শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

যে রহস্য ঘেরা মন্দির, নিচে অসংখ্য গোপন সুড়ঙ্গ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:৩৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০১৭
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দাক্ষিণাত্যের সংস্কৃতি‚ স্থাপত্য‚ শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু হল তাঞ্জাভুর। এখানেই আছে বৃহদেশ্বর মন্দির। সুপ্রাচীন এই মন্দির পরিচিত রাজরাজেশ্বর বা রাজরাজেশ্বরম নামেও। ভারতের বৃহত্তম মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম এই শৈব পুণ্যভূমি |

দেবাদিদেব মহাদেবকে উৎসর্গ করা এই মন্দির বানিয়েছিলেন প্রথম রাজ রাজ চোল। নির্মাণ পর্ব শেষ হয়েছিল ১০১০ খ্রিস্টাব্দে। হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন এই মন্দির চোল শাসনের প্রাচুর্য-বিত্ত-দম্ভের প্রতীক। মন্দিরে খোদিত লিপি অনুযায়ী কুঞ্জর মল্লন ছিলেন মন্দিরের স্থপতি।

সম্পূর্ণ দ্রাবিড়ীয় ঘরানার স্থাপত্যে নির্মিত এই মন্দিরের মিনার বিশ্বে সর্বোচ্চ। মন্দিরের শীর্ষে স্থাপিত কুম্বমের ওজন অন্তত ৮০ টন। মূল বিগ্রহ ৩.৭ মিটার লম্বা। বলা হয়‚ এটাই বিশ্বের গ্র্যানাইটে তৈরি প্রথম সম্পূর্ণ মন্দির। ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টন গ্র্যানাইট।

কিন্তু সব থেকে রহস্যজনক হল‚ মন্দিরের কাছে ১০০ কি.মি. ব্যাস অবধি কোথাও কোনও গ্র্যানাইট নেই। কী করে এত ভারি বিশাল আকারের পাথর বয়ে আনা হল‚ কে বা কারাই বা বয়ে আনল‚ সে প্রশ্নের উত্তর আজও পাওয়া যায়নি।

আরও এক রহস্য হল এর নির্মাণ শৈলী। দ্বিপ্রহরে‚ সূর্য যখন মাঝ আকাশে ঠিক মাথার উপরে‚ তখন মন্দির চূড়া বা গোপূরমের ছায়া পড়ে না জমিতে। এই আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী থাকতে বহু দর্শনার্থী ভিড় করেন।

বলা হয়‚ মন্দিরের নিচে আছে অসংখ্য সুড়ঙ্গ। যেখান দিয়ে যাওয়া যায় অন্যান্য তীর্থস্থান ও মন্দিরে। এখন বেশিরভাগ পথই বন্ধ। কিন্তু অতীতে এই পথেই অন্য মন্দিরে যেতেন সাধু সন্ত‚ পুরোহিত‚ রাজন্য ও রানিরা। শিবরাত্রি‚ দীপাবলী‚ মকর সংক্রান্তির মতো তিথিতে বেশি করে ব্যবহৃত হতো এই সুড়ঙ্গপথ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

যে রহস্য ঘেরা মন্দির, নিচে অসংখ্য গোপন সুড়ঙ্গ !

আপডেট সময় : ০১:১৫:৩৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দাক্ষিণাত্যের সংস্কৃতি‚ স্থাপত্য‚ শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু হল তাঞ্জাভুর। এখানেই আছে বৃহদেশ্বর মন্দির। সুপ্রাচীন এই মন্দির পরিচিত রাজরাজেশ্বর বা রাজরাজেশ্বরম নামেও। ভারতের বৃহত্তম মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম এই শৈব পুণ্যভূমি |

দেবাদিদেব মহাদেবকে উৎসর্গ করা এই মন্দির বানিয়েছিলেন প্রথম রাজ রাজ চোল। নির্মাণ পর্ব শেষ হয়েছিল ১০১০ খ্রিস্টাব্দে। হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন এই মন্দির চোল শাসনের প্রাচুর্য-বিত্ত-দম্ভের প্রতীক। মন্দিরে খোদিত লিপি অনুযায়ী কুঞ্জর মল্লন ছিলেন মন্দিরের স্থপতি।

সম্পূর্ণ দ্রাবিড়ীয় ঘরানার স্থাপত্যে নির্মিত এই মন্দিরের মিনার বিশ্বে সর্বোচ্চ। মন্দিরের শীর্ষে স্থাপিত কুম্বমের ওজন অন্তত ৮০ টন। মূল বিগ্রহ ৩.৭ মিটার লম্বা। বলা হয়‚ এটাই বিশ্বের গ্র্যানাইটে তৈরি প্রথম সম্পূর্ণ মন্দির। ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টন গ্র্যানাইট।

কিন্তু সব থেকে রহস্যজনক হল‚ মন্দিরের কাছে ১০০ কি.মি. ব্যাস অবধি কোথাও কোনও গ্র্যানাইট নেই। কী করে এত ভারি বিশাল আকারের পাথর বয়ে আনা হল‚ কে বা কারাই বা বয়ে আনল‚ সে প্রশ্নের উত্তর আজও পাওয়া যায়নি।

আরও এক রহস্য হল এর নির্মাণ শৈলী। দ্বিপ্রহরে‚ সূর্য যখন মাঝ আকাশে ঠিক মাথার উপরে‚ তখন মন্দির চূড়া বা গোপূরমের ছায়া পড়ে না জমিতে। এই আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী থাকতে বহু দর্শনার্থী ভিড় করেন।

বলা হয়‚ মন্দিরের নিচে আছে অসংখ্য সুড়ঙ্গ। যেখান দিয়ে যাওয়া যায় অন্যান্য তীর্থস্থান ও মন্দিরে। এখন বেশিরভাগ পথই বন্ধ। কিন্তু অতীতে এই পথেই অন্য মন্দিরে যেতেন সাধু সন্ত‚ পুরোহিত‚ রাজন্য ও রানিরা। শিবরাত্রি‚ দীপাবলী‚ মকর সংক্রান্তির মতো তিথিতে বেশি করে ব্যবহৃত হতো এই সুড়ঙ্গপথ।