শনিবার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

কচুয়ার ভূঁইয়ারা গ্রামে বিয়ের ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপারের তদন্ত

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা গ্রামে সামাজিকভাবে সম্পন্ন হওয়া একটি বিয়ের ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা। বিষয়টি তদন্তে মাঠে নেমেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) আব্দুল হাই চৌধুরী।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ভূঁইয়ারা গ্রামের প্রাইভেটকার চালক মফিজ (পিতা বশির) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। এ সময় দেনমোহর ধার্য করা হয় তিন লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার বাবদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন ভূঁইয়ারা বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব হাফেজ সফিকুল ইসলাম।
বিয়েতে বরপক্ষের মধ্যস্থতা করেন মফিজের খালাতো ভাই অহিদ, আর কনের পক্ষে উকিল দেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেয়ের চাচা মোয়াজ্জেম। উপস্থিত সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মহিউদ্দিন, বরের ভাই জসিম উদ্দিন, বাবুল, আবুল কালাম ও জমির।
বিয়ের পরদিনই মফিজ শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে যান। পরবর্তীতে তার ভাই জসিম কনের পরিবারের কাছ থেকে প্রাইভেটকার কেনার অজুহাতে এক লাখ টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তীতে ২৩ মে, এসএসসি পরীক্ষার সময় ভূঁইয়ারা ইউসুফের দোকানের সামনে কনে সাদিয়াকে মফিজ ও তার মা মিনরা বেগম হুমকি-ধমকি প্রদান করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অন্যদিকে, মফিজ দাবি করেন যে, তাকে জোরপূর্বক বিয়ে পড়ানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে তিনি চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে তদন্ত করেন কচুয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম। পরবর্তীতে পুনঃতদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই চৌধুরী। রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কনে সাদিয়া, তার বাবা নুরুজ্জামান, বর মফিজের বড় ভাই জসিম ও মা মিনরা বেগম, এবং বিয়ের খতিব হাফেজ শফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত শেষে সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

কচুয়ার ভূঁইয়ারা গ্রামে বিয়ের ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপারের তদন্ত

আপডেট সময় : ০৬:৫০:০৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা গ্রামে সামাজিকভাবে সম্পন্ন হওয়া একটি বিয়ের ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা। বিষয়টি তদন্তে মাঠে নেমেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) আব্দুল হাই চৌধুরী।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ভূঁইয়ারা গ্রামের প্রাইভেটকার চালক মফিজ (পিতা বশির) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। এ সময় দেনমোহর ধার্য করা হয় তিন লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার বাবদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন ভূঁইয়ারা বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব হাফেজ সফিকুল ইসলাম।
বিয়েতে বরপক্ষের মধ্যস্থতা করেন মফিজের খালাতো ভাই অহিদ, আর কনের পক্ষে উকিল দেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেয়ের চাচা মোয়াজ্জেম। উপস্থিত সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মহিউদ্দিন, বরের ভাই জসিম উদ্দিন, বাবুল, আবুল কালাম ও জমির।
বিয়ের পরদিনই মফিজ শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে যান। পরবর্তীতে তার ভাই জসিম কনের পরিবারের কাছ থেকে প্রাইভেটকার কেনার অজুহাতে এক লাখ টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তীতে ২৩ মে, এসএসসি পরীক্ষার সময় ভূঁইয়ারা ইউসুফের দোকানের সামনে কনে সাদিয়াকে মফিজ ও তার মা মিনরা বেগম হুমকি-ধমকি প্রদান করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অন্যদিকে, মফিজ দাবি করেন যে, তাকে জোরপূর্বক বিয়ে পড়ানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে তিনি চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে তদন্ত করেন কচুয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম। পরবর্তীতে পুনঃতদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই চৌধুরী। রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কনে সাদিয়া, তার বাবা নুরুজ্জামান, বর মফিজের বড় ভাই জসিম ও মা মিনরা বেগম, এবং বিয়ের খতিব হাফেজ শফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত শেষে সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।