শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

১ মাস আগে থেকেই শরীরে প্রকাশ পায় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:২১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অকস্মাৎ হার্ট অ্যাটাক আর তাতেই শেষ হয়ে যেতে পারে জীবন৷ এখন প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে৷ খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে নানা কু-অভ্যাসের ফলেই নেমে আসে এই ভয়াবহ বিপদ৷ তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন সত্যিই  আকস্মিক তা কিন্তু নয়৷ হার্ট অ্যাটাকের অন্তত একমাস আগে থেকে শরীরই জানান দেয় যে শরীরের ভেতরে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে৷

আমাদের শরীরের করোনারি আর্টারিতে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার দরুনই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা যায়৷ তবে তা একদিনে হয় না৷ ধীরে ধীরে সে লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে৷ আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে-

১। যদি অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব গ্রাস করে, তবে তা অবহেলা করার কিছু নেই৷ কেননা এ ক্লান্তিই পরে অ্যাটাকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে৷ আসলে এই দূর্বলতা হল রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফল৷ আর্টারিগুলো সরু হয়ে যাওয়ার ফলে পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে৷ এই ক্লান্তি তথা দূর্বলতা কিন্তু অ্যাটাকের অশনি সংকেত৷

২। ঝিমুনিকেও স্বাভাবিক ক্লান্তির কারণ ধরে নিয়ে অবজ্ঞা করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ কেননা পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ না থাকার কারণে শরীরে ক্লান্তি, ঘাম ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে৷ এবং এসব বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়৷

৩। যদি কাঁধে, হাতে ক্রমাগত ব্যাথা হতে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷ আর বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ ধরলে তো অবহেলা করা উচিতই নয়৷

৪। হার্ট অ্যাটাকের আগে বহু রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, তারা হালকা জ্বরে ভুগছেন৷ কেউবা ঠাণ্ডা লাগায় ভুগছেন৷ এরকম হতে থাকলে কিন্তু শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা উচিত৷

৫। যদি নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, দমবন্ধ লাগে, তবে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়৷ প্রতিটি অঙ্গই পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন চায়৷ কিন্তু হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফুসফুসও সমস্যায় পড়ে৷ তাই এই দমবন্ধ অবস্থা দেখা দেয়৷ এর সঙ্গে এসে জোড়ে বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ৷

সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্টের ক্ষতি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে৷ রক্তপ্রবাহ কমতে থাকার লক্ষণ আগেভাগেই জানান দেয় শরীর৷ সেইমতো বুঝে গোড়াতেই চিকিৎসা করলে অনেকসময়ই অ্যাটাকের সম্ভাবনা এড়ানো যায়৷

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

১ মাস আগে থেকেই শরীরে প্রকাশ পায় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ !

আপডেট সময় : ১১:৫৩:২১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অকস্মাৎ হার্ট অ্যাটাক আর তাতেই শেষ হয়ে যেতে পারে জীবন৷ এখন প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে৷ খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে নানা কু-অভ্যাসের ফলেই নেমে আসে এই ভয়াবহ বিপদ৷ তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন সত্যিই  আকস্মিক তা কিন্তু নয়৷ হার্ট অ্যাটাকের অন্তত একমাস আগে থেকে শরীরই জানান দেয় যে শরীরের ভেতরে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে৷

আমাদের শরীরের করোনারি আর্টারিতে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার দরুনই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা যায়৷ তবে তা একদিনে হয় না৷ ধীরে ধীরে সে লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে৷ আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে-

১। যদি অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব গ্রাস করে, তবে তা অবহেলা করার কিছু নেই৷ কেননা এ ক্লান্তিই পরে অ্যাটাকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে৷ আসলে এই দূর্বলতা হল রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফল৷ আর্টারিগুলো সরু হয়ে যাওয়ার ফলে পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে৷ এই ক্লান্তি তথা দূর্বলতা কিন্তু অ্যাটাকের অশনি সংকেত৷

২। ঝিমুনিকেও স্বাভাবিক ক্লান্তির কারণ ধরে নিয়ে অবজ্ঞা করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ কেননা পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ না থাকার কারণে শরীরে ক্লান্তি, ঘাম ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে৷ এবং এসব বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়৷

৩। যদি কাঁধে, হাতে ক্রমাগত ব্যাথা হতে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷ আর বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ ধরলে তো অবহেলা করা উচিতই নয়৷

৪। হার্ট অ্যাটাকের আগে বহু রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, তারা হালকা জ্বরে ভুগছেন৷ কেউবা ঠাণ্ডা লাগায় ভুগছেন৷ এরকম হতে থাকলে কিন্তু শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা উচিত৷

৫। যদি নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, দমবন্ধ লাগে, তবে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়৷ প্রতিটি অঙ্গই পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন চায়৷ কিন্তু হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফুসফুসও সমস্যায় পড়ে৷ তাই এই দমবন্ধ অবস্থা দেখা দেয়৷ এর সঙ্গে এসে জোড়ে বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ৷

সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্টের ক্ষতি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে৷ রক্তপ্রবাহ কমতে থাকার লক্ষণ আগেভাগেই জানান দেয় শরীর৷ সেইমতো বুঝে গোড়াতেই চিকিৎসা করলে অনেকসময়ই অ্যাটাকের সম্ভাবনা এড়ানো যায়৷