ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, সিয়োনিস্ট শাসকগোষ্ঠী (ইসরায়েল) কল্পনাও করতে পারেনি যে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান তাদের প্রতিশোধমূলক অভিযানে এতোটা শক্তিশালী সামরিক সক্ষমতা দেখাবে।
শুক্রবার (২০ জুন) দেওয়া বক্তব্যে মাদুরো বলেন, এখন বিশ্ব জানে যে ইরান সামরিক দিক থেকে ইসরায়েলি শাসনের চেয়ে এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এই সামরিক পরাজয়ের ফলেই ইসরায়েল উচ্চপদস্থ ইরানি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা ও হুমকির পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি-কে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়, যা আসে ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা ইসরায়েলের ওপর চালানো গুরুতর হামলার পর।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি-এর ১৫টি ধাপ বাস্তবায়িত হয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে কৌশলগত সামরিক স্থাপনাগুলো।
এই অপারেশন ছিল গত শুক্রবার ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ, যেখানে একাধিক উচ্চপদস্থ ইরানি সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
এরপর থেকে ইসরায়েল তেহরানসহ বিভিন্ন বেসামরিক স্থাপনায় হামলা অব্যাহত রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা (আইআরআইবি)-এর ভবন।
এর আগেও মাদুরো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে “২১ শতকের হিটলার” আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি ইরান ও অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
তিনি চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি), গ্লোবাল সাউথের সকল দেশ ও ইসলামি রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানান, ইসরায়েলি শাসকদের এই “উন্মাদনা” থামাতে।
মাদুরো জোর দিয়ে বলেন, যাদের রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতা আছে, তাদের উচিত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এখনই কাজ শুরু করা এবং সিয়োনিস্ট বাহিনীর ইরানের ওপর পরিচালিত অপরাধমূলক হামলা বন্ধ করা।