শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী  Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে

সিরাজগঞ্জে নবজাতক চুরির ঘটনায় এক নারীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:১৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জে নবজাতক শিশু চুরির ঘটনায় দায়ের করা মানবপাচার মামলায় এক নারীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আরও পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আসামি মোছা. আলপনা খাতুনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে আদালত নির্দেশ দেন— জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবারকে প্রদান করতে হবে। আসামির বর্তমান বা ভবিষ্যতের সম্পদ থেকেও এই অর্থ আদায়যোগ্য থাকবে।

একই মামলায় আসামি মোছা. ছায়রন বেওয়া, মোছা. মিনা খাতুন, মোছা. মায়া খাতুন, মো. রবিউল ইসলামসহ আলোকদিয়া গ্রামের আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২-এর ৭/৮/১০(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযোগকারীর স্ত্রী মোছা. সবিতা খাতুন (৩০) প্রসববেদনা অনুভব করলে তাকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে তাদের এক সন্তানের জন্ম হয়।

ঐদিন বিকেলে এক বোরখাপরা অজ্ঞাত নারী নবজাতককে কোলে নিয়ে আদর করার ভান করে হঠাৎ শিশুটি নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ ও সলঙ্গা থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে জানতে পারে, ওই নারী নবজাতকসহ আলোকদিয়া গ্রামে গেছে।

পরে সলঙ্গা থানা পুলিশ ছায়রন বেওয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করে। একই স্থান থেকে আরও একটি মৃত নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়, যা পরবর্তীতে শনাক্ত করা হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু হিসেবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছেন। একটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হওয়ায় মামলার প্রমাণ আরও শক্তিশালী হয়েছে। আদালতের এই রায় মানবপাচার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী

সিরাজগঞ্জে নবজাতক চুরির ঘটনায় এক নারীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:১৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জে নবজাতক শিশু চুরির ঘটনায় দায়ের করা মানবপাচার মামলায় এক নারীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আরও পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আসামি মোছা. আলপনা খাতুনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে আদালত নির্দেশ দেন— জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবারকে প্রদান করতে হবে। আসামির বর্তমান বা ভবিষ্যতের সম্পদ থেকেও এই অর্থ আদায়যোগ্য থাকবে।

একই মামলায় আসামি মোছা. ছায়রন বেওয়া, মোছা. মিনা খাতুন, মোছা. মায়া খাতুন, মো. রবিউল ইসলামসহ আলোকদিয়া গ্রামের আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২-এর ৭/৮/১০(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযোগকারীর স্ত্রী মোছা. সবিতা খাতুন (৩০) প্রসববেদনা অনুভব করলে তাকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে তাদের এক সন্তানের জন্ম হয়।

ঐদিন বিকেলে এক বোরখাপরা অজ্ঞাত নারী নবজাতককে কোলে নিয়ে আদর করার ভান করে হঠাৎ শিশুটি নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ ও সলঙ্গা থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে জানতে পারে, ওই নারী নবজাতকসহ আলোকদিয়া গ্রামে গেছে।

পরে সলঙ্গা থানা পুলিশ ছায়রন বেওয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করে। একই স্থান থেকে আরও একটি মৃত নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়, যা পরবর্তীতে শনাক্ত করা হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু হিসেবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছেন। একটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হওয়ায় মামলার প্রমাণ আরও শক্তিশালী হয়েছে। আদালতের এই রায় মানবপাচার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে