শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে  ক্লিনিং ক্যাম্পেইন মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo কচুয়ার মাঝিগাছা মাওলানা মবিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১ Logo দেশে উৎপাদিত হচ্ছে বিদেশি ফল রামবুটান Logo রাকসু নির্বাচনের এক দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শেরপুর ডিসি অফিসের ড্রাইভারের নাম জড়িয়ে মাদক উদ্ধারের অপপ্রচার Logo টেকনাফ প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির প্রথম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত Logo গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি হচ্ছে: বিএনপি Logo বিশ্ববিখ্যাত ডিজে জাই উলফ আসছেন কক্সবাজারে

হুন্ডির মাধ্যমে বাড়ছে লেনদেন, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান এবং বিশ্ববাজারে তেলের দর কমে যাওয়াসহ একাধিক কারণে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসা কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমে এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে নেমে এসেছে, যা গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০১০-১১ অর্থবছরে এক হাজার ১৬৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। ২০১১-১২ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ২৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে হয় এক হাজার ৪২২ কোটি ৮২ লাখ ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আবার বেড়ে হয়েছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবার কিছুটা কমে আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

বিদায়ী অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৪.৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। মে মাসে এসেছে ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আর ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার এসেছিল এপ্রিলে। এর আগে মার্চে ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।

একক মাস হিসেবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আসে গত ফেব্রুয়ারিতে; ৯৪ কোটি সাত লাখ ডলার। জানুয়ারিতে আসে ১০০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ, নভেম্বরে ৯৫ কোটি ১৩ লাখ, অক্টোবরে ১০১ কোটি ৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১০৫ কোটি ৬৬ লাখ, আগস্টে ১১৮ কোটি ৩৬ লাখ এবং অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১০০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

একদিকে বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের উপার্জন কম হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের নানা সঙ্কটে ইউরো ও পাউন্ডের দাম পড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর এসব কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন তারা। হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোতে তা হিসাবে আসছে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে  ক্লিনিং ক্যাম্পেইন মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান

হুন্ডির মাধ্যমে বাড়ছে লেনদেন, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স !

আপডেট সময় : ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান এবং বিশ্ববাজারে তেলের দর কমে যাওয়াসহ একাধিক কারণে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসা কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমে এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে নেমে এসেছে, যা গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০১০-১১ অর্থবছরে এক হাজার ১৬৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। ২০১১-১২ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ২৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে হয় এক হাজার ৪২২ কোটি ৮২ লাখ ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আবার বেড়ে হয়েছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবার কিছুটা কমে আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

বিদায়ী অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৪.৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। মে মাসে এসেছে ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আর ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার এসেছিল এপ্রিলে। এর আগে মার্চে ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।

একক মাস হিসেবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আসে গত ফেব্রুয়ারিতে; ৯৪ কোটি সাত লাখ ডলার। জানুয়ারিতে আসে ১০০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ, নভেম্বরে ৯৫ কোটি ১৩ লাখ, অক্টোবরে ১০১ কোটি ৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১০৫ কোটি ৬৬ লাখ, আগস্টে ১১৮ কোটি ৩৬ লাখ এবং অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১০০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

একদিকে বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের উপার্জন কম হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের নানা সঙ্কটে ইউরো ও পাউন্ডের দাম পড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর এসব কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন তারা। হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোতে তা হিসাবে আসছে না।