হানিফ ফ্লাইওভার থেকে সিঁড়ি অপসারণ করতেই হবে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:০১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি অপসারণের জন্য নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে অবিলম্বে ফ্লাইওভারের মাঝপথ দিয়ে ওঠার সিঁড়ি অপসারণ করতেই হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ওরিয়ন কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি নেই।
আদালতে ওরিয়ন গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষ মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সচিত্র প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছিলেন।

এর আগে গত ৩১ মে ২ সপ্তাহের মধ্যে মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।

সড়ক ও সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন ওরিয়ন কর্তৃপক্ষ।

গত ২৮ মে এশিয়ান এইজ পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দেন।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য ৬ থেকে ৭টি সিঁড়ি ও বাসস্টেশন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জল।

যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য ৬ থেকে ৭টি সিঁড়ি ও বাসস্টেশন আছে। এসব স্টেশনে বাস ও লেগুনা থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামার কারণে প্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৩-৪ মাসে ফ্লাইওভারের ওপরে ১০ জনের বেশি লোক মারা গেছে। এ ছাড়া বাসস্টেশন থাকার কারণে প্রায়ই যানজট থাকে। বাংলাদেশের অন্যান্য ফ্লাইওভারে সিঁড়ি ও বাসস্টেশন নেই। এসব যুক্তি উল্লেখ করে ফ্লাইওভারে বাসস্টেশন ও সিঁড়ি অপসারণ চেয়ে রিটটি করা হয়।

ট্যাগস :

হানিফ ফ্লাইওভার থেকে সিঁড়ি অপসারণ করতেই হবে !

আপডেট সময় : ১২:৩৯:০১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি অপসারণের জন্য নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে অবিলম্বে ফ্লাইওভারের মাঝপথ দিয়ে ওঠার সিঁড়ি অপসারণ করতেই হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ওরিয়ন কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি নেই।
আদালতে ওরিয়ন গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষ মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সচিত্র প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছিলেন।

এর আগে গত ৩১ মে ২ সপ্তাহের মধ্যে মাঝপথ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।

সড়ক ও সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন ওরিয়ন কর্তৃপক্ষ।

গত ২৮ মে এশিয়ান এইজ পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দেন।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য ৬ থেকে ৭টি সিঁড়ি ও বাসস্টেশন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জল।

যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য ৬ থেকে ৭টি সিঁড়ি ও বাসস্টেশন আছে। এসব স্টেশনে বাস ও লেগুনা থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামার কারণে প্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৩-৪ মাসে ফ্লাইওভারের ওপরে ১০ জনের বেশি লোক মারা গেছে। এ ছাড়া বাসস্টেশন থাকার কারণে প্রায়ই যানজট থাকে। বাংলাদেশের অন্যান্য ফ্লাইওভারে সিঁড়ি ও বাসস্টেশন নেই। এসব যুক্তি উল্লেখ করে ফ্লাইওভারে বাসস্টেশন ও সিঁড়ি অপসারণ চেয়ে রিটটি করা হয়।