শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

জটিল অস্ত্রোপচারের সময়েও ‘মোবাইল গেম’-এ মত্ত শিশু !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:২৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৮০৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রাণচঞ্চল বছর দশেকের খুদে তখন হাসপাতালের অপারেশন টেবিলে। কখনও হাসছে, কখনও গল্প করছে হাত-পা নেড়ে।
আর বেশির ভাগ সময়েই চোখ সেঁটে থাকছে মোবাইলের পর্দায়। সেখানে অভিজ্ঞ হাতের স্ক্রোলিংয়ে চলছে তার প্রিয় গেম ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’।

অন্য দিকে তাকে ঘিরেই চলছে বিশাল কর্মকাণ্ড। এখনও অতটা বোঝার মতো ‘জ্ঞান’ হয়নি ছোট্ট নন্দিনীর। অপারেশ টেবলে যখন সে প্রিয় মোবাইল গেমে মগ্ন, তখনই তার মাথার গুরুত্বপূর্ণ অংশে চলছে জটিল অস্ত্রোপচার।

মাথার যে অংশ দেহের প্রায় অর্ধেক অংশের চলনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে, নন্দিনীর সেই অংশ জুড়েই ছিল একটি টিউমর। সেটিকে কেটে বাদ দেওয়ার কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। ঝুঁকিও ছিল যথেষ্ট। কিন্তু চেন্নাইয়ের এসআইএমএস-এর চিকিৎসকরা জানালেন, কিছু না বুঝেও নন্দিনী তাদের সাহায্য করে গেছে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। অবশেষে সফলও হয়েছে অস্ত্রোপচার।

ক্লাস ফাইভের নন্দিনী ক্লাসিকাল ডান্সারও। ভরতনাট্যমে রীতিমতো পারদর্শী সে। হঠাৎই নাচতে গিয়ে এক দিন জ্ঞান হারায় নন্দিনী। তখনই চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, নন্দিনীর মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূ্র্ণ স্থানে টিউমর রয়েছে। সাধারণত শিশুদের মধ্যে এ ধরণের ব্রেন টিউমর দেখা যায় না। নন্দিনীর ক্ষেত্রে ঘটনাটি ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম।

চিকিৎসকরা জানান, প্রথাগত পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার হলে ঝুঁকি আরও বাড়ত। তাই ক্রানিওটমি পদ্ধতিতে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, গোটা পদ্ধতিই নন্দিনীকে জাগিয়ে রেখে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ রোগীর হাত-পা নাড়ানোর মাধ্যমে বোঝা যায় মস্তিষ্কের সঠিক কোন জায়গাগুলি আক্রান্ত হয়েছে। সে কারণেই অজ্ঞান করা হয়নি নন্দিনীকে।

চিকিৎসকরা আরও জানান, অজ্ঞান না করলেও এই অপারেশনে কোনও যন্ত্রণা অনুভব হয় না। কারণ ব্রেনের নিউরোনে কোনও যন্ত্রণা গ্রহণের অনুভূতি থাকে না। তবে সুরেশের মতে, আসলে গোটা বিষয়টিই সম্ভব হয়েছে নন্দিনীর জন্যই। অনেককেই অস্ত্রোপচারের পরবর্তী ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়। নন্দিনী খুবই সাহসী মেয়ে। ও সব কিছু খুব সহজ ভাবেই নিয়েছিল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

জটিল অস্ত্রোপচারের সময়েও ‘মোবাইল গেম’-এ মত্ত শিশু !

আপডেট সময় : ১২:৩০:২৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রাণচঞ্চল বছর দশেকের খুদে তখন হাসপাতালের অপারেশন টেবিলে। কখনও হাসছে, কখনও গল্প করছে হাত-পা নেড়ে।
আর বেশির ভাগ সময়েই চোখ সেঁটে থাকছে মোবাইলের পর্দায়। সেখানে অভিজ্ঞ হাতের স্ক্রোলিংয়ে চলছে তার প্রিয় গেম ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’।

অন্য দিকে তাকে ঘিরেই চলছে বিশাল কর্মকাণ্ড। এখনও অতটা বোঝার মতো ‘জ্ঞান’ হয়নি ছোট্ট নন্দিনীর। অপারেশ টেবলে যখন সে প্রিয় মোবাইল গেমে মগ্ন, তখনই তার মাথার গুরুত্বপূর্ণ অংশে চলছে জটিল অস্ত্রোপচার।

মাথার যে অংশ দেহের প্রায় অর্ধেক অংশের চলনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে, নন্দিনীর সেই অংশ জুড়েই ছিল একটি টিউমর। সেটিকে কেটে বাদ দেওয়ার কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। ঝুঁকিও ছিল যথেষ্ট। কিন্তু চেন্নাইয়ের এসআইএমএস-এর চিকিৎসকরা জানালেন, কিছু না বুঝেও নন্দিনী তাদের সাহায্য করে গেছে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। অবশেষে সফলও হয়েছে অস্ত্রোপচার।

ক্লাস ফাইভের নন্দিনী ক্লাসিকাল ডান্সারও। ভরতনাট্যমে রীতিমতো পারদর্শী সে। হঠাৎই নাচতে গিয়ে এক দিন জ্ঞান হারায় নন্দিনী। তখনই চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, নন্দিনীর মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূ্র্ণ স্থানে টিউমর রয়েছে। সাধারণত শিশুদের মধ্যে এ ধরণের ব্রেন টিউমর দেখা যায় না। নন্দিনীর ক্ষেত্রে ঘটনাটি ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম।

চিকিৎসকরা জানান, প্রথাগত পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার হলে ঝুঁকি আরও বাড়ত। তাই ক্রানিওটমি পদ্ধতিতে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, গোটা পদ্ধতিই নন্দিনীকে জাগিয়ে রেখে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ রোগীর হাত-পা নাড়ানোর মাধ্যমে বোঝা যায় মস্তিষ্কের সঠিক কোন জায়গাগুলি আক্রান্ত হয়েছে। সে কারণেই অজ্ঞান করা হয়নি নন্দিনীকে।

চিকিৎসকরা আরও জানান, অজ্ঞান না করলেও এই অপারেশনে কোনও যন্ত্রণা অনুভব হয় না। কারণ ব্রেনের নিউরোনে কোনও যন্ত্রণা গ্রহণের অনুভূতি থাকে না। তবে সুরেশের মতে, আসলে গোটা বিষয়টিই সম্ভব হয়েছে নন্দিনীর জন্যই। অনেককেই অস্ত্রোপচারের পরবর্তী ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়। নন্দিনী খুবই সাহসী মেয়ে। ও সব কিছু খুব সহজ ভাবেই নিয়েছিল।