নিউজ ডেস্ক:
চারিদিকে প্রচন্ড গরম। রসালো আমে ছেয়েছে বাজার। কিন্তু সুগারের ভয়ে আম খাওয়া বন্ধ? মোটা হওয়ার আতঙ্ক? ভয় ছাড়ুন। আম খান নিশ্চিন্তে। ব্লাড সুগার থেকে ক্যানসার। আমের জবাব নেই।
মনে পড়িয়ে দেয় সেই ছেলেবেলা। সেই কালবৈশাখী। সেই আম কুড়নোর পালা। আম খাওয়ার ধুম। আঙুল বেয়ে রস গড়িয়ে পড়া। মিষ্টি রসে মাখামাখি মুখ। ভয় জাঁকিয়ে বসছে? এই বুঝি মিষ্টির ঠেলায় সুগার না অ্যাটাক করে বসে। মিষ্টি শাঁসে ওজন বাড়ছে নাকি? এসব শুধুই মিথ। বাস্তবটা হল, পাকা আমে প্রচুর গুণ।
১। পাকা আমে রয়েছে প্রচুর খনিজ লবণ, ভিটামিন A, ভিটামিন C, ভিটামিন B-6, পটাসিয়াম, কপার লোহা, অ্যামাইনো অ্যাসাডি, বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। প্রোটিন, টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিডে ভরপুর পাকা আম।
২। আমে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন ও ভিটামিন A। চোখের দৃষ্টি বাড়ায়। রাতকানা রোগের হাত থেকে চোখকে রক্ষা করে।
৩। আমে রয়েছে ভিটামিন B কমপ্লেক্স। শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করে। শরীর সতেজ রাখে। ঘুম ভাল হয়।
৪। আমের বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন E এবং সেলেনিয়াম হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
৫। আমে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে, স্তন ক্যানসার, লিউকেমিয়া, কোলন ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৬। প্রচুর খনিজ লবণ থাকায় দাঁত, নখ, চুল ভাল থাকে।
৭। প্রতিদিন আম খেলে দেহের ক্ষয় রোধ হয়। মেদ ঝরে। ওজন কমে।
৮। প্রচুর আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর করে। শরীরের রক্ত পরিষ্কার থাকে।
৯। আমে প্রচুর ভিটামিন B-6 থাকায় কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
১০। পরিমিত আম খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত আম খাওয়া ঠিক হবে না। তাই ভয় ছাড়ুন। আম খান নিশ্চিন্তে।