মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

বিস্ফোরক তৈরিতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতেন মার্টিন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জঙ্গিদের বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন মো. মুশফিকুর রহমান ওরফে মুশফিক মার্টিন জেনী। তিনি নব্য জেএমবির তথ্য প্রযুক্তি ও ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিশেষজ্ঞও ছিলেন।

গতকাল বুধবার সকালে ঢাকার উত্তরা থেকে মার্টিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০। গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানায়, মার্টিন জঙ্গিদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস তৈরি, তৈরির প্রশিক্ষণ ও তাদের কাছে সরবরহ করতেন। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে তার প্রচুর জ্ঞান ছিল। এ জ্ঞান তিনি জঙ্গিবাদে কাজে লাগাতেন।

জানা যায়, মার্টিন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসসি) বিভাগের ২০০৫ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। সহপাঠী ওয়ালী জামান ও আনোয়ারের মাধ্যমে তিনি জঙ্গিবাদে যুক্ত হন। ওয়ালী জামান ও আনোয়ার গত ২০ মার্চ বাড্ডা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

জঙ্গিবাদের জড়িয়ে পড়ার কারণে মার্টিন স্নাতক শেষ করতে পারেননি। মার্টিনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম নামকরা প্রকৌশলী ছিলেন। তারা দুই ভাই ও এক বোন। তাদের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং থানার নিমসারে। ঢাকায় উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ১/এ রোডের ৮ নম্বর বাসায় তারা থাকতেন।

 

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূইয়া জানান, মার্টিন নব্য জেএমবি সব নাশকতার পরিকল্পনা প্রণয়ন, ঘটনাস্থল রেকি করা, রিমোট কন্ট্রোল ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস তৈরি ও স্থাপন করতেন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, মার্টিন যেসব এক্সপ্লোসিভ তৈরি করতেন তা দিয়ে জঙ্গিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া নব্য জেএমবির ১৫ সদস্য জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানান। তারা জানান, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ও গান পাউডার মজুদ করে রেখেছেন তারা। কীভাবে এগুলো ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

বিস্ফোরক তৈরিতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতেন মার্টিন !

আপডেট সময় : ১১:৩১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

জঙ্গিদের বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন মো. মুশফিকুর রহমান ওরফে মুশফিক মার্টিন জেনী। তিনি নব্য জেএমবির তথ্য প্রযুক্তি ও ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিশেষজ্ঞও ছিলেন।

গতকাল বুধবার সকালে ঢাকার উত্তরা থেকে মার্টিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০। গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানায়, মার্টিন জঙ্গিদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস তৈরি, তৈরির প্রশিক্ষণ ও তাদের কাছে সরবরহ করতেন। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে তার প্রচুর জ্ঞান ছিল। এ জ্ঞান তিনি জঙ্গিবাদে কাজে লাগাতেন।

জানা যায়, মার্টিন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসসি) বিভাগের ২০০৫ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। সহপাঠী ওয়ালী জামান ও আনোয়ারের মাধ্যমে তিনি জঙ্গিবাদে যুক্ত হন। ওয়ালী জামান ও আনোয়ার গত ২০ মার্চ বাড্ডা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

জঙ্গিবাদের জড়িয়ে পড়ার কারণে মার্টিন স্নাতক শেষ করতে পারেননি। মার্টিনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম নামকরা প্রকৌশলী ছিলেন। তারা দুই ভাই ও এক বোন। তাদের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং থানার নিমসারে। ঢাকায় উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ১/এ রোডের ৮ নম্বর বাসায় তারা থাকতেন।

 

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূইয়া জানান, মার্টিন নব্য জেএমবি সব নাশকতার পরিকল্পনা প্রণয়ন, ঘটনাস্থল রেকি করা, রিমোট কন্ট্রোল ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস তৈরি ও স্থাপন করতেন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, মার্টিন যেসব এক্সপ্লোসিভ তৈরি করতেন তা দিয়ে জঙ্গিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া নব্য জেএমবির ১৫ সদস্য জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানান। তারা জানান, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ও গান পাউডার মজুদ করে রেখেছেন তারা। কীভাবে এগুলো ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।