মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মার্চে একক মাস হিসেবে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৮ কোটি ডলার। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। এক মাসে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে গত মাসের এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২০১৬ সালের মার্চ মাসের তুলনায় কম। গত বছর মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহের পরিমাণ ছিল ১২৮ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে মন্তব্য করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্সের প্রবাহে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এটি অর্থনীতির জন্য হুমকি। কারণ দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

এদিকে পুরো অর্থবছরের হিসেবে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই থেকে মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ৯১৯ কোটি মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮৬ কোটি ডলার বা ১৭ শতাংশ কম।

হালনাগাদ তথ্যে আরো দেখা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯১৯ কোটি মার্কিন ডলার। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ১০৬ কোটি মার্কিন ডলার।

সামগ্রিকভাবে রেমিট্যান্স কমার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলের পরিবর্তে অবৈধ চ্যানেল বেছে নিচ্ছেন। এর ফলে একদিকে অব্যাহতভাবে কমছে প্রবাসী আয়। অন্যদিকে বাড়ছে মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা।

তাদের মতে, অবৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর কারণে আপাত দৃষ্টিতে দেশে রেমিট্যান্স কমেছে।কিন্তু টাকা পাঠানোর প্রবাহ অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। এক্ষেত্র অবৈধভাবে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ করার কোনো বিকল্প নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে !

আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মার্চে একক মাস হিসেবে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৮ কোটি ডলার। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। এক মাসে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে গত মাসের এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২০১৬ সালের মার্চ মাসের তুলনায় কম। গত বছর মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহের পরিমাণ ছিল ১২৮ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে মন্তব্য করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্সের প্রবাহে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এটি অর্থনীতির জন্য হুমকি। কারণ দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

এদিকে পুরো অর্থবছরের হিসেবে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই থেকে মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ৯১৯ কোটি মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮৬ কোটি ডলার বা ১৭ শতাংশ কম।

হালনাগাদ তথ্যে আরো দেখা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯১৯ কোটি মার্কিন ডলার। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ১০৬ কোটি মার্কিন ডলার।

সামগ্রিকভাবে রেমিট্যান্স কমার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলের পরিবর্তে অবৈধ চ্যানেল বেছে নিচ্ছেন। এর ফলে একদিকে অব্যাহতভাবে কমছে প্রবাসী আয়। অন্যদিকে বাড়ছে মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা।

তাদের মতে, অবৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর কারণে আপাত দৃষ্টিতে দেশে রেমিট্যান্স কমেছে।কিন্তু টাকা পাঠানোর প্রবাহ অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। এক্ষেত্র অবৈধভাবে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ করার কোনো বিকল্প নেই।