নিউজ ডেস্ক:
মানব দেহের ভালো-মন্দের সাথে ঘুমের সরাসরি যোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ঠিক মতো ঘুম না হলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, লম্বা ঘুম সম্ভব না হলেও, কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারলে তাতেও অনেক উপকার। সুস্থ জীবনের জন্য দিনে দুবার ঘুমানো দরকার৷ রাতের ঘুমের বাইরে একবার সামান্য একটু ঘুমিয়ে না নিলে কর্মক্ষমতা কমে। মন-মেজাজেও তার প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কাজের ফাঁকের সামান্য ঘুমও হৃৎস্পন্দনের হার শতকরা ৫ ভাগের মতো কমায় এবং কাজে মনোনিবেশের ক্ষমতা বাড়ায় শতকরা ৩০ ভাগের মতো।
যদিও চিকিৎসকেরা বলে থাকেন যে, রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমালেই যথেষ্ট। কিন্তু সম্প্রতি এখন নতুন তথ্য সামনে এসেছে। গবেষকরা বলছেন, টানা ৮ ঘন্টা না ঘুমিয়ে দিনে দুই বার ৪ ঘন্টা করে ঘুমালে নাকি শরীরের বেশি উপকার হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত ওই গবেষণা পত্র অনুসারে দিনে দুই বার ঘুমালে শরীরের যা উপকার হয়, তা একবার ঘুমালে হয় না।
দিনের বেলা অফিসে থাকলে দুই বার ঘুমাবো কী করে? একদম ঠিক কথা। কিন্তু বিজ্ঞানকে অস্বীকার করার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে বলে তো মনে হয় না। তাহলে কি এতদিন আমরা ঠিক পদ্ধতিতে ঘুমাতাম না? এই পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ রয়েছে যে দেশের নাগরিকরা ‘বাইফেসিক স্লিপ’ এ বিশ্বাস করে থাকেন। অর্থাৎ দিনে দুবার ঘুমানোই উচিত, এমন নিয়ম মেনে চলা মানুষের সংখ্যাটা কিন্তু নেহাতই কম নয়। এদের মধ্যে অনেকেই রাতের বেলা ৬ ঘন্টা এবং দিনের বেলা ২ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকেন। কেউ কেউ তো আবার রাতে ৪ ঘন্টা আর দিনে ৪ ঘন্টার ঘুমে অভ্যস্ত।
প্রসঙ্গত, ইতিহাস ঘাঁটলেও এমন কথাই জানতে পারা যায়। একাধিক বইয়ে উল্লেখ রয়েছে প্রাচীন পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ ছিলেন যারা সকাল-রাত্রি মিলিয়ে ৮ ঘন্টা ঘুমাতেন। এই ধরনের নিয়মই নাকি সকলে অনুসরণ করতেন। কিন্তু যেদিন থেকে বিদ্যুতের আবিষ্কার হয়েছে, সেদিন থেকেই নাকি স্লিপিং সার্কেলে পরিবর্তন এসেছে। এমনটাই বিশ্বাস বিজ্ঞানিদের।
প্রাচীন কালে কী যুক্তি মেনে লোকেরা দুই বার ঘুমতেন, তা জানা নেই। কিন্তু আধুনিক গবেষণা অনুসারে দুই ধাপে ঘুমলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এমনকি মনোযোগেরও উন্নতি ঘটে। একাধিক কেস স্টাডি করে জানা গেছে, বর্তমানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ অনিদ্রার শিকার।