শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

পুলিশের গাড়িতে চড়তে আসামি হতেও রাজি ! (ভিডিও)

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০২:৪৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পুলিশের গাড়ি দেখলেই অনেকের ভেতরটা কেপেঁ উঠে। কিন্তু দুবাইয়ে ঘটছে ভিন্ন ঘটনা। সেখানে পুলিশের সুপার কারে উঠতে আসামি হতেও রাজি অনেকে। পরতে চান হাতকড়াও।

দুবাইয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা হাসতে হাসতে বলছিলেন, অনেকে আমাকে অনুরোধ করেন তাকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তুলতে। দুবাইয়ের মানুষ তো বটেই, এমনকি পর্যটকরাও মাঝে মাঝে এমন আবদার করে বসেন। তার উদ্দেশ্য জেলে যাওয়া নয়। পুলিশের ওই গাড়িতে চড়া। কারণ গাড়িগুলো এক একটি সুপারকার।

দুবাইয়ের ওই অঞ্চলে ট্যুরিস্ট পুলিশও আছেন। তাদের সঙ্গে অতিথিদের দারুণ সম্পর্ক। অনেকে তার ফেরারির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন। দুবাইয়ে টহল দেন যে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সবাই কম-বেশি এমন অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে থাকেন। কেউ তাদের সঙ্গে একটু গাড়িতে চড়তে চান।

অনেকে আবার এর জন্য আসামি হতেও রাজি। এমনিতে তো আর পুলিশ কাউকে গাড়িতে উঠিয়ে ঘোরাতে পারেন না। তাই অনেকে হাতকড়া পরে চড়তেও রাজি।

শুধু বেন্টলি বা ফেরারির মতো দামি ও বিলাসী গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরিই সবকিছু নয়। এরা প্রত্যেকে যার যার কাজে সুদক্ষ। তারা হাসিমুখে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তারা বিপদগ্রস্ত যেকোনো মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যান। নারী-পুরুষ সবাই আছেন কর্মকর্তাদের এই তালিকায়।

সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মাইথা আল মুহাইররি জানান, পর্যটকরা অনেক সময়ই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, যে আমি কোনো মডেল হিসাবে কাজ করছি কিনা। আমি শুধু হাসি আর বলি, দুবাই পুলিশে কাজ করি।

দুবাইয়ের জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট এলাকায় এদের দেখা মেলে। যারা নতুন এখানে ঘুরতে এসেছেন তাদের মনে নিরাপত্তার আশ্বাস ছড়িয়ে দেন। যারাই আসেন তারাই পুলিশের এমন গাড়ি দেখে হতবাক হয়ে যান।

ফার্স্ট সার্জেন্ট হামদা আল জাসমি বলেন, আমি আমার চাকরিটা ভালোবাসি। এর কারণ এই দামি গাড়ি নয়। আমার কাজ পর্যটক ও দুবাই পুলিশের মাঝে দূরত্ব কমানো। মানুষ আমাদের কাছে আসার আগেই আমরা তাদের কাছে যেতে চাই, বললেন ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট খলিফা বিন হুমাইদা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

পুলিশের গাড়িতে চড়তে আসামি হতেও রাজি ! (ভিডিও)

আপডেট সময় : ০১:০২:৪৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পুলিশের গাড়ি দেখলেই অনেকের ভেতরটা কেপেঁ উঠে। কিন্তু দুবাইয়ে ঘটছে ভিন্ন ঘটনা। সেখানে পুলিশের সুপার কারে উঠতে আসামি হতেও রাজি অনেকে। পরতে চান হাতকড়াও।

দুবাইয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা হাসতে হাসতে বলছিলেন, অনেকে আমাকে অনুরোধ করেন তাকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তুলতে। দুবাইয়ের মানুষ তো বটেই, এমনকি পর্যটকরাও মাঝে মাঝে এমন আবদার করে বসেন। তার উদ্দেশ্য জেলে যাওয়া নয়। পুলিশের ওই গাড়িতে চড়া। কারণ গাড়িগুলো এক একটি সুপারকার।

দুবাইয়ের ওই অঞ্চলে ট্যুরিস্ট পুলিশও আছেন। তাদের সঙ্গে অতিথিদের দারুণ সম্পর্ক। অনেকে তার ফেরারির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন। দুবাইয়ে টহল দেন যে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সবাই কম-বেশি এমন অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে থাকেন। কেউ তাদের সঙ্গে একটু গাড়িতে চড়তে চান।

অনেকে আবার এর জন্য আসামি হতেও রাজি। এমনিতে তো আর পুলিশ কাউকে গাড়িতে উঠিয়ে ঘোরাতে পারেন না। তাই অনেকে হাতকড়া পরে চড়তেও রাজি।

শুধু বেন্টলি বা ফেরারির মতো দামি ও বিলাসী গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরিই সবকিছু নয়। এরা প্রত্যেকে যার যার কাজে সুদক্ষ। তারা হাসিমুখে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তারা বিপদগ্রস্ত যেকোনো মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যান। নারী-পুরুষ সবাই আছেন কর্মকর্তাদের এই তালিকায়।

সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মাইথা আল মুহাইররি জানান, পর্যটকরা অনেক সময়ই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, যে আমি কোনো মডেল হিসাবে কাজ করছি কিনা। আমি শুধু হাসি আর বলি, দুবাই পুলিশে কাজ করি।

দুবাইয়ের জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট এলাকায় এদের দেখা মেলে। যারা নতুন এখানে ঘুরতে এসেছেন তাদের মনে নিরাপত্তার আশ্বাস ছড়িয়ে দেন। যারাই আসেন তারাই পুলিশের এমন গাড়ি দেখে হতবাক হয়ে যান।

ফার্স্ট সার্জেন্ট হামদা আল জাসমি বলেন, আমি আমার চাকরিটা ভালোবাসি। এর কারণ এই দামি গাড়ি নয়। আমার কাজ পর্যটক ও দুবাই পুলিশের মাঝে দূরত্ব কমানো। মানুষ আমাদের কাছে আসার আগেই আমরা তাদের কাছে যেতে চাই, বললেন ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট খলিফা বিন হুমাইদা।