শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

পর্যাপ্ত ঘুমে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মানব দেহের ভালো-মন্দের সাথে ঘুমের সরাসরি যোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ঠিক মতো ঘুম না হলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, লম্বা ঘুম সম্ভব না হলেও, কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারলে তাতেও অনেক উপকার। সুস্থ জীবনের জন্য দিনে দুবার ঘুমানো দরকার৷ রাতের ঘুমের বাইরে একবার সামান্য একটু ঘুমিয়ে না নিলে কর্মক্ষমতা কমে। মন-মেজাজেও তার প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কাজের ফাঁকের সামান্য ঘুমও হৃৎস্পন্দনের হার শতকরা ৫ ভাগের মতো কমায় এবং কাজে মনোনিবেশের ক্ষমতা বাড়ায় শতকরা ৩০ ভাগের মতো।

যদিও চিকিৎসকেরা বলে থাকেন যে, রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমালেই যথেষ্ট। কিন্তু সম্প্রতি এখন নতুন তথ্য সামনে এসেছে। গবেষকরা বলছেন, টানা ৮ ঘন্টা না ঘুমিয়ে দিনে দুই বার ৪ ঘন্টা করে ঘুমালে নাকি শরীরের বেশি উপকার হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত ওই গবেষণা পত্র অনুসারে দিনে দুই বার ঘুমালে শরীরের যা উপকার হয়, তা একবার ঘুমালে হয় না।
দিনের বেলা অফিসে থাকলে দুই বার ঘুমাবো কী করে? একদম ঠিক কথা। কিন্তু বিজ্ঞানকে অস্বীকার করার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে বলে তো মনে হয় না। তাহলে কি এতদিন আমরা ঠিক পদ্ধতিতে ঘুমাতাম না? এই পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ রয়েছে যে দেশের নাগরিকরা ‘বাইফেসিক স্লিপ’ এ বিশ্বাস করে থাকেন। অর্থাৎ দিনে দুবার ঘুমানোই উচিত, এমন নিয়ম মেনে চলা মানুষের সংখ্যাটা কিন্তু নেহাতই কম নয়। এদের মধ্যে অনেকেই রাতের বেলা ৬ ঘন্টা এবং দিনের বেলা ২ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকেন। কেউ কেউ তো আবার রাতে ৪ ঘন্টা আর দিনে ৪ ঘন্টার ঘুমে অভ্যস্ত।

প্রসঙ্গত, ইতিহাস ঘাঁটলেও এমন কথাই জানতে পারা যায়। একাধিক বইয়ে উল্লেখ রয়েছে প্রাচীন পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ ছিলেন যারা সকাল-রাত্রি মিলিয়ে ৮ ঘন্টা ঘুমাতেন। এই ধরনের নিয়মই নাকি সকলে অনুসরণ করতেন। কিন্তু যেদিন থেকে বিদ্যুতের আবিষ্কার হয়েছে, সেদিন থেকেই নাকি স্লিপিং সার্কেলে পরিবর্তন এসেছে। এমনটাই বিশ্বাস বিজ্ঞানিদের।

প্রাচীন কালে কী যুক্তি মেনে লোকেরা দুই বার ঘুমতেন, তা জানা নেই। কিন্তু আধুনিক গবেষণা অনুসারে দুই ধাপে ঘুমলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এমনকি মনোযোগেরও উন্নতি ঘটে। একাধিক কেস স্টাডি করে জানা গেছে, বর্তমানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ অনিদ্রার শিকার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

পর্যাপ্ত ঘুমে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে !

আপডেট সময় : ১১:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মানব দেহের ভালো-মন্দের সাথে ঘুমের সরাসরি যোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ঠিক মতো ঘুম না হলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, লম্বা ঘুম সম্ভব না হলেও, কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারলে তাতেও অনেক উপকার। সুস্থ জীবনের জন্য দিনে দুবার ঘুমানো দরকার৷ রাতের ঘুমের বাইরে একবার সামান্য একটু ঘুমিয়ে না নিলে কর্মক্ষমতা কমে। মন-মেজাজেও তার প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কাজের ফাঁকের সামান্য ঘুমও হৃৎস্পন্দনের হার শতকরা ৫ ভাগের মতো কমায় এবং কাজে মনোনিবেশের ক্ষমতা বাড়ায় শতকরা ৩০ ভাগের মতো।

যদিও চিকিৎসকেরা বলে থাকেন যে, রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমালেই যথেষ্ট। কিন্তু সম্প্রতি এখন নতুন তথ্য সামনে এসেছে। গবেষকরা বলছেন, টানা ৮ ঘন্টা না ঘুমিয়ে দিনে দুই বার ৪ ঘন্টা করে ঘুমালে নাকি শরীরের বেশি উপকার হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত ওই গবেষণা পত্র অনুসারে দিনে দুই বার ঘুমালে শরীরের যা উপকার হয়, তা একবার ঘুমালে হয় না।
দিনের বেলা অফিসে থাকলে দুই বার ঘুমাবো কী করে? একদম ঠিক কথা। কিন্তু বিজ্ঞানকে অস্বীকার করার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে বলে তো মনে হয় না। তাহলে কি এতদিন আমরা ঠিক পদ্ধতিতে ঘুমাতাম না? এই পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ রয়েছে যে দেশের নাগরিকরা ‘বাইফেসিক স্লিপ’ এ বিশ্বাস করে থাকেন। অর্থাৎ দিনে দুবার ঘুমানোই উচিত, এমন নিয়ম মেনে চলা মানুষের সংখ্যাটা কিন্তু নেহাতই কম নয়। এদের মধ্যে অনেকেই রাতের বেলা ৬ ঘন্টা এবং দিনের বেলা ২ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকেন। কেউ কেউ তো আবার রাতে ৪ ঘন্টা আর দিনে ৪ ঘন্টার ঘুমে অভ্যস্ত।

প্রসঙ্গত, ইতিহাস ঘাঁটলেও এমন কথাই জানতে পারা যায়। একাধিক বইয়ে উল্লেখ রয়েছে প্রাচীন পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ ছিলেন যারা সকাল-রাত্রি মিলিয়ে ৮ ঘন্টা ঘুমাতেন। এই ধরনের নিয়মই নাকি সকলে অনুসরণ করতেন। কিন্তু যেদিন থেকে বিদ্যুতের আবিষ্কার হয়েছে, সেদিন থেকেই নাকি স্লিপিং সার্কেলে পরিবর্তন এসেছে। এমনটাই বিশ্বাস বিজ্ঞানিদের।

প্রাচীন কালে কী যুক্তি মেনে লোকেরা দুই বার ঘুমতেন, তা জানা নেই। কিন্তু আধুনিক গবেষণা অনুসারে দুই ধাপে ঘুমলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এমনকি মনোযোগেরও উন্নতি ঘটে। একাধিক কেস স্টাডি করে জানা গেছে, বর্তমানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ অনিদ্রার শিকার।