শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

একমাত্র মুসলিম দেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তিধর হওয়ার ২৭ বছর

সব থেকে বিধ্বংসী ও ভয়াবহ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে ৯টি দেশের কাছে। এই অস্ত্র এতই ভয়াবহ যে, একটি পুরো শহরকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নির্মূল করে দিতে পারে। শুধু নির্মূলই নয়, কয়েক বছর ধরে এর আশপাশের এলাকাসহ ছড়িয়ে পড়তে পারে রেডিয়েশন যা প্রাণীর জীবিত থাকা কিংবা স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

১৯০০ শতকের ৪০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষার পর একে একে রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো দেশ এই অস্ত্রের সক্ষমতায় পৌঁছাতে পারলেও, এ তালিকায় ছিল না কেনো মুসলিম দেশের নাম। তবে ১৯৯৮ সালের আজকের এই দিনে প্রথম কোনো মুসলিম দেশ হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্রধারীর তালিকায় নাম লেখায় পাকিস্তান।

তবে এই পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। যেমন ছিল পদে পদে বাধা, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সংকট, তেমনি ছিল আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ভয়।

মূলত পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রের স্বপ্ন দেখা শুরু করে ১৯৭১ সালে। ডনের খবরে বল হয়, ১৯৭১ সালের ট্রমা থেকে জন্ম নেওয়া পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি একটি সহজ প্রতিশ্রুতির ওপর নির্মিত হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল, দেশের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যে কোনও আগ্রাসনকে অকল্পনীয় করে তোলা।

এরপর বহু চেষ্টার ফল হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারলেও পাকিস্তান পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়নি। এর অন্যতম কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়ার সম্ভাবনাকে দায়ী করা হয়।

তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান বাধ্য হয় এই বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে। মূলত ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো ভারত পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। তবে পারমাণবিক শক্তিধর হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে ১৯৯৮ সালের ১১ মে আবার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে।

এরপর ভারতের পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মাথায় নিয়ে এবং নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে মাত্র ১৭ দিন পর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের ২৮ মে বেলুচিস্তানের চাগাই অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় পাকিস্তান। ইতিহাসে সপ্তম দেশ এবং প্রথম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে এ সক্ষমতায় নাম লেখায় দেশটি।

দিনটিকে ‘ইয়ুম-ই-তাকবীর’ হিসেবে ঘোষণা করে ইসলামাবাদ। আজও ১৯৯৮ সালে ঐতিহাসিক পারমাণবিক পরীক্ষার ২৭তম বার্ষিকী স্মরণে পুরো পাকিস্তানে পালিত হচ্ছে দিনটি।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম বলছে, দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তারা এই অনুষ্ঠানের ঐতিহাসিক পটভূমি স্মরণ করিয়ে দেবেন, যেখানে ১৯৯৮ সালের ১১ মে ভারত তার পারমাণবিক পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

একমাত্র মুসলিম দেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তিধর হওয়ার ২৭ বছর

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

সব থেকে বিধ্বংসী ও ভয়াবহ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে ৯টি দেশের কাছে। এই অস্ত্র এতই ভয়াবহ যে, একটি পুরো শহরকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নির্মূল করে দিতে পারে। শুধু নির্মূলই নয়, কয়েক বছর ধরে এর আশপাশের এলাকাসহ ছড়িয়ে পড়তে পারে রেডিয়েশন যা প্রাণীর জীবিত থাকা কিংবা স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

১৯০০ শতকের ৪০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষার পর একে একে রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো দেশ এই অস্ত্রের সক্ষমতায় পৌঁছাতে পারলেও, এ তালিকায় ছিল না কেনো মুসলিম দেশের নাম। তবে ১৯৯৮ সালের আজকের এই দিনে প্রথম কোনো মুসলিম দেশ হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্রধারীর তালিকায় নাম লেখায় পাকিস্তান।

তবে এই পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। যেমন ছিল পদে পদে বাধা, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সংকট, তেমনি ছিল আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ভয়।

মূলত পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রের স্বপ্ন দেখা শুরু করে ১৯৭১ সালে। ডনের খবরে বল হয়, ১৯৭১ সালের ট্রমা থেকে জন্ম নেওয়া পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি একটি সহজ প্রতিশ্রুতির ওপর নির্মিত হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল, দেশের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যে কোনও আগ্রাসনকে অকল্পনীয় করে তোলা।

এরপর বহু চেষ্টার ফল হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারলেও পাকিস্তান পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়নি। এর অন্যতম কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়ার সম্ভাবনাকে দায়ী করা হয়।

তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান বাধ্য হয় এই বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে। মূলত ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো ভারত পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। তবে পারমাণবিক শক্তিধর হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে ১৯৯৮ সালের ১১ মে আবার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে।

এরপর ভারতের পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মাথায় নিয়ে এবং নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে মাত্র ১৭ দিন পর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের ২৮ মে বেলুচিস্তানের চাগাই অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় পাকিস্তান। ইতিহাসে সপ্তম দেশ এবং প্রথম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে এ সক্ষমতায় নাম লেখায় দেশটি।

দিনটিকে ‘ইয়ুম-ই-তাকবীর’ হিসেবে ঘোষণা করে ইসলামাবাদ। আজও ১৯৯৮ সালে ঐতিহাসিক পারমাণবিক পরীক্ষার ২৭তম বার্ষিকী স্মরণে পুরো পাকিস্তানে পালিত হচ্ছে দিনটি।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম বলছে, দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তারা এই অনুষ্ঠানের ঐতিহাসিক পটভূমি স্মরণ করিয়ে দেবেন, যেখানে ১৯৯৮ সালের ১১ মে ভারত তার পারমাণবিক পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।