শিরোনাম :
Logo খুবি উপাচার্যের সাথে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সৌজন্যে সাক্ষাৎ  Logo মাদকাসক্তরা বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত’ – জাবি উপাচার্য Logo অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাতক্ষীরায় পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর Logo ছাত্রী হলে খাবার ও পানি সমস্যায় চরম ভোগান্তিতে খুবি শিক্ষার্থীরা Logo সিরাজগঞ্জে খুচরা সার বিক্রেতাদের আইডি কার্ড বহাল ও কমিশন বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo সিরাজগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই এলাকার সংঘর্ষে আটক ৭ Logo ২ নং কয়রার নলপাড়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন শ্যামাকালী পূজা পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান Logo বুটেক্সে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা! Logo চাঁদপুরে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসে আলোচনা সভা

দিনাজপুরের বানভাসি মানুষকে ৩ মাস খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৭১ বার পড়া হয়েছে

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- বন্যা দূর্গতদের আগামী তিন মাস খাদ্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘরে নতুন আমন ফসল উঠে, ততদিন বানভাসি মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। কৃষক ভাইদের পূণঃরায় কৃষি ঋণ প্রদানসহ নতুন করে বীজ রোপণের ব্যবস্থা করা হবে। যাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে তাদের টিন প্রদানের পাশাপাশি নতুন করে বাড়ি-ঘর তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যে সমস্ত ছেলে-মেয়ে পড়া-লেখা করতে পারেনি, বন্যায় যাদের বই-পত্র নষ্ট হয়েছে গেছে, প্রয়োজনে যাদের নতুন করে বই-পত্র প্রদান করা হবে। তিনি রোববার সকালে দিনাজপুরে বন্যা দূর্গত এলাকারা পরিদর্শন এবং বানভাসি মানুষকে ত্রাণ বিতরণ কালে একথা বলেন।
দিনাজপুর জিলা স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র ত্রাণ বিতরণের আগে তার ভাষণে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বানভাসি মানুষের কাছে ঋণের টাকা এখন না তুলার নিদের্শ দিয়ে বলেন, এনজিও গুলো যাতে বানভাসি মানুষের কাছে এখন ঋণের টাকা না তুলে তার জন্য নিদের্শ দিচ্ছি।
সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটে থেকে ১১টা ১২ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন,বন্যার কারণে নতুন করে খাদ্য আমদানী করা হচ্ছে। আমাদের যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে। কেউ যাতে না খেয়ে থাকে আমরা তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের এতটুকু বলতে পারি যতক্ষণ আমি আছি ততক্ষণ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কোনো মানুষ না খেয়ে মরবে না। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে আমার বাবার মতো আমিও জীবন দিয়ে যাবো এটাই আমার প্রতীজ্ঞা।
তিনি আরো বলেন, আমার বাবা শেখ মুজিবুরের স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা মুক্ত দারিদ্য মুক্ত দেশ গড়ে তোলা। তাই আমি নিজেকে উৎসর্গ করেছি বাংলার মানুষের জন্য দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। তিনি বলেন, সব ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবেন। চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাদ্য ব্যবস্থা সব করবে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যার কারণে যত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নষ্ট হয়েছে, সবই সংস্কার করা হবে। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা এবং এর মানুষের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তার সব করা হবে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর-২ আসনের সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধূরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর-৩ আসনের সাংসদ ইকবালুর রহিম, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মীর্জা আশফাক, কোতয়ালী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন বক্তব্য রাখেন।
দিনাজপুরে ইয়াসমি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানন্ত্রী বলেন, সে সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। আমি সেসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সফর সঙ্গী হিসেবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধূরী, গণশিক্ষা মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফিজুর রহমান ফিজার, পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদ আলী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর-২ আসনের সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেস চন্দ্র সেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্নসম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক এমপি, দিনাজপুর-১ আসনের সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সতীশ চন্দ্র রায়, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, দিনাজপুর-৬ আসনের সাংসদ শিবলী সাদিক, পুলিশ সুপার হামিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের তেঘরা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শণ ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দুপুরের নামাজ ও খাওয়া শেষ করে তিনি কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার যোগে রওনা দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবি উপাচার্যের সাথে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সৌজন্যে সাক্ষাৎ 

দিনাজপুরের বানভাসি মানুষকে ৩ মাস খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ আগস্ট ২০১৭

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- বন্যা দূর্গতদের আগামী তিন মাস খাদ্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘরে নতুন আমন ফসল উঠে, ততদিন বানভাসি মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। কৃষক ভাইদের পূণঃরায় কৃষি ঋণ প্রদানসহ নতুন করে বীজ রোপণের ব্যবস্থা করা হবে। যাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে তাদের টিন প্রদানের পাশাপাশি নতুন করে বাড়ি-ঘর তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যে সমস্ত ছেলে-মেয়ে পড়া-লেখা করতে পারেনি, বন্যায় যাদের বই-পত্র নষ্ট হয়েছে গেছে, প্রয়োজনে যাদের নতুন করে বই-পত্র প্রদান করা হবে। তিনি রোববার সকালে দিনাজপুরে বন্যা দূর্গত এলাকারা পরিদর্শন এবং বানভাসি মানুষকে ত্রাণ বিতরণ কালে একথা বলেন।
দিনাজপুর জিলা স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র ত্রাণ বিতরণের আগে তার ভাষণে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বানভাসি মানুষের কাছে ঋণের টাকা এখন না তুলার নিদের্শ দিয়ে বলেন, এনজিও গুলো যাতে বানভাসি মানুষের কাছে এখন ঋণের টাকা না তুলে তার জন্য নিদের্শ দিচ্ছি।
সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটে থেকে ১১টা ১২ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন,বন্যার কারণে নতুন করে খাদ্য আমদানী করা হচ্ছে। আমাদের যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে। কেউ যাতে না খেয়ে থাকে আমরা তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের এতটুকু বলতে পারি যতক্ষণ আমি আছি ততক্ষণ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কোনো মানুষ না খেয়ে মরবে না। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে আমার বাবার মতো আমিও জীবন দিয়ে যাবো এটাই আমার প্রতীজ্ঞা।
তিনি আরো বলেন, আমার বাবা শেখ মুজিবুরের স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা মুক্ত দারিদ্য মুক্ত দেশ গড়ে তোলা। তাই আমি নিজেকে উৎসর্গ করেছি বাংলার মানুষের জন্য দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। তিনি বলেন, সব ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবেন। চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাদ্য ব্যবস্থা সব করবে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যার কারণে যত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নষ্ট হয়েছে, সবই সংস্কার করা হবে। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা এবং এর মানুষের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তার সব করা হবে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর-২ আসনের সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধূরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর-৩ আসনের সাংসদ ইকবালুর রহিম, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মীর্জা আশফাক, কোতয়ালী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন বক্তব্য রাখেন।
দিনাজপুরে ইয়াসমি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানন্ত্রী বলেন, সে সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। আমি সেসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সফর সঙ্গী হিসেবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধূরী, গণশিক্ষা মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফিজুর রহমান ফিজার, পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদ আলী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর-২ আসনের সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেস চন্দ্র সেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্নসম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক এমপি, দিনাজপুর-১ আসনের সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সতীশ চন্দ্র রায়, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, দিনাজপুর-৬ আসনের সাংসদ শিবলী সাদিক, পুলিশ সুপার হামিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের তেঘরা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শণ ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দুপুরের নামাজ ও খাওয়া শেষ করে তিনি কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার যোগে রওনা দেন।