শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

রাতে ফেসবুক বন্ধের প্রস্তাব যে কারণে !

  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শিশুরা কার্টুন দেখে আর ফেসবুক ব্যবহার করে তাদের সময় নষ্ট করছে এবং রাত জেগে থাকছে। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে না। এই দুই যুক্তিকে সামনে রেখে ফেসবুক বন্ধ করা জরুরি বলে ডেপুটি কমিশনাররা সুপারিশ করায় বিটিআরসির মতামত চেয়েছে সরকার। জানা যায়, মধ্যরাতে ফেসবুক বন্ধের সুপারিশকে আমলে নিয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে দ্বিতীয় দফা চিঠি দিয়েছে সরকার। এ চিঠিতে কেবল ফেসবুক নয়, কার্টুন চ্যানেল বন্ধের বিষয়েও বিটিআরসির মতামত চাওয়া হয়েছে। আগের চিঠির জবাব না পাওয়ায় আবারও এ চিঠি পাঠানো হয় সংস্থাটিকে। এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা।

ডেপুটি কমিশনারদের সম্মেলনে গত বছর ফেসবুকের বিষয়টি আলোচনায় আসে। ফেসবুক প্রায় নেশার মতো ব্যবহার করায় কিশোর থেকে তরুণ বয়সীদের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সেসময় ফেসবুক বন্ধের সুপারিশও করেছিলেন তারা। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ টেলিযোগাযোগ বিভাগকে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে রাত বারোটা থেকে ছয় ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ রাখার বিষয়টি উঠে এসেছে।

তবে এ ব্যাপারে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছিলেন, দেশে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সরকারকে ফেসবুক বন্ধ করে দিতে হবে। দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা বলেন, সরকার ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি, নেবেও না। ২০১৬ সালের ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে শিশুদের কার্টুন ও ফেসবুকে আসক্তি বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ডিসিদের পক্ষ থেকে এগুলো কিছু সময়ের জন্য বন্ধের আবেদন জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সেসময় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিটিআরসিকে জানানো হলেও বিটিআরসি তার জবাব দেয়নি। আগামীর ডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিকালে সেই বিষয়টি নজরে এলে আবারও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিটিআরসিকে চিঠি পাঠানো হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

রাতে ফেসবুক বন্ধের প্রস্তাব যে কারণে !

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

শিশুরা কার্টুন দেখে আর ফেসবুক ব্যবহার করে তাদের সময় নষ্ট করছে এবং রাত জেগে থাকছে। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে না। এই দুই যুক্তিকে সামনে রেখে ফেসবুক বন্ধ করা জরুরি বলে ডেপুটি কমিশনাররা সুপারিশ করায় বিটিআরসির মতামত চেয়েছে সরকার। জানা যায়, মধ্যরাতে ফেসবুক বন্ধের সুপারিশকে আমলে নিয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে দ্বিতীয় দফা চিঠি দিয়েছে সরকার। এ চিঠিতে কেবল ফেসবুক নয়, কার্টুন চ্যানেল বন্ধের বিষয়েও বিটিআরসির মতামত চাওয়া হয়েছে। আগের চিঠির জবাব না পাওয়ায় আবারও এ চিঠি পাঠানো হয় সংস্থাটিকে। এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা।

ডেপুটি কমিশনারদের সম্মেলনে গত বছর ফেসবুকের বিষয়টি আলোচনায় আসে। ফেসবুক প্রায় নেশার মতো ব্যবহার করায় কিশোর থেকে তরুণ বয়সীদের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সেসময় ফেসবুক বন্ধের সুপারিশও করেছিলেন তারা। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ টেলিযোগাযোগ বিভাগকে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে রাত বারোটা থেকে ছয় ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ রাখার বিষয়টি উঠে এসেছে।

তবে এ ব্যাপারে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছিলেন, দেশে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সরকারকে ফেসবুক বন্ধ করে দিতে হবে। দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা বলেন, সরকার ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি, নেবেও না। ২০১৬ সালের ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে শিশুদের কার্টুন ও ফেসবুকে আসক্তি বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ডিসিদের পক্ষ থেকে এগুলো কিছু সময়ের জন্য বন্ধের আবেদন জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সেসময় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিটিআরসিকে জানানো হলেও বিটিআরসি তার জবাব দেয়নি। আগামীর ডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিকালে সেই বিষয়টি নজরে এলে আবারও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিটিআরসিকে চিঠি পাঠানো হয়।