শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

খাবারে পুষ্টি উপাদান বুঝেন কী ?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:২২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৫ মে ২০১৭
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বাজারে পণ্যের মোড়কে তালিকা পড়ে আপনি সত্যিকারার্থে কী বুঝেন? বিশেষজ্ঞরা খাদ্যদ্রব্যের মোড়কে ছাপানো পুষ্টি উপাদান তালিকার ভাষাগুলো ভালোমতো বুঝিয়ে দিচ্ছেন যেভাবে-

ক্যালরির হিসাব- একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১৮০০-২২০০ ক্যালরি গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। পরিমাণ নির্ভর করে লিঙ্গ ও শ্রমের ধরনের ওপর। তাই প্রথমেই ওই খাবার থেকে কী পরিমাণ ক্যালরি পাচ্ছেন তা বুঝে নিতে হবে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট- সাধারণত দুধ, মাখন ও মাংসের প্যাকেটে এই ভাষার দেখা মেলে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনার কোলস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
ট্রান্স ফ্যাট
এটি ফ্যাটের প্রক্রিয়াজাত অবস্থা। ফ্যাটের জীবনকাল বাড়াতে হাইড্রোজেনেশন প্রক্রিয়ায় ট্রান্স ফ্যাট তৈরি করা হয়। পাই বা ক্র্যাকার্সকে আরো মুড়মুড়ে করতে এই ফ্যাট জরুরি। ক্যালরি বৃদ্ধির ওস্তাদ এই ফ্যাট। তাই খুবই অল্প পরিমাণে গ্রহণ করতে হয়। একে অনেক সময় ‘পার্শিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড ওয়েল’ ভাষায় প্রকাশ করা হয়।
আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট- এই ফ্যাট বেশ স্বাস্থ্যকর। সাধারণত উদ্বিদের তেলে পাওয়া যায়। এই ফ্যাট দেহে কোলস্টেরলের মাত্রায় ভারসাম্য আনে।
বিভিন্ন বয়সের সুষম খাদ্য
মানুষের জীবনে সব বয়সে একই পরিমাণ ও একই রকম খাবার লাগে না। যেমন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দৈনিক চাহিদা ২৫০০-৪০০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত হয়, আবার একই অবস্থায় একজন নারীর চাহিদা ১৮০০-৩০০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত হতে পারে।
খাদ্যে পুষ্টি উপাদান জেনে নিন
শর্করা- চাল, গম, ভুট্টা, বার্লি, আলু, গুড়, চিনি, কচুমুখী ইত্যাদি। শর্করা প্রধানত শক্তি উৎপাদনকারী।
আমিষ বা প্রোটিন- সবরকম ডাল, সীমের বীচি, বাদাম, সয়াবিন, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি। দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধিসাধন করে।
স্নেহ বা চর্বি- সরিষা, তিল, তিসি, সয়াবিন, সূর্যমূখী, বাদাম, ঘি, মাখন, চর্বি, মাছের তেল ইত্যাদি। স্নেহপদার্থ শরীরে শক্তি উৎপাদন করে,  তবে এর শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা শর্করার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি।
খনিজ লবণ ক্যালসিয়াম- দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, সবুজ শাক ও ছোট মাছ ইত্যাদি। দেহের গঠন ও ক্ষয়পূরণে ভূমিকা রাখা।
ফলিক এসিড- সব রকমের তাজা শাক সবজি। ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ- রঙিন ও সবুজ শাক, পাকা আম, পাকা কাঁটাল, গাজর, পাকা পেঁপে, কলিজা, ডিম, মাছের তেল ইত্যাদি। তাছাড়া বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি দেহের গঠন ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় সাধন করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

খাবারে পুষ্টি উপাদান বুঝেন কী ?

আপডেট সময় : ০২:৩২:২২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৫ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বাজারে পণ্যের মোড়কে তালিকা পড়ে আপনি সত্যিকারার্থে কী বুঝেন? বিশেষজ্ঞরা খাদ্যদ্রব্যের মোড়কে ছাপানো পুষ্টি উপাদান তালিকার ভাষাগুলো ভালোমতো বুঝিয়ে দিচ্ছেন যেভাবে-

ক্যালরির হিসাব- একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১৮০০-২২০০ ক্যালরি গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। পরিমাণ নির্ভর করে লিঙ্গ ও শ্রমের ধরনের ওপর। তাই প্রথমেই ওই খাবার থেকে কী পরিমাণ ক্যালরি পাচ্ছেন তা বুঝে নিতে হবে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট- সাধারণত দুধ, মাখন ও মাংসের প্যাকেটে এই ভাষার দেখা মেলে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনার কোলস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
ট্রান্স ফ্যাট
এটি ফ্যাটের প্রক্রিয়াজাত অবস্থা। ফ্যাটের জীবনকাল বাড়াতে হাইড্রোজেনেশন প্রক্রিয়ায় ট্রান্স ফ্যাট তৈরি করা হয়। পাই বা ক্র্যাকার্সকে আরো মুড়মুড়ে করতে এই ফ্যাট জরুরি। ক্যালরি বৃদ্ধির ওস্তাদ এই ফ্যাট। তাই খুবই অল্প পরিমাণে গ্রহণ করতে হয়। একে অনেক সময় ‘পার্শিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড ওয়েল’ ভাষায় প্রকাশ করা হয়।
আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট- এই ফ্যাট বেশ স্বাস্থ্যকর। সাধারণত উদ্বিদের তেলে পাওয়া যায়। এই ফ্যাট দেহে কোলস্টেরলের মাত্রায় ভারসাম্য আনে।
বিভিন্ন বয়সের সুষম খাদ্য
মানুষের জীবনে সব বয়সে একই পরিমাণ ও একই রকম খাবার লাগে না। যেমন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দৈনিক চাহিদা ২৫০০-৪০০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত হয়, আবার একই অবস্থায় একজন নারীর চাহিদা ১৮০০-৩০০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত হতে পারে।
খাদ্যে পুষ্টি উপাদান জেনে নিন
শর্করা- চাল, গম, ভুট্টা, বার্লি, আলু, গুড়, চিনি, কচুমুখী ইত্যাদি। শর্করা প্রধানত শক্তি উৎপাদনকারী।
আমিষ বা প্রোটিন- সবরকম ডাল, সীমের বীচি, বাদাম, সয়াবিন, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি। দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধিসাধন করে।
স্নেহ বা চর্বি- সরিষা, তিল, তিসি, সয়াবিন, সূর্যমূখী, বাদাম, ঘি, মাখন, চর্বি, মাছের তেল ইত্যাদি। স্নেহপদার্থ শরীরে শক্তি উৎপাদন করে,  তবে এর শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা শর্করার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি।
খনিজ লবণ ক্যালসিয়াম- দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, সবুজ শাক ও ছোট মাছ ইত্যাদি। দেহের গঠন ও ক্ষয়পূরণে ভূমিকা রাখা।
ফলিক এসিড- সব রকমের তাজা শাক সবজি। ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ- রঙিন ও সবুজ শাক, পাকা আম, পাকা কাঁটাল, গাজর, পাকা পেঁপে, কলিজা, ডিম, মাছের তেল ইত্যাদি। তাছাড়া বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি দেহের গঠন ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় সাধন করে।