শিরোনাম :
Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার

বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রফতানিকারক দেশ হতে চায় বাংলাদেশ : জয়

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:২৬:০৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, শুধুমাত্র স্বল্প মজুরির শ্রমিক নয়, বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রফতানিকারক দেশ হতে চায় বাংলাদেশ।
বৃহষ্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া আইসিটি সেক্টরের মেগা ইভেন্ট চার দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’র দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত মিনিস্ট্রয়াল কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এ জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে এখন কথা বলার সময় এসেছে। কারণ, দ্রুত বদলে যাওয়া প্রযুক্তি মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনছে। ফলে অর্থনীতির বিকাশ ও শিল্পায়নও দ্রুত ঘটছে।
তিনি বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। জনগণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফলও ভোগ করছে। ফলে বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডেই সবাই দেখেছেন ড্রোন, বিশ্বের উন্নত রোবট সোফিয়াকে।
প্রাথমিক স্তর থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, এক্ষেত্রে যে সকল বাধাগুলো আছে তা দূর করতে চেষ্টা করা হবে। প্রাথমিক স্তরে আইসিটি শিক্ষার জন্য পাঠগুলো খুব বেশি কঠিন হবে না। তারা যাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ধারণা পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলা।
তিনি বলেন, বর্তমানে মাধ্যমিক স্তর থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার এবং আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এ বিষয়ের শিক্ষার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ও প্রকৌশলীদের জন্য আগামীর ভবিষ্যত উল্লেখ করে জয় বলেন, এজন্য নতুন প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে আইটি শিক্ষা প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করার। শিক্ষার্থীরা পঞ্চম শ্রেণি থেকে আইটি শিখবে। তারা মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হয়ে উঠবে।
সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হওয়ার পর বর্তমানে দেশের ৪০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটালাইজড হয়েছে। ভবিষ্যতে ৮০ শতাংশ সরকারি সেবা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা হবে।
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, অন্য কোনো দেশে এমন বৃদ্ধি সম্ভব হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারও বাড়ছে। বর্তমানে ২৭ মিলিয়ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে।
প্রাথমিক স্তরে আইটি শিক্ষা চালুর বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রথমে সরকার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে একশ’ স্কুলে আইসিটি শিক্ষা চালু করা হবে। এ জন্য আলোচনা চলছে।
সম্মেলনে কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা ডায়োডোনি কালোম্বো কোলি বাডিবাং, কম্বোডিয়ার ডাক ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী কান চানমেটা, ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী দিনা নাথ ডঙ্গায়েল, মালদ্বীপের সশস্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপমন্ত্রী থরিক আলী লুথুফি, ফিলিপাইনের আইসিটি অধিদপ্তরের পরিচালক নেস্টর এস বোঙ্গাটা, সৌদি আরবের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ও মন্ত্রীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাহাদ আলীআরাল্লাহ অংশ নেন।

ট্যাগস :

কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট

বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রফতানিকারক দেশ হতে চায় বাংলাদেশ : জয়

আপডেট সময় : ০৩:২৬:০৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, শুধুমাত্র স্বল্প মজুরির শ্রমিক নয়, বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রফতানিকারক দেশ হতে চায় বাংলাদেশ।
বৃহষ্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া আইসিটি সেক্টরের মেগা ইভেন্ট চার দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’র দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত মিনিস্ট্রয়াল কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এ জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে এখন কথা বলার সময় এসেছে। কারণ, দ্রুত বদলে যাওয়া প্রযুক্তি মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনছে। ফলে অর্থনীতির বিকাশ ও শিল্পায়নও দ্রুত ঘটছে।
তিনি বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। জনগণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফলও ভোগ করছে। ফলে বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডেই সবাই দেখেছেন ড্রোন, বিশ্বের উন্নত রোবট সোফিয়াকে।
প্রাথমিক স্তর থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, এক্ষেত্রে যে সকল বাধাগুলো আছে তা দূর করতে চেষ্টা করা হবে। প্রাথমিক স্তরে আইসিটি শিক্ষার জন্য পাঠগুলো খুব বেশি কঠিন হবে না। তারা যাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ধারণা পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলা।
তিনি বলেন, বর্তমানে মাধ্যমিক স্তর থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার এবং আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এ বিষয়ের শিক্ষার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ও প্রকৌশলীদের জন্য আগামীর ভবিষ্যত উল্লেখ করে জয় বলেন, এজন্য নতুন প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে আইটি শিক্ষা প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করার। শিক্ষার্থীরা পঞ্চম শ্রেণি থেকে আইটি শিখবে। তারা মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হয়ে উঠবে।
সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হওয়ার পর বর্তমানে দেশের ৪০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটালাইজড হয়েছে। ভবিষ্যতে ৮০ শতাংশ সরকারি সেবা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা হবে।
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, অন্য কোনো দেশে এমন বৃদ্ধি সম্ভব হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারও বাড়ছে। বর্তমানে ২৭ মিলিয়ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে।
প্রাথমিক স্তরে আইটি শিক্ষা চালুর বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রথমে সরকার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে একশ’ স্কুলে আইসিটি শিক্ষা চালু করা হবে। এ জন্য আলোচনা চলছে।
সম্মেলনে কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা ডায়োডোনি কালোম্বো কোলি বাডিবাং, কম্বোডিয়ার ডাক ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী কান চানমেটা, ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী দিনা নাথ ডঙ্গায়েল, মালদ্বীপের সশস্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপমন্ত্রী থরিক আলী লুথুফি, ফিলিপাইনের আইসিটি অধিদপ্তরের পরিচালক নেস্টর এস বোঙ্গাটা, সৌদি আরবের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ও মন্ত্রীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাহাদ আলীআরাল্লাহ অংশ নেন।