নিউজ ডেস্ক:
সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরের ক্লান্তি কাটাতে কিছুটা রুচিকর খাবারের দরকার আছে। কিন্তু অনেক সময়েই রুচিকর খাবারের নামে আয়োজনটা অনেকটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়। আমরা ভুলে যাই রোজার উদ্দেশ্য ও দর্শন। বরং কখনো কখনো আমরা এমন সব খাবারের আয়োজন করি যা কোনোভাবেই এ সময় স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
প্রক্রিয়াজাত ফুড এবং জাংক ফুড : এ ধরনের খাবার রোজার সময় এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস এ সময়ে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার নাইট্রেট ও সোডিয়াম। এই নাইট্রেট হজম প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে নাইট্রোসএমাইনে পরিণত হয়, যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে পরিচিত। ফাস্টফুডের অন্যতম উপাদান হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত মাংস, বাড়তি লবণ ও সম্পৃক্ত চর্বি। বাড়তি লবণ ও সম্পৃক্ত চর্বির মিলন মানে আয়ুষ্কাল হ্রাস।
পোলাও, বিরিয়ানি, অতিরিক্ত মিষ্টি : অতিরিক্ত ঝাল মসলা ও লবণযুক্ত মাংস কিংবা চালের কোনো খাবারই রোজার সময়ের জন্য ভালো খাবার নয়। এগুলো খাওয়ার পর প্রচণ্ড পিপাসার উদ্রেক হতে পারে। ইফতারে ভাজাপোড়া যেন না খেলেই নয়। অথচ এটি কোনোভাবেই ইফতার বা সেহরির সঙ্গে যায় না। এ ধরনের ভাজাপোড়া কিংবা পোলাও-রেজালা জাতীয় খাবার কোনোভাবেই ইফতার ও সেহরিতে খাওয়া উচিত নয়। এসব খাবারে থাকে তেল-চর্বি। যা হজম হতে চায় না।
ভাজাপোড়া খাবার : রোজায় বাজারে তৈরি ভাজাপোড়া খাবারের অধিকাংশই ভাজা হয় পুরনো তেলে। একই তেলে বারবার ভাজা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বারবার ভাজার ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সৃষ্টি হয়। এসব পদার্থ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ হিসেবে পরিচিত।
সাদা শত্রু : সাদা চিনিকে অনেকেই এক নম্বর শত্রু হিসেবে গণ্য করে থাকেন। কারণ মেদবহুলের জন্য চিনিকে সবচেয়ে দায়ী বলে মনে করে আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন। এছাড়া চিনি প্যানক্রিয়েস, লিভার এবং পরিপাকতন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
সেহরিতে চা পান ঠিক নয় : ইফতারের পর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শরীরে সারাদিনের পানি স্বল্পতা এবং শরীরকে দূষণমুক্ত করার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি গ্রহণ করা উত্তম। সেহরির পর অনেকই চা পান করে থাকেন। চা অনেক উপকারী এ কথাও প্রায় সবার জানা কিন্তু এই নিবন্ধে গবেষকরা সেহরির পর চা পান থেকে বিরত থাকতে বলেছেন একটি ভিন্ন কারণে। গবেষকরা বলছেন চায়ের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন। এই ক্যাফেইন
প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সারাদিন শরীরে খনিজ লবণ ও পানিস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে।