আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।আইনগত সহায়তা প্রধান আইন, ২০০০ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত এই অধ্যাদেশ। ২০০০ সালের ৬ নম্বর আইনে বেশকিছু সংশোধন এনে নতুন অধ্যাদেশে জারি করা হয়েছে।
১৫ক, নতুন এ ধারায় স্পেশাল মেডিয়েটরগণের তালিকা বিষয় বলা হয়েছে। আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশের ২১খ ধারায় ‘কতিপয় ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মামলাপুর্ব মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এ ধারার উপধারা (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মামলাপুর্ব মধ্যস্থতা বিষয়ে এই আইনের বিধানাবলি কার্যকর হইবে। (২) এই আইনের তফসিলে বর্ণিত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, সংক্ষুব্ধ পক্ষকে আবশ্যিকভাবে উক্ত বিরোধ প্রথমে লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে আবেদন করিতে হইবে, এবং মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হইলে বিরোধের কোন পক্ষ প্রয়োজনে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবে।’
‘(৩) উপ-ধারা (২) অনুসারে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরকারীকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আদালতে বাধ্যতামূলকভাবে দাখিল করিতে হইবে। (৪) উপ-ধারা (২) অনুসারে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মামলাপুর্ব মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় ব্যয়িত সময় তামাদির মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে বাদ যাইবে। (৫) এই আইনের অধীন মধ্যস্থতা কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা ক্ষেত্রমত, স্পেশাল মেডিয়েটর এর অধিক্ষেত্র সমগ্র জেলা ব্যাপী নির্ধারিত হইবে।’
ধারা ২১গ। এ বলা হয়েছে, মধ্যস্থতা-চুক্তির কার্যকারিতা। (১) পক্ষগণের সহি/স্বাক্ষর ও মধ্যস্থতাকারীর স্বাক্ষরক্রমে সম্পাদিত এবং চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার কর্তৃক প্রত্যয়িত প্রতিটি মধ্যস্থতা চুক্তি চূড়ান্ত, বলবৎযোগ্য এবং পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন চুক্তি আদালতের ডিক্রি অথবা ক্ষেত্রমত, চূড়ান্ত আদেশ হিসাবে গণ্য হইবে এবং এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের মাধ্যমে উক্ত ডিক্রি বা আদেশ জারি করা যাইবে।
ধারা ২১ঘ এ বলা হয়েছে, ‘অন্যান্য সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা। এই আইনের অধীন মামলাপুর্ব মধ্যস্থতা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় বিশেষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণের কারণ উদ্ভূত হইলে লিগ্যাল এইড অফিস প্রয়োজনীয় আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত আদেশ বা নির্দেশ বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবে।’
ধারা ২১ ঙ এ বলা হয়েছে, ‘সরল বিশ্বাসে কৃত কার্য রক্ষণ। এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য বোর্ড, চেয়ারম্যান, সদস্য, নির্বাহী পরিচালক বা সংস্থার অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী, চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা স্পেশাল মেডিয়েটর এর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যধারা রুজু করিতে পরিবেন না।’।
ধারা ২৬ এর পর তফসিলে সংযোজন করা হয়েছে, পারিবারিক আদালত আইন, ২০২৩ এর ধারা ৫-তে উল্লিখিত বিষয়; বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১-তে উল্লিখিত বিরোধ; সহকারী জজ আদালতের এখতিয়ারভুক্ত বণ্টন সম্পর্কিত বিরোধ;
ঝঃধঃব অপয়ঁরংরঃরড়হ ্ ঞবহধহপু অপঃ, ১৯৫০ ১৯৫০ এর ংবপঃরড়হ ৯৬ এ উল্লিখিত অগ্রক্রয় সম্পর্কিত বিরোধ;
ঘড়হ-অমৎরপঁষঃঁৎধষ ঞবহধহপু অপঃ ১৯৪৯ এর ংবপঃরড়হ ২৪ এ উল্লিখিত অগ্রক্রয় সম্পর্কিত বিরোধ; পিতামাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩ এর ধারা ৮ অনুসারে পিতামাতার ভরণপোষণ সম্পর্কিত বিরোধ; ঘবমড়ঃরধনষব ওহংঃৎঁসবহঃং অপঃ, ১৮৮১ এর ংবপঃরড়হ ১৩৮ এ বর্ণিত চেক ডিসঅনার সম্পর্কিত অভিযোগ (অনধিক পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যমান চেকের ক্ষেত্রে); যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৩ ও ৪ এ বর্ণিত যৌতুক সম্পর্কিত অভিযোগ;। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা ১১(গ)তে বর্ণিত যৌতুকের জন্য নির্যাতন সম্পর্কিত অভিযোগ।