শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

আইসিটি খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিশেষ সুবিধা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত আইসিটি খাতের রপ্তানিকারকদের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) সুবিধা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে এ খাতের রপ্তানিকারকরা তাদের অ্যাকাউন্টে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা রাখতে পারবেন।
গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

অন্য সেবা খাতের রিটেশন কোটা আগের ৬০ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, এখন থেকে যেকোনো আইটি বা সফটওয়্যার ফার্ম ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই বছরে ৩০ হাজার ডলার ব্যয় করতে পারবে। আগে এ সীমা ছিল ২৫ হাজার ডলার। এ ছাড়া কার্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক লেনদেনের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। আগে এই সীমা ছিল ২ হাজার ৫০০ ডলার। এখন তা বাড়িয়ে ৬ হাজার ডলার করা হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় গাইডলাইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া রপ্তানি আয় বাবদ আসা বৈদেশিক মুদ্রার নির্দিষ্ট অংশ নিজের হিসাবে রেখে দিতে পারেন সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক। বিদেশ ভ্রমণ, প্রদর্শনী ও সেমিনারে অংশ নেওয়া, নতুন অফিস খোলা ও পরিচালনা, কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানিসহ নানা কাজে রপ্তানিকারকরা ওই অর্থ খরচ করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রপ্তানিকারকরা দেশের বাইরে বিনিয়োগ করেন মূলত রিটেনশন কোটা থেকে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আইসিটি খাতের রপ্তানিকারকদের বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ আরো বাড়বে।

২০১৫ সালের ২৭ মে এ সংক্রান্ত জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী, ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে রপ্তানি আয়ের ৬০ শতাংশ রাখতে হতো রপ্তানিকারকদের। নতুন সার্কুলারের ফলে আইসিটি খাতের রপ্তানিকারকরা আগের তুলনায় তার রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ বেশি ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে রাখতে পারবেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কোনো রপ্তানিকারক রপ্তানির মাধ্যমে যে বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার, পাউন্ড বা ইউরো) আয় করেন তা ওই একই মুদ্রায় (ডলার, পাউন্ড বা ইউরো) ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে পারেন। তবে এই অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করতে হলে তা টাকায় রূপান্তর করতে হয়। আবার বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করতে হলে তা বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

আইসিটি খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিশেষ সুবিধা !

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত আইসিটি খাতের রপ্তানিকারকদের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) সুবিধা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে এ খাতের রপ্তানিকারকরা তাদের অ্যাকাউন্টে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা রাখতে পারবেন।
গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

অন্য সেবা খাতের রিটেশন কোটা আগের ৬০ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, এখন থেকে যেকোনো আইটি বা সফটওয়্যার ফার্ম ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই বছরে ৩০ হাজার ডলার ব্যয় করতে পারবে। আগে এ সীমা ছিল ২৫ হাজার ডলার। এ ছাড়া কার্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক লেনদেনের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। আগে এই সীমা ছিল ২ হাজার ৫০০ ডলার। এখন তা বাড়িয়ে ৬ হাজার ডলার করা হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় গাইডলাইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া রপ্তানি আয় বাবদ আসা বৈদেশিক মুদ্রার নির্দিষ্ট অংশ নিজের হিসাবে রেখে দিতে পারেন সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক। বিদেশ ভ্রমণ, প্রদর্শনী ও সেমিনারে অংশ নেওয়া, নতুন অফিস খোলা ও পরিচালনা, কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানিসহ নানা কাজে রপ্তানিকারকরা ওই অর্থ খরচ করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রপ্তানিকারকরা দেশের বাইরে বিনিয়োগ করেন মূলত রিটেনশন কোটা থেকে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আইসিটি খাতের রপ্তানিকারকদের বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ আরো বাড়বে।

২০১৫ সালের ২৭ মে এ সংক্রান্ত জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী, ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে রপ্তানি আয়ের ৬০ শতাংশ রাখতে হতো রপ্তানিকারকদের। নতুন সার্কুলারের ফলে আইসিটি খাতের রপ্তানিকারকরা আগের তুলনায় তার রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ বেশি ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে রাখতে পারবেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কোনো রপ্তানিকারক রপ্তানির মাধ্যমে যে বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার, পাউন্ড বা ইউরো) আয় করেন তা ওই একই মুদ্রায় (ডলার, পাউন্ড বা ইউরো) ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে পারেন। তবে এই অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করতে হলে তা টাকায় রূপান্তর করতে হয়। আবার বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করতে হলে তা বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হয়।