শনিবার | ২৯ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo বাংলাদেশের কলম, ভারতের কণ্ঠ—নতুন গানে উপমহাদেশের একতা Logo খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসী আটক Logo মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারিগর আটক: Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ

রাতে ফেসবুক বন্ধের প্রস্তাব যে কারণে !

  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শিশুরা কার্টুন দেখে আর ফেসবুক ব্যবহার করে তাদের সময় নষ্ট করছে এবং রাত জেগে থাকছে। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে না। এই দুই যুক্তিকে সামনে রেখে ফেসবুক বন্ধ করা জরুরি বলে ডেপুটি কমিশনাররা সুপারিশ করায় বিটিআরসির মতামত চেয়েছে সরকার। জানা যায়, মধ্যরাতে ফেসবুক বন্ধের সুপারিশকে আমলে নিয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে দ্বিতীয় দফা চিঠি দিয়েছে সরকার। এ চিঠিতে কেবল ফেসবুক নয়, কার্টুন চ্যানেল বন্ধের বিষয়েও বিটিআরসির মতামত চাওয়া হয়েছে। আগের চিঠির জবাব না পাওয়ায় আবারও এ চিঠি পাঠানো হয় সংস্থাটিকে। এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা।

ডেপুটি কমিশনারদের সম্মেলনে গত বছর ফেসবুকের বিষয়টি আলোচনায় আসে। ফেসবুক প্রায় নেশার মতো ব্যবহার করায় কিশোর থেকে তরুণ বয়সীদের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সেসময় ফেসবুক বন্ধের সুপারিশও করেছিলেন তারা। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ টেলিযোগাযোগ বিভাগকে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে রাত বারোটা থেকে ছয় ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ রাখার বিষয়টি উঠে এসেছে।

তবে এ ব্যাপারে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছিলেন, দেশে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সরকারকে ফেসবুক বন্ধ করে দিতে হবে। দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা বলেন, সরকার ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি, নেবেও না। ২০১৬ সালের ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে শিশুদের কার্টুন ও ফেসবুকে আসক্তি বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ডিসিদের পক্ষ থেকে এগুলো কিছু সময়ের জন্য বন্ধের আবেদন জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সেসময় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিটিআরসিকে জানানো হলেও বিটিআরসি তার জবাব দেয়নি। আগামীর ডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিকালে সেই বিষয়টি নজরে এলে আবারও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিটিআরসিকে চিঠি পাঠানো হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের কলম, ভারতের কণ্ঠ—নতুন গানে উপমহাদেশের একতা

রাতে ফেসবুক বন্ধের প্রস্তাব যে কারণে !

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

শিশুরা কার্টুন দেখে আর ফেসবুক ব্যবহার করে তাদের সময় নষ্ট করছে এবং রাত জেগে থাকছে। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে না। এই দুই যুক্তিকে সামনে রেখে ফেসবুক বন্ধ করা জরুরি বলে ডেপুটি কমিশনাররা সুপারিশ করায় বিটিআরসির মতামত চেয়েছে সরকার। জানা যায়, মধ্যরাতে ফেসবুক বন্ধের সুপারিশকে আমলে নিয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে দ্বিতীয় দফা চিঠি দিয়েছে সরকার। এ চিঠিতে কেবল ফেসবুক নয়, কার্টুন চ্যানেল বন্ধের বিষয়েও বিটিআরসির মতামত চাওয়া হয়েছে। আগের চিঠির জবাব না পাওয়ায় আবারও এ চিঠি পাঠানো হয় সংস্থাটিকে। এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা।

ডেপুটি কমিশনারদের সম্মেলনে গত বছর ফেসবুকের বিষয়টি আলোচনায় আসে। ফেসবুক প্রায় নেশার মতো ব্যবহার করায় কিশোর থেকে তরুণ বয়সীদের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সেসময় ফেসবুক বন্ধের সুপারিশও করেছিলেন তারা। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ টেলিযোগাযোগ বিভাগকে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে রাত বারোটা থেকে ছয় ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ রাখার বিষয়টি উঠে এসেছে।

তবে এ ব্যাপারে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছিলেন, দেশে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সরকারকে ফেসবুক বন্ধ করে দিতে হবে। দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা বলেন, সরকার ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি, নেবেও না। ২০১৬ সালের ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে শিশুদের কার্টুন ও ফেসবুকে আসক্তি বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ডিসিদের পক্ষ থেকে এগুলো কিছু সময়ের জন্য বন্ধের আবেদন জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সেসময় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিটিআরসিকে জানানো হলেও বিটিআরসি তার জবাব দেয়নি। আগামীর ডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিকালে সেই বিষয়টি নজরে এলে আবারও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিটিআরসিকে চিঠি পাঠানো হয়।