শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

টেকনাফ উপজেলায় কৃষকের হাসির ঝিলিকেই আমন কাটার উৎসব চলছে !

  • আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৪২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭
  • ৮০১ বার পড়া হয়েছে

হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ :

টেকনাফে চলতি মৌসুমে চাষাবাদকৃত আমন মৌসুমে কৃষকের মুখেই হাসির ঝিলিকেই সোনালী ফসল আমন ধান কাটার উৎসব চলছে। ২৮হাজার ৩শ ২মেট্রিকটন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশায় কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি বছর টেকনাফ সদরে ১ হাজার ১শ ৯০ হেক্টর, সাবরাংয়ে ৮ শ ৭০ হেক্টর, বাহার ছড়ায় ১ হাজার ৯০ হেক্টর, হোয়াইক্যংয়ে ৬ হাজার ৩ শ ৪৫ হেক্টর, হ্নীলায় ১ হাজার ২শ ৬৫ হেক্টর, সেন্টমার্টিনে ৯০ হেক্টর জমিতে আমনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ধানের চাষাবাদ করা হয়। ব্রিধান-৩৩, ৩২, ব্রিধান-৪০, ৪১, ব্রিধান-৪৯, বিনা-৭, স্থানীয় জাত লেম্বু বিন্নি, লাল পাইজাম ও কালা পাইজামের চাষ। চলতি বছর ব্রিধান- ৩৩ ও ৪৯ প্রজাতির ধানের সর্বোচ্চ বেশী ফলন হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিসের সুষ্ঠু তদারকি, পর্যাপ্ত সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকদের উৎসাহিত করতে পারার কারণে এইবারে বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকেরা জানায়।

সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেম্বার শব্বির বলেন, চলতি বছর সাবরাংয়ে ৮ শ ৭০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা ধানের চাষাবাদ করেছেন। অন্য বাছরে তুলনায় এই বছর ফলন ভাল হয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়নের কৃষক খলিল আহমদ ও মোজাফ্ফর আহমদ যথাক্রমে ৩৬ ও ২৭কানি জমিতে চাষাবাদ করেছেন। খলিল আহমদের চাষের ৫/৬কানি জোয়ার-ভাটা এবং বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে অবশিষ্ট চাষে ভাল ফলন হয়েছে। রঙ্গিখালী এলাকার হোছাইন আহমদ বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ ছাড়া অপর জমিতে ভাল ফলন হয়েছে বলে দাবী করেন। টেকনাফ সদরের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিলের কৃষক মীর কাশেম, হাজী আমির হোছন খোরাকের জন্য ১২/১৪ কানি করে চাষাবাদ করেছেন। ইনশল্লাহ সবচেয়ে বেশী ভাল ফসল হয়েছে। বাহারছড়ার কৃষক রাহমত উল্লাহ, আব্দুল আউয়াল ও নুরুল আলম বলেন, এই বছর খোরাকের জন্য ভারত পায়জাম ধানের চাষ করে আল্লাহর রহমতে খুব ভাল ফলন পেয়েছে। সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়ার কৃষক মৃত আমির হামজার পুত্র আব্দুর রহমান জানান,চলতি বছর ১০ কানি জমি চাষ করেছেন। গত বছর প্রতিকানি ১শ আরি ধান পাইছি আর চলতি বছর ১শ ১০ হতে ১শ ২০ আরি পর্যন্ত পাওয়ার আশা রাখি। এছাড়া মৃত ফয়েজুর রহমান মেম্বারের পুত্র ফরিদ আহমদ, মৃত নুর আহমদের পুত্র আজিজুর রহমান খোরাকের জন্য ১৫কানি করে ধান চাষ করেছেন। তাতে গতবারের চেয়ে ভাল ফসল হওয়ায় তারা খুবই আনন্দিত। সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ,এই দ্বীপে যা ধান চাষ হয়েছে তাতেই ভাল ফলন হয়েছে বলে জানান।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র কৃষি অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান,মাঠ পর্যায়ে তদারকি জোরদার, বীজ,সার সহজলভ্যকরণ এবং পোকা-মাকড় ও রোগ সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করে তোলায় ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

টেকনাফ উপজেলায় কৃষকের হাসির ঝিলিকেই আমন কাটার উৎসব চলছে !

আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৪২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭

হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ :

টেকনাফে চলতি মৌসুমে চাষাবাদকৃত আমন মৌসুমে কৃষকের মুখেই হাসির ঝিলিকেই সোনালী ফসল আমন ধান কাটার উৎসব চলছে। ২৮হাজার ৩শ ২মেট্রিকটন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশায় কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি বছর টেকনাফ সদরে ১ হাজার ১শ ৯০ হেক্টর, সাবরাংয়ে ৮ শ ৭০ হেক্টর, বাহার ছড়ায় ১ হাজার ৯০ হেক্টর, হোয়াইক্যংয়ে ৬ হাজার ৩ শ ৪৫ হেক্টর, হ্নীলায় ১ হাজার ২শ ৬৫ হেক্টর, সেন্টমার্টিনে ৯০ হেক্টর জমিতে আমনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ধানের চাষাবাদ করা হয়। ব্রিধান-৩৩, ৩২, ব্রিধান-৪০, ৪১, ব্রিধান-৪৯, বিনা-৭, স্থানীয় জাত লেম্বু বিন্নি, লাল পাইজাম ও কালা পাইজামের চাষ। চলতি বছর ব্রিধান- ৩৩ ও ৪৯ প্রজাতির ধানের সর্বোচ্চ বেশী ফলন হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিসের সুষ্ঠু তদারকি, পর্যাপ্ত সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকদের উৎসাহিত করতে পারার কারণে এইবারে বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকেরা জানায়।

সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেম্বার শব্বির বলেন, চলতি বছর সাবরাংয়ে ৮ শ ৭০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা ধানের চাষাবাদ করেছেন। অন্য বাছরে তুলনায় এই বছর ফলন ভাল হয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়নের কৃষক খলিল আহমদ ও মোজাফ্ফর আহমদ যথাক্রমে ৩৬ ও ২৭কানি জমিতে চাষাবাদ করেছেন। খলিল আহমদের চাষের ৫/৬কানি জোয়ার-ভাটা এবং বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে অবশিষ্ট চাষে ভাল ফলন হয়েছে। রঙ্গিখালী এলাকার হোছাইন আহমদ বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ ছাড়া অপর জমিতে ভাল ফলন হয়েছে বলে দাবী করেন। টেকনাফ সদরের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিলের কৃষক মীর কাশেম, হাজী আমির হোছন খোরাকের জন্য ১২/১৪ কানি করে চাষাবাদ করেছেন। ইনশল্লাহ সবচেয়ে বেশী ভাল ফসল হয়েছে। বাহারছড়ার কৃষক রাহমত উল্লাহ, আব্দুল আউয়াল ও নুরুল আলম বলেন, এই বছর খোরাকের জন্য ভারত পায়জাম ধানের চাষ করে আল্লাহর রহমতে খুব ভাল ফলন পেয়েছে। সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়ার কৃষক মৃত আমির হামজার পুত্র আব্দুর রহমান জানান,চলতি বছর ১০ কানি জমি চাষ করেছেন। গত বছর প্রতিকানি ১শ আরি ধান পাইছি আর চলতি বছর ১শ ১০ হতে ১শ ২০ আরি পর্যন্ত পাওয়ার আশা রাখি। এছাড়া মৃত ফয়েজুর রহমান মেম্বারের পুত্র ফরিদ আহমদ, মৃত নুর আহমদের পুত্র আজিজুর রহমান খোরাকের জন্য ১৫কানি করে ধান চাষ করেছেন। তাতে গতবারের চেয়ে ভাল ফসল হওয়ায় তারা খুবই আনন্দিত। সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ,এই দ্বীপে যা ধান চাষ হয়েছে তাতেই ভাল ফলন হয়েছে বলে জানান।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র কৃষি অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান,মাঠ পর্যায়ে তদারকি জোরদার, বীজ,সার সহজলভ্যকরণ এবং পোকা-মাকড় ও রোগ সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করে তোলায় ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব হয়েছে।