চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা গ্রামে সামাজিকভাবে সম্পন্ন হওয়া একটি বিয়ের ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা। বিষয়টি তদন্তে মাঠে নেমেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) আব্দুল হাই চৌধুরী।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ভূঁইয়ারা গ্রামের প্রাইভেটকার চালক মফিজ (পিতা বশির) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। এ সময় দেনমোহর ধার্য করা হয় তিন লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার বাবদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন ভূঁইয়ারা বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব হাফেজ সফিকুল ইসলাম।
বিয়েতে বরপক্ষের মধ্যস্থতা করেন মফিজের খালাতো ভাই অহিদ, আর কনের পক্ষে উকিল দেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেয়ের চাচা মোয়াজ্জেম। উপস্থিত সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মহিউদ্দিন, বরের ভাই জসিম উদ্দিন, বাবুল, আবুল কালাম ও জমির।
বিয়ের পরদিনই মফিজ শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে যান। পরবর্তীতে তার ভাই জসিম কনের পরিবারের কাছ থেকে প্রাইভেটকার কেনার অজুহাতে এক লাখ টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তীতে ২৩ মে, এসএসসি পরীক্ষার সময় ভূঁইয়ারা ইউসুফের দোকানের সামনে কনে সাদিয়াকে মফিজ ও তার মা মিনরা বেগম হুমকি-ধমকি প্রদান করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অন্যদিকে, মফিজ দাবি করেন যে, তাকে জোরপূর্বক বিয়ে পড়ানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে তিনি চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে তদন্ত করেন কচুয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম। পরবর্তীতে পুনঃতদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই চৌধুরী। রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কনে সাদিয়া, তার বাবা নুরুজ্জামান, বর মফিজের বড় ভাই জসিম ও মা মিনরা বেগম, এবং বিয়ের খতিব হাফেজ শফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত শেষে সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।







































