ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিলভার জুবিলী ও অ্যালামনাই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সকালে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। র্যালি শেষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ. কে. এম. নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. হোসেন আল মামুন এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বাবলী সাবিনা আজহার।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন সিলভার জুবিলী ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মহাঃ আনোয়ারুল হক এবং আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বক্তব্যে নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “বর্তমান যুগে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা। শিক্ষণ, গবেষণা ও উদ্ভাবনে এখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ এখন বৈশ্বিক পর্যায়ে বিস্তৃত।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা কখনোই তাদের বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না। একবার যে শিক্ষার্থী হয়, সে আজীবনই শিক্ষার্থী—কারণ বিভাগই তার ‘আলমা মাটার’। দেশের ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই বিভাগের অ্যালামনাইরা ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। আমি আশা করি, এখানকার শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আরও উজ্জ্বল করবে।”
দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ, কেক কাটা ও মধ্যাহ্নভোজ। উৎসবমুখর পরিবেশে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মিলিত হয়ে অতীত স্মৃতিচারণ করেন এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।







































