শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

খাবারে পুষ্টি উপাদান বুঝেন কী ?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:২২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৫ মে ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বাজারে পণ্যের মোড়কে তালিকা পড়ে আপনি সত্যিকারার্থে কী বুঝেন? বিশেষজ্ঞরা খাদ্যদ্রব্যের মোড়কে ছাপানো পুষ্টি উপাদান তালিকার ভাষাগুলো ভালোমতো বুঝিয়ে দিচ্ছেন যেভাবে-

ক্যালরির হিসাব- একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১৮০০-২২০০ ক্যালরি গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। পরিমাণ নির্ভর করে লিঙ্গ ও শ্রমের ধরনের ওপর। তাই প্রথমেই ওই খাবার থেকে কী পরিমাণ ক্যালরি পাচ্ছেন তা বুঝে নিতে হবে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট- সাধারণত দুধ, মাখন ও মাংসের প্যাকেটে এই ভাষার দেখা মেলে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনার কোলস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
ট্রান্স ফ্যাট
এটি ফ্যাটের প্রক্রিয়াজাত অবস্থা। ফ্যাটের জীবনকাল বাড়াতে হাইড্রোজেনেশন প্রক্রিয়ায় ট্রান্স ফ্যাট তৈরি করা হয়। পাই বা ক্র্যাকার্সকে আরো মুড়মুড়ে করতে এই ফ্যাট জরুরি। ক্যালরি বৃদ্ধির ওস্তাদ এই ফ্যাট। তাই খুবই অল্প পরিমাণে গ্রহণ করতে হয়। একে অনেক সময় ‘পার্শিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড ওয়েল’ ভাষায় প্রকাশ করা হয়।
আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট- এই ফ্যাট বেশ স্বাস্থ্যকর। সাধারণত উদ্বিদের তেলে পাওয়া যায়। এই ফ্যাট দেহে কোলস্টেরলের মাত্রায় ভারসাম্য আনে।
বিভিন্ন বয়সের সুষম খাদ্য
মানুষের জীবনে সব বয়সে একই পরিমাণ ও একই রকম খাবার লাগে না। যেমন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দৈনিক চাহিদা ২৫০০-৪০০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত হয়, আবার একই অবস্থায় একজন নারীর চাহিদা ১৮০০-৩০০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত হতে পারে।
খাদ্যে পুষ্টি উপাদান জেনে নিন
শর্করা- চাল, গম, ভুট্টা, বার্লি, আলু, গুড়, চিনি, কচুমুখী ইত্যাদি। শর্করা প্রধানত শক্তি উৎপাদনকারী।
আমিষ বা প্রোটিন- সবরকম ডাল, সীমের বীচি, বাদাম, সয়াবিন, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি। দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধিসাধন করে।
স্নেহ বা চর্বি- সরিষা, তিল, তিসি, সয়াবিন, সূর্যমূখী, বাদাম, ঘি, মাখন, চর্বি, মাছের তেল ইত্যাদি। স্নেহপদার্থ শরীরে শক্তি উৎপাদন করে,  তবে এর শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা শর্করার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি।
খনিজ লবণ ক্যালসিয়াম- দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, সবুজ শাক ও ছোট মাছ ইত্যাদি। দেহের গঠন ও ক্ষয়পূরণে ভূমিকা রাখা।
ফলিক এসিড- সব রকমের তাজা শাক সবজি। ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ- রঙিন ও সবুজ শাক, পাকা আম, পাকা কাঁটাল, গাজর, পাকা পেঁপে, কলিজা, ডিম, মাছের তেল ইত্যাদি। তাছাড়া বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি দেহের গঠন ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় সাধন করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

খাবারে পুষ্টি উপাদান বুঝেন কী ?

আপডেট সময় : ০২:৩২:২২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৫ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বাজারে পণ্যের মোড়কে তালিকা পড়ে আপনি সত্যিকারার্থে কী বুঝেন? বিশেষজ্ঞরা খাদ্যদ্রব্যের মোড়কে ছাপানো পুষ্টি উপাদান তালিকার ভাষাগুলো ভালোমতো বুঝিয়ে দিচ্ছেন যেভাবে-

ক্যালরির হিসাব- একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১৮০০-২২০০ ক্যালরি গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। পরিমাণ নির্ভর করে লিঙ্গ ও শ্রমের ধরনের ওপর। তাই প্রথমেই ওই খাবার থেকে কী পরিমাণ ক্যালরি পাচ্ছেন তা বুঝে নিতে হবে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট- সাধারণত দুধ, মাখন ও মাংসের প্যাকেটে এই ভাষার দেখা মেলে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনার কোলস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
ট্রান্স ফ্যাট
এটি ফ্যাটের প্রক্রিয়াজাত অবস্থা। ফ্যাটের জীবনকাল বাড়াতে হাইড্রোজেনেশন প্রক্রিয়ায় ট্রান্স ফ্যাট তৈরি করা হয়। পাই বা ক্র্যাকার্সকে আরো মুড়মুড়ে করতে এই ফ্যাট জরুরি। ক্যালরি বৃদ্ধির ওস্তাদ এই ফ্যাট। তাই খুবই অল্প পরিমাণে গ্রহণ করতে হয়। একে অনেক সময় ‘পার্শিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড ওয়েল’ ভাষায় প্রকাশ করা হয়।
আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট- এই ফ্যাট বেশ স্বাস্থ্যকর। সাধারণত উদ্বিদের তেলে পাওয়া যায়। এই ফ্যাট দেহে কোলস্টেরলের মাত্রায় ভারসাম্য আনে।
বিভিন্ন বয়সের সুষম খাদ্য
মানুষের জীবনে সব বয়সে একই পরিমাণ ও একই রকম খাবার লাগে না। যেমন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দৈনিক চাহিদা ২৫০০-৪০০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত হয়, আবার একই অবস্থায় একজন নারীর চাহিদা ১৮০০-৩০০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত হতে পারে।
খাদ্যে পুষ্টি উপাদান জেনে নিন
শর্করা- চাল, গম, ভুট্টা, বার্লি, আলু, গুড়, চিনি, কচুমুখী ইত্যাদি। শর্করা প্রধানত শক্তি উৎপাদনকারী।
আমিষ বা প্রোটিন- সবরকম ডাল, সীমের বীচি, বাদাম, সয়াবিন, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি। দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধিসাধন করে।
স্নেহ বা চর্বি- সরিষা, তিল, তিসি, সয়াবিন, সূর্যমূখী, বাদাম, ঘি, মাখন, চর্বি, মাছের তেল ইত্যাদি। স্নেহপদার্থ শরীরে শক্তি উৎপাদন করে,  তবে এর শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা শর্করার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি।
খনিজ লবণ ক্যালসিয়াম- দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, সবুজ শাক ও ছোট মাছ ইত্যাদি। দেহের গঠন ও ক্ষয়পূরণে ভূমিকা রাখা।
ফলিক এসিড- সব রকমের তাজা শাক সবজি। ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ- রঙিন ও সবুজ শাক, পাকা আম, পাকা কাঁটাল, গাজর, পাকা পেঁপে, কলিজা, ডিম, মাছের তেল ইত্যাদি। তাছাড়া বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি দেহের গঠন ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় সাধন করে।