শিরোনাম :
Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১ Logo দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ডাকেটকে বিশ্রাম দিয়েছে ইংল্যান্ড Logo সাইবার নিরাপত্তা আইন এখন অনেক সক্রিয় : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Logo পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ Logo সাতক্ষীরায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo ইবিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে র‍্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo সুন্দরগঞ্জে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার Logo চাঁদপুর টেলিভিশনের সাংবাদিকদের সাথে জেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময়

যে কোনো মানুষের সঙ্গে সহজ হতে করণীয় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৪২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৭১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জীবনের সফলতা অনেকটাই অন্যের সঙ্গে যোগাযোগস্থাপনের পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। আমাদের যোগাযোগের ওপরই নির্ভর করে আমরা কেমন উপার্জন করবো, সম্পর্কে কতটা এগিয়ে যাওয়া যাবে এবং ক্যারিয়ারের কতটায় উচ্চতায় যাওয়া যাবে ইত্যাদি। কাজেই কোনো কাজে যার সঙ্গেই মিলিত হবেন, তখনই তার মনে স্থান করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন যে কোনো মানুষের সঙ্গে সহজ হতে করণীয়-

১। যখন অন্যে বক্তব্য শুনবেন-

যখন একজন কথা বলেন তখন তার অবচেতন মন বোঝার চেষ্টা করে, শ্রোতা তা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন কি না। এটা মানুষের এক সহজাত প্রবণতা। এর দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যায় যে আমরা অন্য কাউকে বিরক্ত করছি না বা আঘাত দিচ্ছি না। এ ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক অন্যের অঙ্গভঙ্গি, মুখভঙ্গি এবং আচরণগত অন্যান্য বিষয় লক্ষ্য করতে থাকে। কাজেই যখন অন্যের কথা শুনছেন, তখন চোখ এদিক ওদিক নেবেন না। তার বক্তব্যকে প্রাধান্য দিন এবং মনোযোগ সহকারে শুনুন। কি শুনছেন তা নয়, বরং কিভাবে শুনছেন তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

২। সব নিজেই বলবেন না-

যখন আলাপচারিতায় বসেছেন, তখন নিজের বিস্তর বলার সুযোগ থাকলেও অন্যকে বলার সুযোগ দেবেন। অধিকাংশ মানুষই তার বক্তব্যের মাধ্যম বাধাপ্রাপ্ত হলে বিরক্ত হন। কেউ যদি আপনার দ্বারা এই উপায়ে বিরক্ত হন, তখন আপনি কখনোই তার বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবেন না।

৩. সম্পূরক মন্তব্যে সাবধান-

পরিবেশ বুঝে কারো বক্তব্যের সঙ্গে এসব মন্তব্য বেশ কাজের। সাধারণত কারো বক্তব্যের মাঝে ‘ও আচ্ছা’ বা ‘আহা’ ইত্যাদি দিয়ে শ্রোতা তার ভাব প্রকাশ করেন। এগুলো বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে বিপদ। তা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক আলোচনা বা সভায় এসব মন্তব্য বক্তার কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। কাজেই এ বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।

৪. সর্বজ্ঞানী ভাব আনবেন না-

অনেক মানুষই আছেন যারা নিজেদের মহাজ্ঞানী মনে করেন। আর কারো সঙ্গে আলোচনায় তা স্পষ্ট করে তুলতে চান। এমন মানুষকে কেউ-ই পছন্দ করেন না। তাই বক্তব্যের বিপরীতে আপনি নিজেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কথা বলতে পারেন। কিন্তু এমন ভাব দেখানো  উচিত নয় যে, আপনিই সব জানেন।

৫. আগে বলে ফেলুন : যদি দুর্বল মনের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে প্রশ্ন থাকলে তা আগেই জিজ্ঞাসা করে ফেলুন। এতে কিছুটা রোবট বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বেশি কথা বলতে গিয়ে এলোমেলো হওয়ার চাইতে আগে কাজ করে ফেলা ভালো। আলাপচারিতায় আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং আড্ডার ছলে কথা বলে যান। কোনো সভায় বা সেমিনারে প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন তুলে ধরার মাধ্যমেও কারো সঙ্গে আলাপচারিতার শুরু হতে পারে।

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন

যে কোনো মানুষের সঙ্গে সহজ হতে করণীয় !

