নিউজ ডেস্ক:
মুথাইয়া মুরালিধরন ও মাধিমালার রামামূর্তি
টেস্টে ও ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেট শিকারী তিনি। তবে দক্ষিণ ভারতীয় রামামূর্তির সৌন্দর্যের ‘গুগলি’তে বোল্ড হয়ে যান সর্বকালের সেরা অফ-স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরন। ২০০৫-এ ২১ মার্চ মাধিমালাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছেন শ্রীলঙ্কান বোলার। এক সাক্ষাৎকারে মুরলী পত্নী জানিয়েছেন,‘মুরলীর হাসিতেই যেন বাঁধা পড়ে গেলাম৷’ কিন্তু ব্যাটসম্যানরা যে বলেন বোলিং করার সময় মুরলীর হাসিটাই না কি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর!
শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জা
চলতি বছরের এপ্রিলেই সাত বছরে পা-রাখল সানিয়া-শোয়েব জুটি। টেনিস-ক্রিকেটের এমন মেলবন্ধন অতীতেও ঘটেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা ট্রফি জিতেই সানিয়াকে ‘ডেডিকেট’ করেছিলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। পরে সেশ্যাল মিডিয়ায় দু’লাইনের টুইট,‘ সাতটা বসন্ত আমরা একসঙ্গে পার করলাম। অভিনন্দন সানিয়া। ’ ১২ এপ্রিল, ২০১০। হায়দরাবাদে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ভারত-পাকিস্তানের তারকা খেলোয়াড় বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন।
মহসিন খান ও রিনা রায়
১৯৮৩-৮৪ অস্ট্রেলিয়া সফরে কেরিয়ারের সেরা ফর্মে ছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার মহসিন খান৷ টানা দু’টি টেস্টে শতরান হাঁকিয়ে অজি পেসারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি৷ পরে প্রথম পাক ক্রিকেটার হিসেবে লর্ডসে ডাবল সেঞ্চুরির নজির গড়েছিলেন৷ ডানহাতি মহসিন তখন বিশ্বের অন্যতম ‘এলিজেবল ব্যাচিলার’ ক্রিকেটার৷ সে সময় পাক ওপেনারের প্রেমে হাবুডুবু খান বলিউড অভিনেত্রী রিনা রায়৷ ১৯৮৩ সালে দু’জনের চার হাত এক হয়৷ পরে যদিও দু’জনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
জাহির আব্বাস ও রিতা লুথরা
১৯৮৮ সালে ‘এশিয়ার ব্যাডম্যান’ জাহির আব্বাসের সঙ্গে বিয়ে রিতা লুথরার৷ গ্লস্টাশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলার সময় ইংল্যান্ডে ইন্টিরিয়র ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করা রিতার দেখা হয় আব্বাসের৷ বিয়ের পর রিতার নাম পরিবর্তন করে হন সামিনা৷ দু’জনের বাবা একে অপরের বন্ধু ছিলেন৷ শোনা যায় ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে থাকতেন রিতার বাবা।
শন টেট ও মাসুম সিং
উপমহাদেশ ছেড়ে এবার আন্তজার্তিক ক্রিকেটে চোখ রাখা যাক৷ আইপিএল খেলতে এসে মনটা ভারতীয় সুন্দরীর হাতে সঁপে দেন প্রাক্তন অজি পেসার শন টেট৷ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে চার বছর খেলার সুবাদে মাসুমের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেন তিনি৷ ২০১৪ সালে বিয়েটা সেড়েই ফেলেন অজি পেসার৷ তাঁর গতির সামনে বহু ক্রিকেটারই মুখ থুবড়ে পড়েছেন৷ কিন্তু টেট ভারতীয় মডেল মাসুমের সামনে নিজের উইকেট খুঁইয়ে বসেন৷ মুম্বইয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় টেট-মাসুমের৷ ভারতীয়কে বিয়ে করার সুবাদে চলতি বছরেই এদেশের নাগরিকত্বও পেয়েছন টেট।
গ্লেন টার্নার ও সুখিন্দর কউর
নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা ওপেনার গ্লেন টার্নার ভারতীয় মহিলার ভালোবাসার সুইংয়ে বোল্ড হয়ে যান৷ ১৯৭৩-এ পঞ্জাবি গার্ল সুখিন্দর কউর গিলকে বিয়ে করেন গ্লেন৷ তাঁদের দুটি ছেলে রয়েছে। নিউজিল্যান্ডে এই দম্পতি ‘সুখি টার্নার’ নামে পরিচিত। পরে নিউজিল্যান্ডে রাজনীতিতে নামেন মিস টার্নার। ১৯৯৫-এ ডুনডিনের মেয়রও হন৷ ২০০৪-এ রাজনীতি থেকে অবসর নেন তিনি।
মাইক ব্রেয়ারলি ও মানা সারাভাই
ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম বিচক্ষণ ক্যাপ্টেন বলে পরিচিত মাইক ব্রেয়ারলিও ভারতীয় সুন্দরীর সুইংয়ে বোল্ড হন৷ ১৯৮১-তে অ্যাশেজ জয়ী ইংল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেয়ারলির সঙ্গে গুজরাতি মহিলা সারাভাইয়ের প্রথম দেখা হয় ১৯৭৬-৭৭ ইংল্যান্ডের ভারত সফরে। স্ত্রী’র জন্য চার বছর গুজরাতি শেখেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ক্রিসমাসে ছুটি কাটাতে প্রায়ই আমেদাবাদে চলে আসেন ব্রেয়ারলি।
সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।