শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

হুন্ডির মাধ্যমে বাড়ছে লেনদেন, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান এবং বিশ্ববাজারে তেলের দর কমে যাওয়াসহ একাধিক কারণে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসা কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমে এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে নেমে এসেছে, যা গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০১০-১১ অর্থবছরে এক হাজার ১৬৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। ২০১১-১২ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ২৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে হয় এক হাজার ৪২২ কোটি ৮২ লাখ ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আবার বেড়ে হয়েছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবার কিছুটা কমে আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

বিদায়ী অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৪.৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। মে মাসে এসেছে ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আর ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার এসেছিল এপ্রিলে। এর আগে মার্চে ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।

একক মাস হিসেবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আসে গত ফেব্রুয়ারিতে; ৯৪ কোটি সাত লাখ ডলার। জানুয়ারিতে আসে ১০০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ, নভেম্বরে ৯৫ কোটি ১৩ লাখ, অক্টোবরে ১০১ কোটি ৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১০৫ কোটি ৬৬ লাখ, আগস্টে ১১৮ কোটি ৩৬ লাখ এবং অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১০০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

একদিকে বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের উপার্জন কম হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের নানা সঙ্কটে ইউরো ও পাউন্ডের দাম পড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর এসব কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন তারা। হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোতে তা হিসাবে আসছে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

হুন্ডির মাধ্যমে বাড়ছে লেনদেন, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স !

আপডেট সময় : ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান এবং বিশ্ববাজারে তেলের দর কমে যাওয়াসহ একাধিক কারণে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসা কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমে এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে নেমে এসেছে, যা গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০১০-১১ অর্থবছরে এক হাজার ১৬৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। ২০১১-১২ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ২৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে হয় এক হাজার ৪২২ কোটি ৮২ লাখ ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আবার বেড়ে হয়েছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবার কিছুটা কমে আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

বিদায়ী অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৪.৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। মে মাসে এসেছে ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আর ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার এসেছিল এপ্রিলে। এর আগে মার্চে ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।

একক মাস হিসেবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আসে গত ফেব্রুয়ারিতে; ৯৪ কোটি সাত লাখ ডলার। জানুয়ারিতে আসে ১০০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ, নভেম্বরে ৯৫ কোটি ১৩ লাখ, অক্টোবরে ১০১ কোটি ৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১০৫ কোটি ৬৬ লাখ, আগস্টে ১১৮ কোটি ৩৬ লাখ এবং অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১০০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

একদিকে বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের উপার্জন কম হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের নানা সঙ্কটে ইউরো ও পাউন্ডের দাম পড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর এসব কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন তারা। হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোতে তা হিসাবে আসছে না।