শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার লড়াইয়ে চীন-ভারত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৩৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রতিবেশি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন মাত্রা তৈরি করতে বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হলেও দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি অধরাই থেকে গেছে।

ভারতে চারদিনের সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শনিবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর প্রতিরক্ষা খাতে আরো ৫০ কোটি ডলারের ঘোষণা দেন নরেন্দ্র মোদি। তবে বহু বছর ধরে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদি ক্রয়ের অন্যতম বড় উৎস চীন।

ভারতের এই পদক্ষেপে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে চীনের সতর্কতা। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্বে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

২০১৫ সালে ঢাকার সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন মোদি। এদিকে, বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতের ২২ চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধির জন্য ভারত সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়নের বিশ্বস্ত অংশীদার।

বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক খাতের বিভিন্ন প্রকল্প উন্নয়নে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দেন মোদি। ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ নিয়ে গত ছয় বছরে বাংলাদেশের জন্য ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দেয়া হলো।

তবে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ থাকলেও শেখ হাসিনার সফরে যুগান্তকরী কোনো ফলাফল আসেনি। দুই দেশের মাঝে বহমান এই তিস্তার সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার করেছেন মোদি; বাংলাদেশের কৃষির জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে তা বাতিল হয়ে যায়। তখন থেকে ঝুলে আছে তিস্তা পানি চুক্তি।

বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রতি ঐতিহাসিকভাবেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’র (বিএনপি) চেয়ে অধিক সহানুভূতিশীল হিসেবে দেখা হয়। শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে দুই দেশ যৌথভাবে ডকুমেন্টারি তৈরি করবে। এর ফলে তিক্ততার পাকিস্তানের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছে থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুজিব। বাংলাদেশ সরকার বলছে, অনেক বাংলাদেশির সহযোগিতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধে অন্তত ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সহায়তা করে ভারত।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অামরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ। আমাদের সম্পর্ক ও সহযোগিতার ফল ভোগ করবে পুরো দক্ষিণ এশিয়া।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে

বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার লড়াইয়ে চীন-ভারত !

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৩৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রতিবেশি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন মাত্রা তৈরি করতে বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হলেও দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি অধরাই থেকে গেছে।

ভারতে চারদিনের সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শনিবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর প্রতিরক্ষা খাতে আরো ৫০ কোটি ডলারের ঘোষণা দেন নরেন্দ্র মোদি। তবে বহু বছর ধরে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদি ক্রয়ের অন্যতম বড় উৎস চীন।

ভারতের এই পদক্ষেপে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে চীনের সতর্কতা। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্বে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

২০১৫ সালে ঢাকার সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন মোদি। এদিকে, বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতের ২২ চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধির জন্য ভারত সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়নের বিশ্বস্ত অংশীদার।

বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক খাতের বিভিন্ন প্রকল্প উন্নয়নে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দেন মোদি। ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ নিয়ে গত ছয় বছরে বাংলাদেশের জন্য ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দেয়া হলো।

তবে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ থাকলেও শেখ হাসিনার সফরে যুগান্তকরী কোনো ফলাফল আসেনি। দুই দেশের মাঝে বহমান এই তিস্তার সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার করেছেন মোদি; বাংলাদেশের কৃষির জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে তা বাতিল হয়ে যায়। তখন থেকে ঝুলে আছে তিস্তা পানি চুক্তি।

বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রতি ঐতিহাসিকভাবেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’র (বিএনপি) চেয়ে অধিক সহানুভূতিশীল হিসেবে দেখা হয়। শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে দুই দেশ যৌথভাবে ডকুমেন্টারি তৈরি করবে। এর ফলে তিক্ততার পাকিস্তানের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছে থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুজিব। বাংলাদেশ সরকার বলছে, অনেক বাংলাদেশির সহযোগিতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধে অন্তত ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সহায়তা করে ভারত।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অামরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ। আমাদের সম্পর্ক ও সহযোগিতার ফল ভোগ করবে পুরো দক্ষিণ এশিয়া।