শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

বাচ্চা কাঁদলেই আপনি যে ভুলটি করে থাকেন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বাবা, মায়েরা প্রায়শই ছেলে-মেয়েদের শান্ত করতে হাতে তুলে দেন তার প্রিয় চকোলেট। বাচ্চার কান্না থামানো সাময়িক উপায় হিসেবে এই কাজ করলেও এ প্রভাবটা কিন্তু অনেক গুরুতর। এর ফলেই আপনার বাচ্চা শিখে যাচ্ছে ইমোশনাল ইটিং। খিদে পেলে নয়, আবেগের বশে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হচ্ছে তার।

নরওয়েতে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের কান্না বা নেগেটিভ ইমোশনের মোকাবিলা করার জন্য তাদের পছন্দের খাবার খেতে দিয়েছেন, সেই শিশুরাই পরবর্তীতে ইমোশনাল ইটারে পরিণত হয়েছে। চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

আবার নরওয়েইয়ান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কিঙ্গস কলেজ লন্ডন, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও ইউনিভার্সিটি অব লিডস-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, যে বাবা-মায়েদের নিজেরা আবেগের বশে খাওয়ার অভ্যাস থাকে তারাই তাদের সন্তানদের সঙ্গে এমনটা করে থাকেন।

আর এতেই বাড়ছে অতিরিক্ত ওজন ও ইটিং ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি। যে খাবারগুলো আমরা মন ভাল করতে খাই, সেই খাবারগুলো স্বাভাবিক ভাবেই হাই ক্যালরি যুক্ত খাবার হয়ে থাকে। তাই আবেগের বশে খেলে বেশি ক্যালরি খাওয়া হয়।

নরওয়ের ৮০১ জন ৪ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়াকে নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ৬, ৮ ও ১০ বছর বয়সে তাদের খাদ্যাভ্যাস পরীক্ষা করে দেখা হয়। সন্তানদের ইমোশনাল ইটিং নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন দিতে বলা হয় অভিভাবকদের। দেখা যায় ৬৫ শতাংশ শিশুর মধ্যেই আবেগের বশে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে।

গবেষণার প্রধান গবেষক সিলিজে স্টেইনসবেক বলেন, বাচ্চারা কাঁদলে বা রাগ করলে খাবার দিয়ে খুশি করার বদলে ওদের সঙ্গে কথা বলে, জড়িয়ে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করুন। এক ফলে ওদের আবেগের বশে খাওয়ার অভ্যাস যেমন হবে না, তেমনই মানসিক স্থিরতাও বাড়বে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

বাচ্চা কাঁদলেই আপনি যে ভুলটি করে থাকেন !

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বাবা, মায়েরা প্রায়শই ছেলে-মেয়েদের শান্ত করতে হাতে তুলে দেন তার প্রিয় চকোলেট। বাচ্চার কান্না থামানো সাময়িক উপায় হিসেবে এই কাজ করলেও এ প্রভাবটা কিন্তু অনেক গুরুতর। এর ফলেই আপনার বাচ্চা শিখে যাচ্ছে ইমোশনাল ইটিং। খিদে পেলে নয়, আবেগের বশে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হচ্ছে তার।

নরওয়েতে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের কান্না বা নেগেটিভ ইমোশনের মোকাবিলা করার জন্য তাদের পছন্দের খাবার খেতে দিয়েছেন, সেই শিশুরাই পরবর্তীতে ইমোশনাল ইটারে পরিণত হয়েছে। চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

আবার নরওয়েইয়ান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কিঙ্গস কলেজ লন্ডন, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও ইউনিভার্সিটি অব লিডস-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, যে বাবা-মায়েদের নিজেরা আবেগের বশে খাওয়ার অভ্যাস থাকে তারাই তাদের সন্তানদের সঙ্গে এমনটা করে থাকেন।

আর এতেই বাড়ছে অতিরিক্ত ওজন ও ইটিং ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি। যে খাবারগুলো আমরা মন ভাল করতে খাই, সেই খাবারগুলো স্বাভাবিক ভাবেই হাই ক্যালরি যুক্ত খাবার হয়ে থাকে। তাই আবেগের বশে খেলে বেশি ক্যালরি খাওয়া হয়।

নরওয়ের ৮০১ জন ৪ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়াকে নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ৬, ৮ ও ১০ বছর বয়সে তাদের খাদ্যাভ্যাস পরীক্ষা করে দেখা হয়। সন্তানদের ইমোশনাল ইটিং নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন দিতে বলা হয় অভিভাবকদের। দেখা যায় ৬৫ শতাংশ শিশুর মধ্যেই আবেগের বশে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে।

গবেষণার প্রধান গবেষক সিলিজে স্টেইনসবেক বলেন, বাচ্চারা কাঁদলে বা রাগ করলে খাবার দিয়ে খুশি করার বদলে ওদের সঙ্গে কথা বলে, জড়িয়ে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করুন। এক ফলে ওদের আবেগের বশে খাওয়ার অভ্যাস যেমন হবে না, তেমনই মানসিক স্থিরতাও বাড়বে।