর দিক চন্ডীপাশা-আঠারোবাড়ি রাস্তা খোলা রেখে বাকি তিন দিক ঘিরে ফেলে। আত্মসমর্পণ না করলে মুক্তিযোদ্ধারা ঝটিকা আক্রমণ করবে এই মর্মে একটি ঘোষণা করলে পাকবাহিনীসহ রাজাকার ও আলবদরের দল আঠারবাড়ির দিকে পালিয়ে যায়। সে সময় সুবেদার তাহেরের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর ১০/১২ জন ও শান্তিবাহিনীর কয়েকজন সদস্য আত্মসমর্পণ করে। পরে মুজিব বাহিনী ও মুক্তিকামী জনতা রাত ২ টার দিকে নান্দাইল থানা ও ডাকবাংলোতে পদার্পণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। ভোর হতে না হতেই এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নান্দাইলের সর্বত্র ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে জনতার ঢল নামে।