শিরোনাম :
Logo মাদকবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শ্যামনগরের ছফিরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় Logo সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার ভূঁইয়ারা গ্রামে বিয়ের ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপারের তদন্ত Logo কচুয়ার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত জাকির হোসেন মোল্লা Logo সিরাজগঞ্জ কারাগারে আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যু Logo সিসা দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খুবিতে নানা কর্মসূচি Logo ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্তে সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান  Logo সিরাক-বাংলাদেশের উদ্যোগে চাঁদপুরে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo স্টারমারের সফরে ইউরোফাইটার ক্রয় চুক্তিতে নজর তুরস্কের Logo বিলিয়নিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দিলেন চেক প্রেসিডেন্ট

কচুয়ার ভূঁইয়ারা গ্রামে বিয়ের ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপারের তদন্ত

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা গ্রামে সামাজিকভাবে সম্পন্ন হওয়া একটি বিয়ের ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা। বিষয়টি তদন্তে মাঠে নেমেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) আব্দুল হাই চৌধুরী।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ভূঁইয়ারা গ্রামের প্রাইভেটকার চালক মফিজ (পিতা বশির) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। এ সময় দেনমোহর ধার্য করা হয় তিন লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার বাবদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন ভূঁইয়ারা বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব হাফেজ সফিকুল ইসলাম।
বিয়েতে বরপক্ষের মধ্যস্থতা করেন মফিজের খালাতো ভাই অহিদ, আর কনের পক্ষে উকিল দেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেয়ের চাচা মোয়াজ্জেম। উপস্থিত সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মহিউদ্দিন, বরের ভাই জসিম উদ্দিন, বাবুল, আবুল কালাম ও জমির।
বিয়ের পরদিনই মফিজ শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে যান। পরবর্তীতে তার ভাই জসিম কনের পরিবারের কাছ থেকে প্রাইভেটকার কেনার অজুহাতে এক লাখ টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তীতে ২৩ মে, এসএসসি পরীক্ষার সময় ভূঁইয়ারা ইউসুফের দোকানের সামনে কনে সাদিয়াকে মফিজ ও তার মা মিনরা বেগম হুমকি-ধমকি প্রদান করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অন্যদিকে, মফিজ দাবি করেন যে, তাকে জোরপূর্বক বিয়ে পড়ানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে তিনি চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে তদন্ত করেন কচুয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম। পরবর্তীতে পুনঃতদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই চৌধুরী। রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কনে সাদিয়া, তার বাবা নুরুজ্জামান, বর মফিজের বড় ভাই জসিম ও মা মিনরা বেগম, এবং বিয়ের খতিব হাফেজ শফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত শেষে সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শ্যামনগরের ছফিরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

কচুয়ার ভূঁইয়ারা গ্রামে বিয়ের ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপারের তদন্ত

আপডেট সময় : ০৬:৫০:০৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা গ্রামে সামাজিকভাবে সম্পন্ন হওয়া একটি বিয়ের ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা। বিষয়টি তদন্তে মাঠে নেমেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) আব্দুল হাই চৌধুরী।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ভূঁইয়ারা গ্রামের প্রাইভেটকার চালক মফিজ (পিতা বশির) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। এ সময় দেনমোহর ধার্য করা হয় তিন লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার বাবদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন ভূঁইয়ারা বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব হাফেজ সফিকুল ইসলাম।
বিয়েতে বরপক্ষের মধ্যস্থতা করেন মফিজের খালাতো ভাই অহিদ, আর কনের পক্ষে উকিল দেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেয়ের চাচা মোয়াজ্জেম। উপস্থিত সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মহিউদ্দিন, বরের ভাই জসিম উদ্দিন, বাবুল, আবুল কালাম ও জমির।
বিয়ের পরদিনই মফিজ শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে যান। পরবর্তীতে তার ভাই জসিম কনের পরিবারের কাছ থেকে প্রাইভেটকার কেনার অজুহাতে এক লাখ টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তীতে ২৩ মে, এসএসসি পরীক্ষার সময় ভূঁইয়ারা ইউসুফের দোকানের সামনে কনে সাদিয়াকে মফিজ ও তার মা মিনরা বেগম হুমকি-ধমকি প্রদান করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অন্যদিকে, মফিজ দাবি করেন যে, তাকে জোরপূর্বক বিয়ে পড়ানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে তিনি চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে তদন্ত করেন কচুয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম। পরবর্তীতে পুনঃতদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই চৌধুরী। রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কনে সাদিয়া, তার বাবা নুরুজ্জামান, বর মফিজের বড় ভাই জসিম ও মা মিনরা বেগম, এবং বিয়ের খতিব হাফেজ শফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত শেষে সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।