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৪২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

জীবনের সফলতা অনেকটাই অন্যের সঙ্গে যোগাযোগস্থাপনের পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। আমাদের যোগাযোগের ওপরই নির্ভর করে আমরা কেমন উপার্জন করবো, সম্পর্কে কতটা এগিয়ে যাওয়া যাবে এবং ক্যারিয়ারের কতটায় উচ্চতায় যাওয়া যাবে ইত্যাদি। কাজেই কোনো কাজে যার সঙ্গেই মিলিত হবেন, তখনই তার মনে স্থান করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন যে কোনো মানুষের সঙ্গে সহজ হতে করণীয়-

১। যখন অন্যে বক্তব্য শুনবেন-

যখন একজন কথা বলেন তখন তার অবচেতন মন বোঝার চেষ্টা করে, শ্রোতা তা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন কি না। এটা মানুষের এক সহজাত প্রবণতা। এর দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যায় যে আমরা অন্য কাউকে বিরক্ত করছি না বা আঘাত দিচ্ছি না। এ ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক অন্যের অঙ্গভঙ্গি, মুখভঙ্গি এবং আচরণগত অন্যান্য বিষয় লক্ষ্য করতে থাকে। কাজেই যখন অন্যের কথা শুনছেন, তখন চোখ এদিক ওদিক নেবেন না। তার বক্তব্যকে প্রাধান্য দিন এবং মনোযোগ সহকারে শুনুন। কি শুনছেন তা নয়, বরং কিভাবে শুনছেন তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

২। সব নিজেই বলবেন না-

যখন আলাপচারিতায় বসেছেন, তখন নিজের বিস্তর বলার সুযোগ থাকলেও অন্যকে বলার সুযোগ দেবেন। অধিকাংশ মানুষই তার বক্তব্যের মাধ্যম বাধাপ্রাপ্ত হলে বিরক্ত হন। কেউ যদি আপনার দ্বারা এই উপায়ে বিরক্ত হন, তখন আপনি কখনোই তার বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবেন না।

৩. সম্পূরক মন্তব্যে সাবধান-

পরিবেশ বুঝে কারো বক্তব্যের সঙ্গে এসব মন্তব্য বেশ কাজের। সাধারণত কারো বক্তব্যের মাঝে ‘ও আচ্ছা’ বা ‘আহা’ ইত্যাদি দিয়ে শ্রোতা তার ভাব প্রকাশ করেন। এগুলো বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে বিপদ। তা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক আলোচনা বা সভায় এসব মন্তব্য বক্তার কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। কাজেই এ বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।

৪. সর্বজ্ঞানী ভাব আনবেন না-

অনেক মানুষই আছেন যারা নিজেদের মহাজ্ঞানী মনে করেন। আর কারো সঙ্গে আলোচনায় তা স্পষ্ট করে তুলতে চান। এমন মানুষকে কেউ-ই পছন্দ করেন না। তাই বক্তব্যের বিপরীতে আপনি নিজেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কথা বলতে পারেন। কিন্তু এমন ভাব দেখানো  উচিত নয় যে, আপনিই সব জানেন।

৫. আগে বলে ফেলুন : যদি দুর্বল মনের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে প্রশ্ন থাকলে তা আগেই জিজ্ঞাসা করে ফেলুন। এতে কিছুটা রোবট বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বেশি কথা বলতে গিয়ে এলোমেলো হওয়ার চাইতে আগে কাজ করে ফেলা ভালো। আলাপচারিতায় আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং আড্ডার ছলে কথা বলে যান। কোনো সভায় বা সেমিনারে প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন তুলে ধরার মাধ্যমেও কারো সঙ্গে আলাপচারিতার শুরু হতে পারে।

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার