বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

হুন্ডির মাধ্যমে বাড়ছে লেনদেন, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান এবং বিশ্ববাজারে তেলের দর কমে যাওয়াসহ একাধিক কারণে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসা কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমে এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে নেমে এসেছে, যা গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০১০-১১ অর্থবছরে এক হাজার ১৬৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। ২০১১-১২ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ২৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে হয় এক হাজার ৪২২ কোটি ৮২ লাখ ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আবার বেড়ে হয়েছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবার কিছুটা কমে আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

বিদায়ী অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৪.৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। মে মাসে এসেছে ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আর ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার এসেছিল এপ্রিলে। এর আগে মার্চে ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।

একক মাস হিসেবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আসে গত ফেব্রুয়ারিতে; ৯৪ কোটি সাত লাখ ডলার। জানুয়ারিতে আসে ১০০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ, নভেম্বরে ৯৫ কোটি ১৩ লাখ, অক্টোবরে ১০১ কোটি ৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১০৫ কোটি ৬৬ লাখ, আগস্টে ১১৮ কোটি ৩৬ লাখ এবং অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১০০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

একদিকে বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের উপার্জন কম হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের নানা সঙ্কটে ইউরো ও পাউন্ডের দাম পড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর এসব কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন তারা। হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোতে তা হিসাবে আসছে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

হুন্ডির মাধ্যমে বাড়ছে লেনদেন, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স !

আপডেট সময় : ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান এবং বিশ্ববাজারে তেলের দর কমে যাওয়াসহ একাধিক কারণে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসা কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমে এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে নেমে এসেছে, যা গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০১০-১১ অর্থবছরে এক হাজার ১৬৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। ২০১১-১২ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ২৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে হয় এক হাজার ৪২২ কোটি ৮২ লাখ ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আবার বেড়ে হয়েছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবার কিছুটা কমে আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

বিদায়ী অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৪.৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। মে মাসে এসেছে ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আর ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার এসেছিল এপ্রিলে। এর আগে মার্চে ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।

একক মাস হিসেবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আসে গত ফেব্রুয়ারিতে; ৯৪ কোটি সাত লাখ ডলার। জানুয়ারিতে আসে ১০০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ, নভেম্বরে ৯৫ কোটি ১৩ লাখ, অক্টোবরে ১০১ কোটি ৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১০৫ কোটি ৬৬ লাখ, আগস্টে ১১৮ কোটি ৩৬ লাখ এবং অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১০০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

একদিকে বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের উপার্জন কম হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের নানা সঙ্কটে ইউরো ও পাউন্ডের দাম পড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর এসব কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন তারা। হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোতে তা হিসাবে আসছে না।