প্রসব ‌যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে প্রসূতির আত্মহত্যা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:১৮:৪৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বয়স ২৬ বছর। ছটফট করছিলেন প্রসব ‌যন্ত্রণায়।
দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই, বারবার তাই বসে পড়ছিলেন। কাকুতি মিনতি করছিলেন স্বামী ও পরিবারের অন্যান্যদের কাছে সিজারিয়ান ডেলিভারি করার অনুমতি দেওয়ার জন্য। তা সত্ত্বেও রাজি হয়নি তার পরিবারের লোকজন।

তখন সেই নারী গত ৪১ সপ্তাহ ধরে গর্ভবতী। চিকিৎসকরাও পরীক্ষা করার পর জানান, তার গর্ভস্থ সন্তানের মাথা বড় হওয়ায় ওই মহিলার পক্ষে নর্মাল ডেলিভারি হওয়া খুবই কঠিন। তবে তার স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন সেটা কিছুতেই মানতে রাজি নন। তারপর অস‌হ্য প্রসব ‌যন্ত্রণা সত্ত্বেও তাকে নর্মাল ডেলিভারির জন্যই ফেলে রাখা হয়।

কষ্ট সহ্য না করতে পেরে হাসপাতালে ৫ তলা থেকে ঝাঁপ দেন বছর সেই নারী। তারপর সব শেষ। গর্ভস্থ সন্তান ও মা দুজনেই। এই ‌যন্ত্রণাকাতর ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে ইউটিউবে। এটি চীনের সংহাই প্রদেশের অন্যতম বড় হাসপাতাল ইউলিনের ঘটনা বলে জানা গেছে।

চীনা নিয়ম অনুসারে সন্তানসম্ভবা নারীর সিজার করা হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। এক্ষেত্রে ‌যিনি সন্তান জন্ম দেবেন তার মতের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই নারীর ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রসব ‌যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে প্রসূতির আত্মহত্যা !

আপডেট সময় : ১২:১৮:৪৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বয়স ২৬ বছর। ছটফট করছিলেন প্রসব ‌যন্ত্রণায়।
দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই, বারবার তাই বসে পড়ছিলেন। কাকুতি মিনতি করছিলেন স্বামী ও পরিবারের অন্যান্যদের কাছে সিজারিয়ান ডেলিভারি করার অনুমতি দেওয়ার জন্য। তা সত্ত্বেও রাজি হয়নি তার পরিবারের লোকজন।

তখন সেই নারী গত ৪১ সপ্তাহ ধরে গর্ভবতী। চিকিৎসকরাও পরীক্ষা করার পর জানান, তার গর্ভস্থ সন্তানের মাথা বড় হওয়ায় ওই মহিলার পক্ষে নর্মাল ডেলিভারি হওয়া খুবই কঠিন। তবে তার স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন সেটা কিছুতেই মানতে রাজি নন। তারপর অস‌হ্য প্রসব ‌যন্ত্রণা সত্ত্বেও তাকে নর্মাল ডেলিভারির জন্যই ফেলে রাখা হয়।

কষ্ট সহ্য না করতে পেরে হাসপাতালে ৫ তলা থেকে ঝাঁপ দেন বছর সেই নারী। তারপর সব শেষ। গর্ভস্থ সন্তান ও মা দুজনেই। এই ‌যন্ত্রণাকাতর ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে ইউটিউবে। এটি চীনের সংহাই প্রদেশের অন্যতম বড় হাসপাতাল ইউলিনের ঘটনা বলে জানা গেছে।

চীনা নিয়ম অনুসারে সন্তানসম্ভবা নারীর সিজার করা হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। এক্ষেত্রে ‌যিনি সন্তান জন্ম দেবেন তার মতের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই নারীর ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে।