শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

পুলিশের গাড়িতে চড়তে আসামি হতেও রাজি ! (ভিডিও)

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০২:৪৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পুলিশের গাড়ি দেখলেই অনেকের ভেতরটা কেপেঁ উঠে। কিন্তু দুবাইয়ে ঘটছে ভিন্ন ঘটনা। সেখানে পুলিশের সুপার কারে উঠতে আসামি হতেও রাজি অনেকে। পরতে চান হাতকড়াও।

দুবাইয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা হাসতে হাসতে বলছিলেন, অনেকে আমাকে অনুরোধ করেন তাকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তুলতে। দুবাইয়ের মানুষ তো বটেই, এমনকি পর্যটকরাও মাঝে মাঝে এমন আবদার করে বসেন। তার উদ্দেশ্য জেলে যাওয়া নয়। পুলিশের ওই গাড়িতে চড়া। কারণ গাড়িগুলো এক একটি সুপারকার।

দুবাইয়ের ওই অঞ্চলে ট্যুরিস্ট পুলিশও আছেন। তাদের সঙ্গে অতিথিদের দারুণ সম্পর্ক। অনেকে তার ফেরারির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন। দুবাইয়ে টহল দেন যে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সবাই কম-বেশি এমন অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে থাকেন। কেউ তাদের সঙ্গে একটু গাড়িতে চড়তে চান।

অনেকে আবার এর জন্য আসামি হতেও রাজি। এমনিতে তো আর পুলিশ কাউকে গাড়িতে উঠিয়ে ঘোরাতে পারেন না। তাই অনেকে হাতকড়া পরে চড়তেও রাজি।

শুধু বেন্টলি বা ফেরারির মতো দামি ও বিলাসী গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরিই সবকিছু নয়। এরা প্রত্যেকে যার যার কাজে সুদক্ষ। তারা হাসিমুখে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তারা বিপদগ্রস্ত যেকোনো মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যান। নারী-পুরুষ সবাই আছেন কর্মকর্তাদের এই তালিকায়।

সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মাইথা আল মুহাইররি জানান, পর্যটকরা অনেক সময়ই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, যে আমি কোনো মডেল হিসাবে কাজ করছি কিনা। আমি শুধু হাসি আর বলি, দুবাই পুলিশে কাজ করি।

দুবাইয়ের জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট এলাকায় এদের দেখা মেলে। যারা নতুন এখানে ঘুরতে এসেছেন তাদের মনে নিরাপত্তার আশ্বাস ছড়িয়ে দেন। যারাই আসেন তারাই পুলিশের এমন গাড়ি দেখে হতবাক হয়ে যান।

ফার্স্ট সার্জেন্ট হামদা আল জাসমি বলেন, আমি আমার চাকরিটা ভালোবাসি। এর কারণ এই দামি গাড়ি নয়। আমার কাজ পর্যটক ও দুবাই পুলিশের মাঝে দূরত্ব কমানো। মানুষ আমাদের কাছে আসার আগেই আমরা তাদের কাছে যেতে চাই, বললেন ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট খলিফা বিন হুমাইদা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

পুলিশের গাড়িতে চড়তে আসামি হতেও রাজি ! (ভিডিও)

আপডেট সময় : ০১:০২:৪৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পুলিশের গাড়ি দেখলেই অনেকের ভেতরটা কেপেঁ উঠে। কিন্তু দুবাইয়ে ঘটছে ভিন্ন ঘটনা। সেখানে পুলিশের সুপার কারে উঠতে আসামি হতেও রাজি অনেকে। পরতে চান হাতকড়াও।

দুবাইয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা হাসতে হাসতে বলছিলেন, অনেকে আমাকে অনুরোধ করেন তাকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তুলতে। দুবাইয়ের মানুষ তো বটেই, এমনকি পর্যটকরাও মাঝে মাঝে এমন আবদার করে বসেন। তার উদ্দেশ্য জেলে যাওয়া নয়। পুলিশের ওই গাড়িতে চড়া। কারণ গাড়িগুলো এক একটি সুপারকার।

দুবাইয়ের ওই অঞ্চলে ট্যুরিস্ট পুলিশও আছেন। তাদের সঙ্গে অতিথিদের দারুণ সম্পর্ক। অনেকে তার ফেরারির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন। দুবাইয়ে টহল দেন যে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সবাই কম-বেশি এমন অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে থাকেন। কেউ তাদের সঙ্গে একটু গাড়িতে চড়তে চান।

অনেকে আবার এর জন্য আসামি হতেও রাজি। এমনিতে তো আর পুলিশ কাউকে গাড়িতে উঠিয়ে ঘোরাতে পারেন না। তাই অনেকে হাতকড়া পরে চড়তেও রাজি।

শুধু বেন্টলি বা ফেরারির মতো দামি ও বিলাসী গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরিই সবকিছু নয়। এরা প্রত্যেকে যার যার কাজে সুদক্ষ। তারা হাসিমুখে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তারা বিপদগ্রস্ত যেকোনো মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যান। নারী-পুরুষ সবাই আছেন কর্মকর্তাদের এই তালিকায়।

সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মাইথা আল মুহাইররি জানান, পর্যটকরা অনেক সময়ই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, যে আমি কোনো মডেল হিসাবে কাজ করছি কিনা। আমি শুধু হাসি আর বলি, দুবাই পুলিশে কাজ করি।

দুবাইয়ের জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট এলাকায় এদের দেখা মেলে। যারা নতুন এখানে ঘুরতে এসেছেন তাদের মনে নিরাপত্তার আশ্বাস ছড়িয়ে দেন। যারাই আসেন তারাই পুলিশের এমন গাড়ি দেখে হতবাক হয়ে যান।

ফার্স্ট সার্জেন্ট হামদা আল জাসমি বলেন, আমি আমার চাকরিটা ভালোবাসি। এর কারণ এই দামি গাড়ি নয়। আমার কাজ পর্যটক ও দুবাই পুলিশের মাঝে দূরত্ব কমানো। মানুষ আমাদের কাছে আসার আগেই আমরা তাদের কাছে যেতে চাই, বললেন ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট খলিফা বিন হুমাইদা।