শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

সাহরিতে চা পান ঠিক নয় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:০৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরের ক্লান্তি কাটাতে কিছুটা রুচিকর খাবারের দরকার আছে। কিন্তু অনেক সময়েই রুচিকর খাবারের নামে আয়োজনটা অনেকটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়। আমরা ভুলে যাই রোজার উদ্দেশ্য ও দর্শন। বরং কখনো কখনো আমরা এমন সব খাবারের আয়োজন করি যা কোনোভাবেই এ সময় স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

প্রক্রিয়াজাত ফুড এবং জাংক ফুড : এ ধরনের খাবার রোজার সময় এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস এ সময়ে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার নাইট্রেট ও সোডিয়াম। এই নাইট্রেট হজম প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে নাইট্রোসএমাইনে পরিণত হয়, যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে পরিচিত। ফাস্টফুডের অন্যতম উপাদান হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত মাংস, বাড়তি লবণ ও সম্পৃক্ত চর্বি। বাড়তি লবণ ও সম্পৃক্ত চর্বির মিলন মানে আয়ুষ্কাল হ্রাস।

পোলাও, বিরিয়ানি, অতিরিক্ত মিষ্টি : অতিরিক্ত ঝাল মসলা ও লবণযুক্ত মাংস কিংবা চালের কোনো খাবারই রোজার সময়ের জন্য ভালো খাবার নয়। এগুলো খাওয়ার পর প্রচণ্ড পিপাসার উদ্রেক হতে পারে। ইফতারে ভাজাপোড়া যেন না খেলেই নয়। অথচ এটি কোনোভাবেই ইফতার বা সেহরির সঙ্গে যায় না। এ ধরনের ভাজাপোড়া কিংবা পোলাও-রেজালা জাতীয় খাবার কোনোভাবেই ইফতার ও সেহরিতে খাওয়া উচিত নয়। এসব খাবারে থাকে তেল-চর্বি। যা হজম হতে চায় না।

ভাজাপোড়া খাবার : রোজায় বাজারে তৈরি ভাজাপোড়া খাবারের অধিকাংশই ভাজা হয় পুরনো তেলে। একই তেলে বারবার ভাজা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বারবার ভাজার ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সৃষ্টি হয়। এসব পদার্থ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ হিসেবে পরিচিত।

সাদা শত্রু : সাদা চিনিকে অনেকেই এক নম্বর শত্রু হিসেবে গণ্য করে থাকেন। কারণ মেদবহুলের জন্য চিনিকে সবচেয়ে দায়ী বলে মনে করে আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন। এছাড়া চিনি প্যানক্রিয়েস, লিভার এবং পরিপাকতন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

সেহরিতে চা পান ঠিক নয় : ইফতারের পর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শরীরে সারাদিনের পানি স্বল্পতা এবং শরীরকে দূষণমুক্ত করার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি গ্রহণ করা উত্তম। সেহরির পর অনেকই চা পান করে থাকেন। চা অনেক উপকারী এ কথাও প্রায় সবার জানা কিন্তু এই নিবন্ধে গবেষকরা সেহরির পর চা পান থেকে বিরত থাকতে বলেছেন একটি ভিন্ন কারণে। গবেষকরা বলছেন চায়ের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন। এই ক্যাফেইন

প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সারাদিন শরীরে খনিজ লবণ ও পানিস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

সাহরিতে চা পান ঠিক নয় !

আপডেট সময় : ০৩:২৪:০৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরের ক্লান্তি কাটাতে কিছুটা রুচিকর খাবারের দরকার আছে। কিন্তু অনেক সময়েই রুচিকর খাবারের নামে আয়োজনটা অনেকটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়। আমরা ভুলে যাই রোজার উদ্দেশ্য ও দর্শন। বরং কখনো কখনো আমরা এমন সব খাবারের আয়োজন করি যা কোনোভাবেই এ সময় স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

প্রক্রিয়াজাত ফুড এবং জাংক ফুড : এ ধরনের খাবার রোজার সময় এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস এ সময়ে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার নাইট্রেট ও সোডিয়াম। এই নাইট্রেট হজম প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে নাইট্রোসএমাইনে পরিণত হয়, যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে পরিচিত। ফাস্টফুডের অন্যতম উপাদান হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত মাংস, বাড়তি লবণ ও সম্পৃক্ত চর্বি। বাড়তি লবণ ও সম্পৃক্ত চর্বির মিলন মানে আয়ুষ্কাল হ্রাস।

পোলাও, বিরিয়ানি, অতিরিক্ত মিষ্টি : অতিরিক্ত ঝাল মসলা ও লবণযুক্ত মাংস কিংবা চালের কোনো খাবারই রোজার সময়ের জন্য ভালো খাবার নয়। এগুলো খাওয়ার পর প্রচণ্ড পিপাসার উদ্রেক হতে পারে। ইফতারে ভাজাপোড়া যেন না খেলেই নয়। অথচ এটি কোনোভাবেই ইফতার বা সেহরির সঙ্গে যায় না। এ ধরনের ভাজাপোড়া কিংবা পোলাও-রেজালা জাতীয় খাবার কোনোভাবেই ইফতার ও সেহরিতে খাওয়া উচিত নয়। এসব খাবারে থাকে তেল-চর্বি। যা হজম হতে চায় না।

ভাজাপোড়া খাবার : রোজায় বাজারে তৈরি ভাজাপোড়া খাবারের অধিকাংশই ভাজা হয় পুরনো তেলে। একই তেলে বারবার ভাজা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বারবার ভাজার ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সৃষ্টি হয়। এসব পদার্থ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ হিসেবে পরিচিত।

সাদা শত্রু : সাদা চিনিকে অনেকেই এক নম্বর শত্রু হিসেবে গণ্য করে থাকেন। কারণ মেদবহুলের জন্য চিনিকে সবচেয়ে দায়ী বলে মনে করে আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন। এছাড়া চিনি প্যানক্রিয়েস, লিভার এবং পরিপাকতন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

সেহরিতে চা পান ঠিক নয় : ইফতারের পর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শরীরে সারাদিনের পানি স্বল্পতা এবং শরীরকে দূষণমুক্ত করার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি গ্রহণ করা উত্তম। সেহরির পর অনেকই চা পান করে থাকেন। চা অনেক উপকারী এ কথাও প্রায় সবার জানা কিন্তু এই নিবন্ধে গবেষকরা সেহরির পর চা পান থেকে বিরত থাকতে বলেছেন একটি ভিন্ন কারণে। গবেষকরা বলছেন চায়ের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন। এই ক্যাফেইন

প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সারাদিন শরীরে খনিজ লবণ ও পানিস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে।