নিউজ ডেস্ক:
লম্বায় প্রায় ১৮ ফুট৷ সারা শরীরে যেন ট্যাঙ্কের মতো মোটা বর্ম। প্রায় ১১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরটি এখনও যেন অবিকল একই রকম। কানাডার খনি থেকে ছয় বছর আগে যখন নয়া প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম উদ্ধার হয়েছিল, অবাক হয়ে গিয়েছিলেন গবেষকরা। এর আকার দেখে নয়, এত বছর কী করে এত ভালোভাবে এটি সংরক্ষিত হল, সেটা দেখেই। আপাতত কানাডার আলবের্তায় রয়্যাল টাইরেল মিউজিয়ামে জনসাধারণের দেখার জন্য রাখা হয়েছে ডাইনোসরের জীবাশ্মটি।
জীবাশ্ম বলতে যদি ভাবেন হাড়ের কাঠামো, তা হলে কিন্ত্ত ভুল করবেন। এর বর্মের মতো মোটা চামড়া এমনভাবে হাড়ের সঙ্গে মিশে গিয়েছে, তা আলাদা করা কঠিন৷ আর সেই কারণেই মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, এ রকম অবিকৃত কাঠামোর জীবাশ্ম এর আগে তাঁরা দেখেননি। গবেষকদের কাছে এটি একেবারেই নয়া প্রজাতির ডায়নোসর। এর আগে এই প্রজাতির সন্ধান পাননি তাঁরা। তৃণভোজী বিশালাকার প্রাণীটি চার পায়ে হাঁটত। ট্যাঙ্কের মতো মোটা খোলসই ছিল এর বিশেষত্ব। আর নিরাপত্তার প্রয়োজনে সেই কঠিন খোলসে থাকত ছোট ছোট কাঁটাও। বিশেষজ্ঞদের ধারণা , নোডোসর আসলে আলবের্তার সবচেয়ে প্রাচীন প্রজাতির ডায়নোসর। আপাতত এই নয়া প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধানে গবেষক মহলেও যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
সূত্র: এই সময়।